ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় পলিথিন দিয়ে বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার চেষ্টা কৃষকের

নাজিম হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সেই সাথে বেড়েছে বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায় কৃষকের আপ্রান চেষ্টা। এবার আগাম বোরো ধান রোপণে বাগমারার কৃষক কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। কৃষকের এখন দম ফেলার সময় নেই। বাগমারার ১৬ টি ইউনিয়নে কমবেশি বোরো ধানের আবাদ হয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন খাল বিল সহ নীচু এলাকায় কৃষক বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার ১৬ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে বিশ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে এবার অনুকুল আবহাওয়া ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তার কারণে লক্ষমাত্রার চেয়ে আরো দেড় হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান জানান, গত বছর সাত বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। এবার আরো দুই বিঘা বেশি জমিতে বোরো ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বোরো ধান চাষের জন্য এবার তিনি বাড়ির কাছে একটি (কাচলে) ছোট জলাসয়ে বীজতলা তৈরি করেছেন। তবে প্রচণ্ড শীতের কারণে কৃষি দপ্তরের পরামর্শে বোরো বীজতলা গুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। তার মতে গত বছর এই পলিথিন দিয়ে না ঢাকার কারণে তার বেশ কিছু বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে নষ্ট হয়ে যায়। হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খামার গ্রামের আরেক কৃষক মঞ্জুর রহমান জানান, তিনি এবার চার বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করবেন। তবে এই জন্য তিনি কিছুটা বাড়তি জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করেছেন। এসব বাড়তি চারা তিনি বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তিনিও বোরোর বীজতলা রক্ষায় পলিথিন পদ্ধতি শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাগমারায় এবার বোরোর আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ধানের চলতি বাজার মূল্য আশানুরুপ থাকায় কৃষক বোরো চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় পলিথিন দিয়ে বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার চেষ্টা কৃষকের

আপডেট সময় : ১২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সেই সাথে বেড়েছে বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায় কৃষকের আপ্রান চেষ্টা। এবার আগাম বোরো ধান রোপণে বাগমারার কৃষক কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। কৃষকের এখন দম ফেলার সময় নেই। বাগমারার ১৬ টি ইউনিয়নে কমবেশি বোরো ধানের আবাদ হয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন খাল বিল সহ নীচু এলাকায় কৃষক বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার ১৬ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে বিশ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে এবার অনুকুল আবহাওয়া ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তার কারণে লক্ষমাত্রার চেয়ে আরো দেড় হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান জানান, গত বছর সাত বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। এবার আরো দুই বিঘা বেশি জমিতে বোরো ধান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বোরো ধান চাষের জন্য এবার তিনি বাড়ির কাছে একটি (কাচলে) ছোট জলাসয়ে বীজতলা তৈরি করেছেন। তবে প্রচণ্ড শীতের কারণে কৃষি দপ্তরের পরামর্শে বোরো বীজতলা গুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। তার মতে গত বছর এই পলিথিন দিয়ে না ঢাকার কারণে তার বেশ কিছু বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে নষ্ট হয়ে যায়। হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খামার গ্রামের আরেক কৃষক মঞ্জুর রহমান জানান, তিনি এবার চার বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করবেন। তবে এই জন্য তিনি কিছুটা বাড়তি জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করেছেন। এসব বাড়তি চারা তিনি বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তিনিও বোরোর বীজতলা রক্ষায় পলিথিন পদ্ধতি শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাগমারায় এবার বোরোর আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ধানের চলতি বাজার মূল্য আশানুরুপ থাকায় কৃষক বোরো চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছে।