ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুলা চাষ করে লাভবান কৃষক আফাজ উদ্দিন

ময়মনসিংহ প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন ৮ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। ৩ হাজার টাকা খরচে ইতিমধ্যে তিনি ১৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ১০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

নিজের জমিতে সিড বারি-৪ জাতের মুলা চাষ করেছেন তিনি। প্রতি হালি মুলা ৬০ টাকা, ৪০ টাকা এবং বর্তমানে ২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি করছেন।

তার মুলা চাষ দেখে অন্যরাও মুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।পাশাপাশি অন্যদের মুলা চাষে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। কৃষক আফাজ উদ্দিন প্রতি বছরের মতো এবারও ৮ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করেছেন।

মুলা চাষের জন্য নান্দাইলের আবহাওয়া,মাটি উপযোগী হওয়ায় ফলনও হচ্ছে বেশ। উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে বানিজ্যিকভাবে মুলা চাষ করেছেন কৃষক। বাজারে দাম ভালো আর চাহিদা থাকায় অল্প পরিশ্রমের এ ফসলটি চাষ করে কৃষক স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সবাই অপ্রত্যাশিত আয় করে সংসারের আয় কবে চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি কিছু করছেন প্রতি বছরই।সঞ্চয় করছেন টাকা-পয়সা।

সরেজমিন আফাজের মুলা ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়,প্রতিটি মূলার আকৃতি অনেক বড়। মনে হয় যেন মাটির নীচ থেকে সাদা রংয়ের গুপ্তধন বেরিয়ে এসেছে।বাজারে বিক্রির জন্য তিনি মুলা তুলছেন।তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে রোমান মিয়া তার কাজে সাহায্য করছেন।

কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন,প্রতি বছরের মতো এবারও ৮ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করছি।সিড বারি-৪ জাতের মুলা লাগাইছি।অনেক ভালো ফলন অইছে।মুলাও অনেক বড় ও লম্বা অইছে।খাইতেও খুব স্বাদ। ক্ষেত থেকে পাইকাররা আইয়া কিনে লইয়া যায়।বাজারেও নিয়া বেচি।

তিনি জানান,মুলা ক্ষেতের যত্ন হিসাবে একবার ইউরিয়া সার ও পামি দিয়েছিলেন। এর বেশী আর কিছু তিনি ব্যবহার করেননি।

কৃষক আফাজ উদ্দিনের ছেলে রোমান মিয়া বলেন,বাবার কাজে আমি সাহায্য করি।এইবার মুলা চাষ করে অনেক লাভবান। ৩ হাজার টাকা খরচে এখন এপর্যন্ত ১৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করছি।অনেক ভালো লাগছে মুলার ভালো দাম পেয়ে।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, উপজেলায় দিন দিন মুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুলাসহ কিটনাশকমুক্ত বিভিন্ন সবজি চাষ করার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুলা চাষ করে লাভবান কৃষক আফাজ উদ্দিন

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন ৮ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। ৩ হাজার টাকা খরচে ইতিমধ্যে তিনি ১৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ১০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

নিজের জমিতে সিড বারি-৪ জাতের মুলা চাষ করেছেন তিনি। প্রতি হালি মুলা ৬০ টাকা, ৪০ টাকা এবং বর্তমানে ২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি করছেন।

তার মুলা চাষ দেখে অন্যরাও মুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।পাশাপাশি অন্যদের মুলা চাষে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। কৃষক আফাজ উদ্দিন প্রতি বছরের মতো এবারও ৮ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করেছেন।

মুলা চাষের জন্য নান্দাইলের আবহাওয়া,মাটি উপযোগী হওয়ায় ফলনও হচ্ছে বেশ। উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে বানিজ্যিকভাবে মুলা চাষ করেছেন কৃষক। বাজারে দাম ভালো আর চাহিদা থাকায় অল্প পরিশ্রমের এ ফসলটি চাষ করে কৃষক স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সবাই অপ্রত্যাশিত আয় করে সংসারের আয় কবে চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি কিছু করছেন প্রতি বছরই।সঞ্চয় করছেন টাকা-পয়সা।

সরেজমিন আফাজের মুলা ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়,প্রতিটি মূলার আকৃতি অনেক বড়। মনে হয় যেন মাটির নীচ থেকে সাদা রংয়ের গুপ্তধন বেরিয়ে এসেছে।বাজারে বিক্রির জন্য তিনি মুলা তুলছেন।তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে রোমান মিয়া তার কাজে সাহায্য করছেন।

কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন,প্রতি বছরের মতো এবারও ৮ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করছি।সিড বারি-৪ জাতের মুলা লাগাইছি।অনেক ভালো ফলন অইছে।মুলাও অনেক বড় ও লম্বা অইছে।খাইতেও খুব স্বাদ। ক্ষেত থেকে পাইকাররা আইয়া কিনে লইয়া যায়।বাজারেও নিয়া বেচি।

তিনি জানান,মুলা ক্ষেতের যত্ন হিসাবে একবার ইউরিয়া সার ও পামি দিয়েছিলেন। এর বেশী আর কিছু তিনি ব্যবহার করেননি।

কৃষক আফাজ উদ্দিনের ছেলে রোমান মিয়া বলেন,বাবার কাজে আমি সাহায্য করি।এইবার মুলা চাষ করে অনেক লাভবান। ৩ হাজার টাকা খরচে এখন এপর্যন্ত ১৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করছি।অনেক ভালো লাগছে মুলার ভালো দাম পেয়ে।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, উপজেলায় দিন দিন মুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুলাসহ কিটনাশকমুক্ত বিভিন্ন সবজি চাষ করার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।