ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক

নজরুল ইসলাম তোফা//
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের অবক্ষয় বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়াতেও সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ ‘সামাজিক জীব’ একথা আমরা বলে থাকি। কিন্তু আমি বলবো যে,- মানুষ হিংসুটে জীব। মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। সব মানুষেরই তো ‘কোনো না কোনো কর্মের’ চাহিদা কিংবা কর্মের পরিধি বিস্তারের প্রয়োজন আছে। মানুষের কাছ থেকেই মানুষরা সব সময় সেই গুলোকে প্রত্যাশা করে। প্রত্যেক সমাজে তার সদস্যদের আচরণ পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি থাকে। নীতিহীন সমাজ হয় ‘উচ্ছৃঙ্খল, বিভ্রান্তিকর ও অনিশ্চিত”। তাইতো দেখা যাচ্ছে- সমাজের সঙ্গে সেস্যাল মিডিয়াতে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। মানুষদের মধ্যেই – “রুচিহীন চিন্তা ভাবনা”, বাজে মন্তব্য এবং গালিগালাজের মতো নানান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।নষ্ট হচ্ছে পবিত্র সম্পর্কগুলো। চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান হয়ে যাচ্ছে অনেক বেশি।ফলে বেড়ে যাচ্ছে- অপরাধ এবং হিংসার প্রবণতা। মা-বাবার মতো আপনজনসহ ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের নির্ভেজাল সম্পর্কের জায়গাগুলোতেও ফাটল ধরেছে। ঢুকে পড়েছে অবিশ্বাস। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কেও সৃষ্টি হচ্ছে আস্থার সংকট। আর তো এই ‘সোস্যাল মিডিয়ার কথা’ বাদই দিলাম। এখানে মানুষের মধ্যে নুন্যতম “বিবেচনাবোধের” কোনোই জায়গায় নেই। মানুষকে মানুষ এতোটাই সস্তা মনে করছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

আমরা নাকি সভ্য যুগের সামাজিক প্রাণির শ্রেষ্ঠ মানুষ। হ্যাঁ সামাজিকই তো! তাই একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও পেয়েছি। আর সেখানে আমাদের চাহিদা নিয়ে অনেক কিছুই আপলোড করি। আমাদের চাহিদা গুলো অনুধাবন করে জুকার্বাগ তৈরী করেছেন ফেসবুক। এই ফেসবুকে সুবিধা যেমন আছে এবং অসুবিধাও রয়েছে। বর্তমানে ”ইন্টারনেট” ব্যবহার করে যারা, তারা গুগলের এক জরিপে পড়েছে। শুধু মাত্র আমাদের বাংলাদেশেই প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ -“ফেসবুক ব্যবহার” করেন। সংখ্যা দিয়ে হিসেব করলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭ কোটি। তার মধ্যেই আবার অসংখ্য ভুয়া আইডিও রয়েছে। ভুয়া মানুষেরা ‘ভুয়া আচরণ কিংবা খারাপ’ করবে- এটাই কি স্বাভাবিক নয়। আজকের দিনে ভুয়ামানুষ ক্রাইম করার জন্যই ‘যোগাযোগ’ রক্ষার্থে খুব গুরুত্ব পূর্ণ করে নিয়েছে – “সোস্যাল মিডিয়ার ফেসবুক”। গদে বাঁধা কিছু ভূমিকা লিখে অথবা নিজের অসংগতি পূর্ণ- ‘মনের ভাব’ প্রকাশ করে সহজেই ফেসবুকে পোস্ট করছেন। কিন্তু বর্তমানে এ সমাজের সবচেয়ে বড় জলন্ত প্রশ্নটি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ। এই মাধ্যমটি কতটুকু ‘সামাজিকতা’ রাখতে পেরেছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আজকে থমকে যেতে হয়। তরুণপ্রজন্ম যখন নেশাখোরের মত সোস্যাল মিডিয়া- ‘ফেসবুক’ ব্যবহার করে, সেখানে বড়দের শ্রদ্ধা করে না তারা। ”ইনবক্সে গালি সহ অশ্লীল আচরণ” করে কিংবা সেসব তরুণ ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে অপকর্মও করে। তাদের নৈতিকতা কী চরম- “প্রশ্নবিদ্ধ” নয়? এমন ফেসবুকে আপনার তথ্য আদান প্রদান করা কি ‘আদৌ নিরাপদ’ হবে? এই প্রশ্ন গুলো যখন চোখের সামনে ভাসে, তখন আমরা নিশ্চিত হয়েই- বলতে পারি বর্তমান সময়ে মূল্যবোধের সর্ব বৃহৎ অবক্ষয়ের- “প্রধাণ কারণই ফেসবুক”।

