ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পরিবেশ দূষণকারীদের নাম প্রকাশ ও শাস্তি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশের আওয়াজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং ছাড়পত্র প্রদানে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। তিনি উল্লেখ করেছেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। ভ্রান্ত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত “পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, আইন প্রয়োগ মানে শুধু জরিমানা নয়, এতে স্বচ্ছতা, বিকল্প ব্যবস্থা এবং জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে।

তিনি ডাইং কারখানা, সিমেন্ট কারখানা ও ইটভাটাসহ প্রধান দূষণ উৎসকে অগ্রাধিকার দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। দূষণকারীদের নাম প্রকাশ করতে হবে এবং তথ্য উন্মুক্ত করলে জনগণ স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

বন্যা প্রবাহ এলাকা বা সংবেদনশীল স্থানে বর্জ্য ফেলার কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করে রিজওয়ানা বলেন, এ ধরনের ছাড়পত্র অবৈধ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। রাজনৈতিক চাপ থাকলেও আপত্তি জানাতে হবে, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে বদলি হোন, কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে আপস করবেন না।

তিনি সকল লাল ক্যাটাগরির শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং জনগণের মতামত গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি উদাহরণ তুলে বলেন, দূষণকারী সিরামিক কারখানাকে পুরস্কৃত করা উচিত নয়, বরং শাস্তি দিতে হবে।

উপদেষ্টা ডিজিটালাইজেশন, অভিযোগ ট্র্যাকিং মোবাইল অ্যাপ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসম, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, বেস্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত বক্তব্য রাখেন।

সমাপনীতে উপদেষ্টা রিজওয়ানা প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পরিবেশ দূষণকারীদের নাম প্রকাশ ও শাস্তি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১২:৫৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং ছাড়পত্র প্রদানে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। তিনি উল্লেখ করেছেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। ভ্রান্ত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত “পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, আইন প্রয়োগ মানে শুধু জরিমানা নয়, এতে স্বচ্ছতা, বিকল্প ব্যবস্থা এবং জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে।

তিনি ডাইং কারখানা, সিমেন্ট কারখানা ও ইটভাটাসহ প্রধান দূষণ উৎসকে অগ্রাধিকার দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। দূষণকারীদের নাম প্রকাশ করতে হবে এবং তথ্য উন্মুক্ত করলে জনগণ স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

বন্যা প্রবাহ এলাকা বা সংবেদনশীল স্থানে বর্জ্য ফেলার কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করে রিজওয়ানা বলেন, এ ধরনের ছাড়পত্র অবৈধ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। রাজনৈতিক চাপ থাকলেও আপত্তি জানাতে হবে, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে বদলি হোন, কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে আপস করবেন না।

তিনি সকল লাল ক্যাটাগরির শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং জনগণের মতামত গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি উদাহরণ তুলে বলেন, দূষণকারী সিরামিক কারখানাকে পুরস্কৃত করা উচিত নয়, বরং শাস্তি দিতে হবে।

উপদেষ্টা ডিজিটালাইজেশন, অভিযোগ ট্র্যাকিং মোবাইল অ্যাপ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসম, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, বেস্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত বক্তব্য রাখেন।

সমাপনীতে উপদেষ্টা রিজওয়ানা প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।