ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতিসংঘে ভোট, গাজা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বাংলাদেশে এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে: ভারতীয় কূটনীতিক অমর একুশে বইমেলা ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিল নির্বাচন সংক্রান্ত দুই অধ্যাদেশ পুজা মন্ডপে আলোকবাতি পরিমিত করে সিসি ক্যমেরার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান ইউএনও’র ময়মনসিংহে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ শিক্ষা অফিসারের রাজশাহী অঞ্চলে মাধ্যমিক শিক্ষার ২৪০ শিক্ষক-কর্মকর্তার মধ্যে ১৫৮ পদ শূন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা পুঠিয়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রবিবার বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’

দেশের আওয়াজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বছরের দ্বিতীয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে বিস্ময়কর দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পুরো বিশ্ব। অর্থাৎ, চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। বিজ্ঞানীরা একে ‘ব্লাড মুন’ নামে আখ্যায়িত করছেন।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবে এই দুর্লভ চন্দ্রগ্রহণ।

এই চন্দ্রগ্রহণ চলবে প্রায় ৮২ মিনিট, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম গ্রহণ বলে জানিয়েছে মহাকাশবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডটকম। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা যাবে এই গ্রহণ। বিশ্বের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষই এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পারবে। বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এই মহাজাগতিক ঘটনা।

বাংলাদেশ আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিট থেকে। এ সময় চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করতে থাকবে। চাঁদের পুরোপুরি লালচে রূপ, অর্থাৎ ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এরপর, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ৫৫ মিনিটে চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবে।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ব্লাড মুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ সুরক্ষা চশমা বা সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে না। ফলে খালি চোখেই নিরাপদে দেখা যাবে। আরও স্পষ্ট দৃশ্য দেখতে চাইলে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখন, যখন পৃথিবী সরাসরি সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে এবং চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার সবচেয়ে গাঢ় অংশ, অর্থাৎ ‘আমব্রা’র মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। গ্রহণের শুরু ও শেষে চাঁদ পৃথিবীর হালকা ছায়া ‘পেনামব্রা’য় থাকায় কিছুটা ম্লান দেখায়।

চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের যে লালচে আভা দেখা যায়, তা ঘটে ‘রে লি স্ক্যাটারিং’ নামের এক বৈজ্ঞানিক কারণে। ঠিক যেভাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ লালচে হয়ে ওঠে, একই প্রক্রিয়ায় চন্দ্রগ্রহণেও চাঁদ রক্তবর্ণ ধারণ করে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী সরাসরি সূর্যালোক চাঁদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয়। তবে কিছু সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হয়ে চাঁদের দিকে পৌঁছায়। এ সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা আলোতে থাকা নীল ও বেগুনি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি ছড়িয়ে পড়ে আর লাল ও কমলা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো অপেক্ষাকৃত কম ছড়িয়ে চাঁদের দিকে বেঁকে যায়। ফলস্বরূপ, চাঁদ একধরনের লালচে আভা ধারণ করে। এই বৈজ্ঞানিক ঘটনাটিই ‘ব্লাড মুন’ নামের উৎস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রবিবার বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’

আপডেট সময় : ১১:২৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বছরের দ্বিতীয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে বিস্ময়কর দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পুরো বিশ্ব। অর্থাৎ, চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। বিজ্ঞানীরা একে ‘ব্লাড মুন’ নামে আখ্যায়িত করছেন।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবে এই দুর্লভ চন্দ্রগ্রহণ।

এই চন্দ্রগ্রহণ চলবে প্রায় ৮২ মিনিট, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম গ্রহণ বলে জানিয়েছে মহাকাশবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডটকম। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা যাবে এই গ্রহণ। বিশ্বের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষই এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পারবে। বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এই মহাজাগতিক ঘটনা।

বাংলাদেশ আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিট থেকে। এ সময় চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করতে থাকবে। চাঁদের পুরোপুরি লালচে রূপ, অর্থাৎ ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এরপর, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ৫৫ মিনিটে চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবে।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ব্লাড মুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ সুরক্ষা চশমা বা সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে না। ফলে খালি চোখেই নিরাপদে দেখা যাবে। আরও স্পষ্ট দৃশ্য দেখতে চাইলে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখন, যখন পৃথিবী সরাসরি সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে এবং চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার সবচেয়ে গাঢ় অংশ, অর্থাৎ ‘আমব্রা’র মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। গ্রহণের শুরু ও শেষে চাঁদ পৃথিবীর হালকা ছায়া ‘পেনামব্রা’য় থাকায় কিছুটা ম্লান দেখায়।

চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের যে লালচে আভা দেখা যায়, তা ঘটে ‘রে লি স্ক্যাটারিং’ নামের এক বৈজ্ঞানিক কারণে। ঠিক যেভাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ লালচে হয়ে ওঠে, একই প্রক্রিয়ায় চন্দ্রগ্রহণেও চাঁদ রক্তবর্ণ ধারণ করে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী সরাসরি সূর্যালোক চাঁদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয়। তবে কিছু সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হয়ে চাঁদের দিকে পৌঁছায়। এ সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা আলোতে থাকা নীল ও বেগুনি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি ছড়িয়ে পড়ে আর লাল ও কমলা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো অপেক্ষাকৃত কম ছড়িয়ে চাঁদের দিকে বেঁকে যায়। ফলস্বরূপ, চাঁদ একধরনের লালচে আভা ধারণ করে। এই বৈজ্ঞানিক ঘটনাটিই ‘ব্লাড মুন’ নামের উৎস।