ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতিসংঘে ভোট, গাজা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বাংলাদেশে এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে: ভারতীয় কূটনীতিক অমর একুশে বইমেলা ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিল নির্বাচন সংক্রান্ত দুই অধ্যাদেশ পুজা মন্ডপে আলোকবাতি পরিমিত করে সিসি ক্যমেরার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান ইউএনও’র ময়মনসিংহে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ শিক্ষা অফিসারের রাজশাহী অঞ্চলে মাধ্যমিক শিক্ষার ২৪০ শিক্ষক-কর্মকর্তার মধ্যে ১৫৮ পদ শূন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা পুঠিয়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ শিক্ষা অফিসারের

ময়মনসিংহ প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের শাঁখারীপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ব্যক্তি মালিকানায় নিতে জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে জমির মালিকানা দাবি করে বিপুল কুমার সিংহ রায় নামের ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় বিদ্যালয়ের জমি ব্যক্তিমালিকানায় চলে যাওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসকের ব্যর্থতা আছে মর্মে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিসার,তিনি দাবী করেছেন সংবাদ পত্রটির প্রতিনিধি তার দেওয়া সঠিক বক্তব্য উপস্থাপন না করে অসত্য তথ্য প্রচার করেছে। শিক্ষা অফিসার এই অসত্য তথ্য আমার দেশ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশিত হওয়ায় সংবাদটিকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বানোয়াট বলে দাবী করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াবায়দুল্লাহ বলেন আমার বক্তব্য ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখল সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার উদ্ভব হলে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাগণকে বিবাদী করার কথা। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কোন প্রতিনিধিকে বিবাদী না করায় উক্ত মামলার বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অগোচরে ছিলো। কাজেই উক্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের ব্যর্থতা রয়েছে মর্মে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই ধরনের সাংবাদে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানান। একই সাথে সেই সাথে সংবাদদাতা কে আরো দায়িত্বশীলতার সাথে সংবাদ প্রকাশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সুত্র মতে-ময়মনসিংহের শাঁখারীপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৪৫ সালে সাত শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টির জাতীয়করণও হয়। সম্প্রতি সরকারি অর্থায়নে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন তিনতলা ভবন নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। কিন্তু বিপুল কুমার সিংহ রায় নামের ব্যক্তি জমিটি তাদের ওয়ারিশান সম্পত্তি এবং অর্পিত সম্পত্তি দাবী করায় এলাকাবাসী হতাশ হয়েছেন। যেখানে মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জমি দেয় সেখানে
বিপুল কুমার সিংহ রায় স্কুলের সম্পদ নিজের বলে দাবী করে স্থানীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাধা গ্রস্থ করছে বলেও এলাকায় সমালোচনা চলছে। শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে -সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জমার তদারকি করার দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের , মামলা হলে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে করে তাদেরকে বিবাদী করতে হবে,তা না করে বিপুল কুমার সিংহ রায় ষড়যন্ত্র করে জেলা প্রশাসককে বিবাদী করেছে। বিপুল কুমার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে স্কুলের জমি তাদের ব্যক্তি মালিকানায় নিতে কাজ করছে এবং আইন-আদালতকেও ধোকা দিয়েছে বলে মন্তব্য চলছে স্থানীয় মহলে।

তার মামলা প্রায়১২ বছর মামলা চললেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা শিক্ষা বিভাগ আদালত থেকে কোনো নোটিস বা সমন না পাওয়ার ঘটনা প্রশাসনের ইচ্ছাকৃত নীরবতা বা গাফিলতি নয় বরং এটা বাদীর কার্পণ্য। বাদী ইচ্ছাকৃত ভাবে স্কুলের জমি বেদখলে নিতে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে নোটিশ গোপন করেছে এমনটাও হতে পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিশ হাতে পেলে কর্তৃপক্ষ মামলার মোকাবিলা করবে এমন ভয় হয়তোবা ছিলো বাদীর মাঝে। এটা তার বড় ষড়যন্ত্র।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন,আমাদেরকে বিবাদী করেনি। আমাদের বিবাদী করলে আমরা আদালতে নিয়মিত জবাব দিতে পারতাম। ষড়যন্ত্র করে এই কাজটি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় আমাদের আইন শাখায় কথা বলেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই হাইকোর্টে রিট করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ময়মনসিংহে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ শিক্ষা অফিসারের

