ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতিসংঘে ভোট, গাজা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বাংলাদেশে এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে: ভারতীয় কূটনীতিক অমর একুশে বইমেলা ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিল নির্বাচন সংক্রান্ত দুই অধ্যাদেশ পুজা মন্ডপে আলোকবাতি পরিমিত করে সিসি ক্যমেরার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান ইউএনও’র ময়মনসিংহে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ শিক্ষা অফিসারের রাজশাহী অঞ্চলে মাধ্যমিক শিক্ষার ২৪০ শিক্ষক-কর্মকর্তার মধ্যে ১৫৮ পদ শূন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা পুঠিয়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

নেপালে চলমান ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন-জি’ বিক্ষোভে দেশটির পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত হয়েছেন অন্তত ৫১ জন। এছাড়া বর্তমানে ২৮৪ আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডিআইজি বিনোদ ঘিমিরে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ২১ বিক্ষোভকারী, তিন পুলিশ সদস্য, ৯ বন্দি, ১৮ জন অন্যান্য ও একজন ভারতীয় নারী রয়েছেন। খবর দি হিমালয়ান টাইমসের।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. বিকাশ দেবকোটা বলেছেন, সারা দেশের ৫২টি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৮৪ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন।

ড. বিকাশ দেবকোটা আরও জানান, এক হাজার ৭৭১ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নেপাল প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ১৪ হাজার ৩০৭ জন বন্দি পালিয়ে গেছে।

বিক্ষোভের কারণ
সরকার ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার পর ‘জেন জেড’ নামে পরিচিত তরুণদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জনতার ওপর গুলি চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়, যার মধ্যে অনেকেই স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থী।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রতি ক্ষোভ ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনরোষের কারণে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু শীর্ষ নেতার বাড়িতে ও সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয় ও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কিছু মন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ‘শীতল নিবাসে’ এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা প্রধান ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল।

প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল সংবিধানকে সমুন্নত রাখা ও জাতীয় ঐক্যকে উৎসাহিত করার জন্য রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অর্পিত সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুশীলা কার্কিকে এই পদে নিয়োগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৫১

আপডেট সময় : ০২:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে চলমান ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন-জি’ বিক্ষোভে দেশটির পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত হয়েছেন অন্তত ৫১ জন। এছাড়া বর্তমানে ২৮৪ আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডিআইজি বিনোদ ঘিমিরে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ২১ বিক্ষোভকারী, তিন পুলিশ সদস্য, ৯ বন্দি, ১৮ জন অন্যান্য ও একজন ভারতীয় নারী রয়েছেন। খবর দি হিমালয়ান টাইমসের।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. বিকাশ দেবকোটা বলেছেন, সারা দেশের ৫২টি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৮৪ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন।

ড. বিকাশ দেবকোটা আরও জানান, এক হাজার ৭৭১ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নেপাল প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ১৪ হাজার ৩০৭ জন বন্দি পালিয়ে গেছে।

বিক্ষোভের কারণ
সরকার ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার পর ‘জেন জেড’ নামে পরিচিত তরুণদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জনতার ওপর গুলি চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়, যার মধ্যে অনেকেই স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থী।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রতি ক্ষোভ ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনরোষের কারণে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু শীর্ষ নেতার বাড়িতে ও সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয় ও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কিছু মন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ‘শীতল নিবাসে’ এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা প্রধান ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল।

প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল সংবিধানকে সমুন্নত রাখা ও জাতীয় ঐক্যকে উৎসাহিত করার জন্য রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অর্পিত সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুশীলা কার্কিকে এই পদে নিয়োগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।