এ আলোচনাটি পরিস্কার করা লক্ষ্যে বেশকিছু উদাহরণ টানতে পারি। স্বভাবই আপনাদের প্রশ্ন আসতেই পারে, সে প্রশ্ন হলো ফেসবুক আসার আগে কি মূল্যবোধ ঠিক ছিল? কিংবা আপেল ছুড়ির গল্প শুনিয়ে কেউ জিজ্ঞাস করেন মূল্যবোধ অবক্ষয়ের জন্য দায়ি কী এই ফেসবুক নাকি ফেসবুকের ব্যবহারকারী? এর প্রশ্ন গুলোর উত্তর খোঁজার জন্যই আমাদেরকে একটু বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতার দিকে আলোকপাত করতে হবে। আজকে ৭ কোটির মত মানুষ ফেসবুকের সঙ্গে কোননা কোনভাবে সংযুক্ত আছে। এদের মধ্যে খুব বড় একটা অংশ সমাজ বাস্তবতা থেকে দূরে গিয়ে “ভার্চুয়াল জগত” নিয়েই পড়ে থাকতে পছন্দ করে। ফলে তাদের আশেপাশে কি ঘটছে এই সম্পর্কে কোন হুশ থাকে না। ফেসবুকে যেহেতু ভুয়া আইডি খোলা যায়, তাই তো ভূয়া আইডির সুযোগ নিয়ে অনেকে নানা ধরণের উড়ো খবর দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। কারও সম্পর্কে অনেক আজে বাজে কিছু লিখে বা কোন স্থির বা চলমান চিত্র দিয়ে মান সম্মানে আঘাত হানে। ভুয়া আইডির উড়ো খবরে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে খুব সিরিয়াস কিছু ঘটান। অবশ্যই এই সম্পর্কে খুব বড় একটা উদাহরণ দেওয়া যায়, যেমন- “রামুর ঘটনা”। বাংলাদেশে ফেসবুকের কোন সার্ভার না থাকায় এটিকে নজরদারীর বাইর থাকে। আর এসুযোগ কাজে লাগায়ে কু-চরিত্রের মানুষরা সোস্যাল মিডিয়ায় ‘সন্ত্রাসী’ করছে। ফেসবুকের পেজ গুলো অনেক সহজ লভ্য, তাই- সকল শ্রেণীর মানুষ এটিকে খুব সহজে- যত পারে ততই খুলে। তাদের পেজের এডমিন যেহেতু পাঠকের কাছে অজানা তাই, এই সুযোগে নেতিবাচক বা খারাপ তথ্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে খুব সহজেই। বর্তমানে ফেসবুকের কারণেই মানুষের মধ্যে “গোপন ছবি কিংবা ভিডিও ধারণের প্রবনতা” বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ফেসবুক দিয়ে আনন্দ নেয়া কিংবা ব্ল্যাক মেইল করা।

যাই হোক আর একটু বলি,- সেই সব মানুষের সেলফির প্রবনতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ফেসবুক। বেশ কিছু দিন আগে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যাদের মধ্যে ফেলফির প্রবনতা বেশীর কারণটা হলো- তারা কোন না কোন ভাবেই যেন মানসিক কষ্টে ভুগে। বেশকিছু অসাধু শ্রেণীর মানুষ আইডি হ্যাক করে নানান মুখরোচক খবর ছড়ানোর কাজে লিপ্ত হয়। শেষ করার আগে কিছু কথা না বললেই নয়, আমাদের সমাজে অল্পশিক্ষিত মানুষরা ফেসবুক আইডি খোলার সুবাদে ইনবক্সে বিভিন্ন ভাবেই গালিগালাজ করে। তারা বয়সে ছোট হলেও বড়দেরকে তোয়াক্কা করে না। সুতরাং এই আলোচনার মুল উদ্দেশ্য হলো,- ফেসবুকের মাধ্যমেই যেন আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় সৃষ্টি। তো আমি জোর দিয়ে বলবো যে, বর্তমান সময়ে মূল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রধান কারণই ”ফেসবুক”।।

লেখক: টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং অধ্যাপক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক

