ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিএসআর ব্যয়ের ৫৮ শতাংশ ১০ ব্যাংকের, পাঁচটি শূন্য

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের ব্যাংকগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা (করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর) সংক্রান্ত ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৩০৫ কোটি টাকার বেশি কমেছে। এই খাতের ব্যয় কমলেও ৫৮ শতাংশ ব্যয় করেছে দশ ব্যাংক। অপরদিকে এই খাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি ৫ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি অপরিহার্য উপাদান হলো করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর (Corporate Social Responsibility-CSR)। এটি এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা রীতি, যা সমাজের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে ব্যবসার নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট সিএসআর ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে ৩০ শতাংশ, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। বাকি ২০ শতাংশ আয়-উৎসারী কাজ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং অন্যান্য খাতের আওতায় ব্যয় করার নির্দেশনা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে ৯২৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ব্যাংকগুলো, যা আগের বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ কম। আগের বছর বিতরণ করা সিএসআরের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ দশ ব্যাংকের বিতরণ করা সিএসআরের পরিমাণ ৫৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বিতরণ করা সিএসআরের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৮৭ শতাংশই দশ ব্যাংকের দখলে। আবার এই দশ ব্যাংকের তালিকায় নেই বড় ব্যাংক হিসেবে পরিচিত সোনালী, জনতা, ইস্টার্ন ও সিটি ব্যাংক। আবার তালিকায় আছে যমুনা, মার্কেন্টাইল, আল আরাফাহ, সাউথইস্ট ও স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের মতো ‘দুর্বল ও ছোট’ ব্যাংকগুলো।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে সিএসআর খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ বিতরণ করেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ব্যাংকটির বিতরণ করা সিএসআরের পরিমাণ ৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এরপরের অবস্থান ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের। ব্যাংকটি বিতরণ করেছে ৯৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের যমুনা ব্যাংক। এই ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এরপরের অবস্থানই নতুন প্রজন্মের ছোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের। ব্যাংকটি সিএসআর খাতে বিতরণ করেছে ৫৬ কোটি টাকা। পঞ্চম অবস্থানে থাকা শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক সিএসআর খাতে বিতরণ করেছে ৫৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ৪৪ কোটি টাকা বিতরণ করে তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক। এছাড়া সপ্তম অবস্থানে থাকা আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৪২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, অস্টম অবস্থানে থাকা সাউথইস্ট ব্যাংক ৩৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, নবম অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক ৩০ কোটি টাকা এবং দুর্বল ব্যাংক হিসেবে পরিচিত স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক সিএসআর খাতে বিতরণ করেছে ২৮ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের শেষার্ধ্বে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে কার্যরত ৬১টি ব্যাংক সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে ৩৫৩ কোটি টাকা। আর একই বছরের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ব্যয় করেছে ৫৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালে সিএসআর খাতে ব্যাংকগুলোর মোট ব্যয় ৯২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। এই খাতে ব্যাংকগুলোর ব্যয় ২৮৯ কোটি টাকা।

সিএসআরের অর্থ সবচেয়ে কম ব্যয় হয় আয় উৎসারি খাতে। ২০২৩ সালে এই খাতে মাত্র চার কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয় করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এর বাইরে ব্যাংকগুলো ২০২৩ সালে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা খাতে ২৭১ কোটি, শিক্ষা খাতে ১৬৩ কোটি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতে ৪৫ কোটি ৬৫ লাখ, পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে ৬৪ কোটি ১৬ লাখ, অবকাঠামো খাতে ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ও অন্যান্য খাতে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ করেছে

দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২০২৩ সালে পাঁচটি ব্যাংক এক টাকাও সিএসআরে ব্যয় করেনি। এগুলো হলো, বেসিক ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।

অন্যদিকে, ২০২২ সালে নয়টি ব্যাংক নিট মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। সেগুলো হলো, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। তবে এই নয় ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি নিট মুনাফা অর্জন না করা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে সিএসআরে ব্যয় করেছে। ব্যাংকগুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর সারা বিশ্বে তিন স্তরভিত্তিক কাঠামো হিসেবে খ্যাত, যা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে অবদান রাখে। এটি কেবল জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ নয়; এর পরিধি টেকসই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও বিস্তৃত। কাজেই, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানমূহ দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ বিভিন্ন সরকারি ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সুত্রঃ ঢাকা মেইল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিএসআর ব্যয়ের ৫৮ শতাংশ ১০ ব্যাংকের, পাঁচটি শূন্য

