ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতিসংঘে ভোট, গাজা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বাংলাদেশে এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে: ভারতীয় কূটনীতিক অমর একুশে বইমেলা ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিল নির্বাচন সংক্রান্ত দুই অধ্যাদেশ পুজা মন্ডপে আলোকবাতি পরিমিত করে সিসি ক্যমেরার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান ইউএনও’র ময়মনসিংহে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ শিক্ষা অফিসারের রাজশাহী অঞ্চলে মাধ্যমিক শিক্ষার ২৪০ শিক্ষক-কর্মকর্তার মধ্যে ১৫৮ পদ শূন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা পুঠিয়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল।

একইসঙ্গে আগামী বছরের মার্চে নতুন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সংসদ ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।

গতকাল রাতেই শপথ নেন সুশীলা কার্কি। সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই আইনজীবী দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়লেন। তার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ছোট পরিসরের অন্তর্বর্তী সরকার, যার মেয়াদ হবে ছয় মাস। এই সময়ে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব তাদের হাতে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগে প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান এবং জেন-জি আন্দোলনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। আলোচনায় সবার সম্মতি নিয়ে কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আনা হয়। কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারক থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি আস্থা অর্জন করেছেন।

নেপালে সাম্প্রতিক সময়ের অস্থিরতার সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে। জেন-জি প্রজন্মের তরুণরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়। গত সোমবার পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বহু শিক্ষার্থী নিহত হন। পরদিন উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে, প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন কেপি শর্মা অলি। তিনি গা ঢাকা দেওয়ার আগে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের ওপরও আক্রমণ হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় পেটানোর ঘটনাও ঘটে।

সুশীলা কার্কি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নেপালের উন্নয়নে ভারত বহু সহায়তা করেছে। এবার তার সামনে চ্যালেঞ্জ হলো উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন

আপডেট সময় : ০২:৪২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল।

একইসঙ্গে আগামী বছরের মার্চে নতুন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সংসদ ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।

গতকাল রাতেই শপথ নেন সুশীলা কার্কি। সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই আইনজীবী দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়লেন। তার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ছোট পরিসরের অন্তর্বর্তী সরকার, যার মেয়াদ হবে ছয় মাস। এই সময়ে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব তাদের হাতে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগে প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান এবং জেন-জি আন্দোলনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। আলোচনায় সবার সম্মতি নিয়ে কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আনা হয়। কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারক থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি আস্থা অর্জন করেছেন।

নেপালে সাম্প্রতিক সময়ের অস্থিরতার সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে। জেন-জি প্রজন্মের তরুণরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়। গত সোমবার পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বহু শিক্ষার্থী নিহত হন। পরদিন উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে, প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন কেপি শর্মা অলি। তিনি গা ঢাকা দেওয়ার আগে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের ওপরও আক্রমণ হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় পেটানোর ঘটনাও ঘটে।

সুশীলা কার্কি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নেপালের উন্নয়নে ভারত বহু সহায়তা করেছে। এবার তার সামনে চ্যালেঞ্জ হলো উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।