আপডেট সময় : ১০:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের অবক্ষয় বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়াতেও সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ ‘সামাজিক জীব’ একথা আমরা বলে থাকি। কিন্তু আমি বলবো যে,- মানুষ হিংসুটে জীব। মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। সব মানুষেরই তো ‘কোনো না কোনো কর্মের’ চাহিদা কিংবা কর্মের পরিধি বিস্তারের প্রয়োজন আছে। মানুষের কাছ থেকেই মানুষরা সব সময় সেই গুলোকে প্রত্যাশা করে। প্রত্যেক সমাজে তার সদস্যদের আচরণ পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি থাকে। নীতিহীন সমাজ হয় ‘উচ্ছৃঙ্খল, বিভ্রান্তিকর ও অনিশ্চিত”। তাইতো দেখা যাচ্ছে- সমাজের সঙ্গে সেস্যাল মিডিয়াতে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। মানুষদের মধ্যেই – “রুচিহীন চিন্তা ভাবনা”, বাজে মন্তব্য এবং গালিগালাজের মতো নানান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।নষ্ট হচ্ছে পবিত্র সম্পর্কগুলো। চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান হয়ে যাচ্ছে অনেক বেশি।ফলে বেড়ে যাচ্ছে- অপরাধ এবং হিংসার প্রবণতা। মা-বাবার মতো আপনজনসহ ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের নির্ভেজাল সম্পর্কের জায়গাগুলোতেও ফাটল ধরেছে। ঢুকে পড়েছে অবিশ্বাস। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কেও সৃষ্টি হচ্ছে আস্থার সংকট। আর তো এই ‘সোস্যাল মিডিয়ার কথা’ বাদই দিলাম। এখানে মানুষের মধ্যে নুন্যতম “বিবেচনাবোধের” কোনোই জায়গায় নেই। মানুষকে মানুষ এতোটাই সস্তা মনে করছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

আমরা নাকি সভ্য যুগের সামাজিক প্রাণির শ্রেষ্ঠ মানুষ। হ্যাঁ সামাজিকই তো! তাই একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও পেয়েছি। আর সেখানে আমাদের চাহিদা নিয়ে অনেক কিছুই আপলোড করি। আমাদের চাহিদা গুলো অনুধাবন করে জুকার্বাগ তৈরী করেছেন ফেসবুক। এই ফেসবুকে সুবিধা যেমন আছে এবং অসুবিধাও রয়েছে। বর্তমানে ”ইন্টারনেট” ব্যবহার করে যারা, তারা গুগলের এক জরিপে পড়েছে। শুধু মাত্র আমাদের বাংলাদেশেই প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ -“ফেসবুক ব্যবহার” করেন। সংখ্যা দিয়ে হিসেব করলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭ কোটি। তার মধ্যেই আবার অসংখ্য ভুয়া আইডিও রয়েছে। ভুয়া মানুষেরা ‘ভুয়া আচরণ কিংবা খারাপ’ করবে- এটাই কি স্বাভাবিক নয়। আজকের দিনে ভুয়ামানুষ ক্রাইম করার জন্যই ‘যোগাযোগ’ রক্ষার্থে খুব গুরুত্ব পূর্ণ করে নিয়েছে – “সোস্যাল মিডিয়ার ফেসবুক”। গদে বাঁধা কিছু ভূমিকা লিখে অথবা নিজের অসংগতি পূর্ণ- ‘মনের ভাব’ প্রকাশ করে সহজেই ফেসবুকে পোস্ট করছেন। কিন্তু বর্তমানে এ সমাজের সবচেয়ে বড় জলন্ত প্রশ্নটি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ। এই মাধ্যমটি কতটুকু ‘সামাজিকতা’ রাখতে পেরেছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আজকে থমকে যেতে হয়। তরুণপ্রজন্ম যখন নেশাখোরের মত সোস্যাল মিডিয়া- ‘ফেসবুক’ ব্যবহার করে, সেখানে বড়দের শ্রদ্ধা করে না তারা। ”ইনবক্সে গালি সহ অশ্লীল আচরণ” করে কিংবা সেসব তরুণ ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে অপকর্মও করে। তাদের নৈতিকতা কী চরম- “প্রশ্নবিদ্ধ” নয়? এমন ফেসবুকে আপনার তথ্য আদান প্রদান করা কি ‘আদৌ নিরাপদ’ হবে? এই প্রশ্ন গুলো যখন চোখের সামনে ভাসে, তখন আমরা নিশ্চিত হয়েই- বলতে পারি বর্তমান সময়ে মূল্যবোধের সর্ব বৃহৎ অবক্ষয়ের- “প্রধাণ কারণই ফেসবুক”।