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

দেশের ব্যাংকগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা (করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর) সংক্রান্ত ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৩০৫ কোটি টাকার বেশি কমেছে। এই খাতের ব্যয় কমলেও ৫৮ শতাংশ ব্যয় করেছে দশ ব্যাংক। অপরদিকে এই খাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি ৫ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি অপরিহার্য উপাদান হলো করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর (Corporate Social Responsibility-CSR)। এটি এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা রীতি, যা সমাজের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে ব্যবসার নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট সিএসআর ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে ৩০ শতাংশ, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। বাকি ২০ শতাংশ আয়-উৎসারী কাজ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং অন্যান্য খাতের আওতায় ব্যয় করার নির্দেশনা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে ৯২৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ব্যাংকগুলো, যা আগের বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ কম। আগের বছর বিতরণ করা সিএসআরের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ দশ ব্যাংকের বিতরণ করা সিএসআরের পরিমাণ ৫৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বিতরণ করা সিএসআরের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৮৭ শতাংশই দশ ব্যাংকের দখলে। আবার এই দশ ব্যাংকের তালিকায় নেই বড় ব্যাংক হিসেবে পরিচিত সোনালী, জনতা, ইস্টার্ন ও সিটি ব্যাংক। আবার তালিকায় আছে যমুনা, মার্কেন্টাইল, আল আরাফাহ, সাউথইস্ট ও স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের মতো ‘দুর্বল ও ছোট’ ব্যাংকগুলো।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে সিএসআর খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ বিতরণ করেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ব্যাংকটির বিতরণ করা সিএসআরের পরিমাণ ৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এরপরের অবস্থান ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের। ব্যাংকটি বিতরণ করেছে ৯৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের যমুনা ব্যাংক। এই ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এরপরের অবস্থানই নতুন প্রজন্মের ছোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের। ব্যাংকটি সিএসআর খাতে বিতরণ করেছে ৫৬ কোটি টাকা। পঞ্চম অবস্থানে থাকা শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক সিএসআর খাতে বিতরণ করেছে ৫৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ৪৪ কোটি টাকা বিতরণ করে তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক। এছাড়া সপ্তম অবস্থানে থাকা আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৪২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, অস্টম অবস্থানে থাকা সাউথইস্ট ব্যাংক ৩৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, নবম অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক ৩০ কোটি টাকা এবং দুর্বল ব্যাংক হিসেবে পরিচিত স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক সিএসআর খাতে বিতরণ করেছে ২৮ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের শেষার্ধ্বে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে কার্যরত ৬১টি ব্যাংক সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে ৩৫৩ কোটি টাকা। আর একই বছরের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ব্যয় করেছে ৫৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালে সিএসআর খাতে ব্যাংকগুলোর মোট ব্যয় ৯২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। এই খাতে ব্যাংকগুলোর ব্যয় ২৮৯ কোটি টাকা।

সিএসআরের অর্থ সবচেয়ে কম ব্যয় হয় আয় উৎসারি খাতে। ২০২৩ সালে এই খাতে মাত্র চার কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয় করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এর বাইরে ব্যাংকগুলো ২০২৩ সালে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা খাতে ২৭১ কোটি, শিক্ষা খাতে ১৬৩ কোটি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতে ৪৫ কোটি ৬৫ লাখ, পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে ৬৪ কোটি ১৬ লাখ, অবকাঠামো খাতে ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ও অন্যান্য খাতে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ করেছে

দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২০২৩ সালে পাঁচটি ব্যাংক এক টাকাও সিএসআরে ব্যয় করেনি। এগুলো হলো, বেসিক ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।

অন্যদিকে, ২০২২ সালে নয়টি ব্যাংক নিট মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। সেগুলো হলো, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। তবে এই নয় ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি নিট মুনাফা অর্জন না করা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে সিএসআরে ব্যয় করেছে। ব্যাংকগুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর সারা বিশ্বে তিন স্তরভিত্তিক কাঠামো হিসেবে খ্যাত, যা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে অবদান রাখে। এটি কেবল জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ নয়; এর পরিধি টেকসই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও বিস্তৃত। কাজেই, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানমূহ দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ বিভিন্ন সরকারি ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সুত্রঃ ঢাকা মেইল