আপডেট সময় : ১১:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহের শাঁখারীপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ব্যক্তি মালিকানায় নিতে জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে জমির মালিকানা দাবি করে বিপুল কুমার সিংহ রায় নামের ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় বিদ্যালয়ের জমি ব্যক্তিমালিকানায় চলে যাওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসকের ব্যর্থতা আছে মর্মে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিসার,তিনি দাবী করেছেন সংবাদ পত্রটির প্রতিনিধি তার দেওয়া সঠিক বক্তব্য উপস্থাপন না করে অসত্য তথ্য প্রচার করেছে। শিক্ষা অফিসার এই অসত্য তথ্য আমার দেশ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশিত হওয়ায় সংবাদটিকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বানোয়াট বলে দাবী করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াবায়দুল্লাহ বলেন আমার বক্তব্য ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখল সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার উদ্ভব হলে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাগণকে বিবাদী করার কথা। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কোন প্রতিনিধিকে বিবাদী না করায় উক্ত মামলার বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অগোচরে ছিলো। কাজেই উক্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের ব্যর্থতা রয়েছে মর্মে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই ধরনের সাংবাদে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানান। একই সাথে সেই সাথে সংবাদদাতা কে আরো দায়িত্বশীলতার সাথে সংবাদ প্রকাশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সুত্র মতে-ময়মনসিংহের শাঁখারীপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৪৫ সালে সাত শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টির জাতীয়করণও হয়। সম্প্রতি সরকারি অর্থায়নে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন তিনতলা ভবন নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। কিন্তু বিপুল কুমার সিংহ রায় নামের ব্যক্তি জমিটি তাদের ওয়ারিশান সম্পত্তি এবং অর্পিত সম্পত্তি দাবী করায় এলাকাবাসী হতাশ হয়েছেন। যেখানে মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জমি দেয় সেখানে
বিপুল কুমার সিংহ রায় স্কুলের সম্পদ নিজের বলে দাবী করে স্থানীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাধা গ্রস্থ করছে বলেও এলাকায় সমালোচনা চলছে। শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে -সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জমার তদারকি করার দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের , মামলা হলে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে করে তাদেরকে বিবাদী করতে হবে,তা না করে বিপুল কুমার সিংহ রায় ষড়যন্ত্র করে জেলা প্রশাসককে বিবাদী করেছে। বিপুল কুমার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে স্কুলের জমি তাদের ব্যক্তি মালিকানায় নিতে কাজ করছে এবং আইন-আদালতকেও ধোকা দিয়েছে বলে মন্তব্য চলছে স্থানীয় মহলে।

তার মামলা প্রায়১২ বছর মামলা চললেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা শিক্ষা বিভাগ আদালত থেকে কোনো নোটিস বা সমন না পাওয়ার ঘটনা প্রশাসনের ইচ্ছাকৃত নীরবতা বা গাফিলতি নয় বরং এটা বাদীর কার্পণ্য। বাদী ইচ্ছাকৃত ভাবে স্কুলের জমি বেদখলে নিতে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে নোটিশ গোপন করেছে এমনটাও হতে পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিশ হাতে পেলে কর্তৃপক্ষ মামলার মোকাবিলা করবে এমন ভয় হয়তোবা ছিলো বাদীর মাঝে। এটা তার বড় ষড়যন্ত্র।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন,আমাদেরকে বিবাদী করেনি। আমাদের বিবাদী করলে আমরা আদালতে নিয়মিত জবাব দিতে পারতাম। ষড়যন্ত্র করে এই কাজটি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় আমাদের আইন শাখায় কথা বলেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই হাইকোর্টে রিট করা হবে।