এ আলোচনাটি পরিস্কার করা লক্ষ্যে বেশকিছু উদাহরণ টানতে পারি। স্বভাবই আপনাদের প্রশ্ন আসতেই পারে, সে প্রশ্ন হলো ফেসবুক আসার আগে কি মূল্যবোধ ঠিক ছিল? কিংবা আপেল ছুড়ির গল্প শুনিয়ে কেউ জিজ্ঞাস করেন মূল্যবোধ অবক্ষয়ের জন্য দায়ি কী এই ফেসবুক নাকি ফেসবুকের ব্যবহারকারী? এর প্রশ্ন গুলোর উত্তর খোঁজার জন্যই আমাদেরকে একটু বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতার দিকে আলোকপাত করতে হবে। আজকে ৭ কোটির মত মানুষ ফেসবুকের সঙ্গে কোননা কোনভাবে সংযুক্ত আছে। এদের মধ্যে খুব বড় একটা অংশ সমাজ বাস্তবতা থেকে দূরে গিয়ে “ভার্চুয়াল জগত” নিয়েই পড়ে থাকতে পছন্দ করে। ফলে তাদের আশেপাশে কি ঘটছে এই সম্পর্কে কোন হুশ থাকে না। ফেসবুকে যেহেতু ভুয়া আইডি খোলা যায়, তাই তো ভূয়া আইডির সুযোগ নিয়ে অনেকে নানা ধরণের উড়ো খবর দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। কারও সম্পর্কে অনেক আজে বাজে কিছু লিখে বা কোন স্থির বা চলমান চিত্র দিয়ে মান সম্মানে আঘাত হানে। ভুয়া আইডির উড়ো খবরে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে খুব সিরিয়াস কিছু ঘটান। অবশ্যই এই সম্পর্কে খুব বড় একটা উদাহরণ দেওয়া যায়, যেমন- “রামুর ঘটনা”। বাংলাদেশে ফেসবুকের কোন সার্ভার না থাকায় এটিকে নজরদারীর বাইর থাকে। আর এসুযোগ কাজে লাগায়ে কু-চরিত্রের মানুষরা সোস্যাল মিডিয়ায় ‘সন্ত্রাসী’ করছে। ফেসবুকের পেজ গুলো অনেক সহজ লভ্য, তাই- সকল শ্রেণীর মানুষ এটিকে খুব সহজে- যত পারে ততই খুলে। তাদের পেজের এডমিন যেহেতু পাঠকের কাছে অজানা তাই, এই সুযোগে নেতিবাচক বা খারাপ তথ্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে খুব সহজেই। বর্তমানে ফেসবুকের কারণেই মানুষের মধ্যে “গোপন ছবি কিংবা ভিডিও ধারণের প্রবনতা” বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই ফেসবুক দিয়ে আনন্দ নেয়া কিংবা ব্ল্যাক মেইল করা।

যাই হোক আর একটু বলি,- সেই সব মানুষের সেলফির প্রবনতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ফেসবুক। বেশ কিছু দিন আগে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যাদের মধ্যে ফেলফির প্রবনতা বেশীর কারণটা হলো- তারা কোন না কোন ভাবেই যেন মানসিক কষ্টে ভুগে। বেশকিছু অসাধু শ্রেণীর মানুষ আইডি হ্যাক করে নানান মুখরোচক খবর ছড়ানোর কাজে লিপ্ত হয়। শেষ করার আগে কিছু কথা না বললেই নয়, আমাদের সমাজে অল্পশিক্ষিত মানুষরা ফেসবুক আইডি খোলার সুবাদে ইনবক্সে বিভিন্ন ভাবেই গালিগালাজ করে। তারা বয়সে ছোট হলেও বড়দেরকে তোয়াক্কা করে না। সুতরাং এই আলোচনার মুল উদ্দেশ্য হলো,- ফেসবুকের মাধ্যমেই যেন আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় সৃষ্টি। তো আমি জোর দিয়ে বলবো যে, বর্তমান সময়ে মূল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রধান কারণই ”ফেসবুক”।।

লেখক: টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং অধ্যাপক।