ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পরীক্ষায় পাস’ করলে মিলবে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ!

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে

রিজার্ভ সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ইতোমধ্যে দুই দফা মোটা অংকের ঋণ দিয়েছে। এবার তৃতীয় কিস্তির ঋণের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তবে এই ঋণ পেতে হলে ‘পরীক্ষায় পাস’ করতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সংস্থাটির দেওয়া বেশির ভাগ শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করেছে। এজন্য তৃতীয় কিস্তির ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশে আইএমএফ এর আবাসিক প্রতিনিধি জায়েযন্দু দে এবং ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকলস মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ যেগুলো টার্গেট দিয়েছে আমরা তো ভালো করছি। বেশিরভাগই সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে আমাদের। এখন মার্চ মাসে তারা আবার আসবে এবং দেখবে। এটা তো চলতেই থাকে। আমার তো মনে হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপটাও আমরা মিট করব।

তৃতীয় কিস্তি কবে নাগাদ পেতে পারি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনগোয়িং টেস্টগুলোতে পাস করতে হবে। তাহলে সেটি পাওয়া যাবে।

পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভালো বলছি এটিই তো পজিটিভ নোট। ভালো না হলে কেন ভালো বলব। আমি যদি ফেল করি তাহলে কি বলব পাস করে গেছি।

তারা কি নতুন কোনো বাজেট দেবে? এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষায় পাস করলে নতুন করে দেখবে ওরা যে কী সিচুয়েশন আছে এখন। সিচ্যুয়েশন তো এখন ভালো দেখা যাচ্ছে। মানে পরীক্ষায় পাস করছি।

আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ওই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার বাংলাদেশ পায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। আর ডিসেম্বরে আসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। এবার অপেক্ষা তৃতীয় কিস্তির। মোটা অংকের এই ঋণ পেলে দেশের রিজার্ভ যেমন স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকবে তেমনি অর্থনৈতিক যে সংকট চলছে তা থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত বা মার্জ করার বিষয়ে একমত অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা ভালো। এ বিষয়ে আমাদের দুটি আইডিয়া আছে। দু-একটা ব্যাংক এমন আছে তারা একেবারেই কাজই করতে পারছে না। তাদের শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করাই ভালো।

অর্থমন্ত্রী জানান, উন্নত অর্থনীতিতে দেশগুলোতে একীভূতকরণ অহরহই হচ্ছে। তবে এখানে তা করতে সময় দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতা থাকলেও এই বিষয়ের বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘পরীক্ষায় পাস’ করলে মিলবে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ!

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রিজার্ভ সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ইতোমধ্যে দুই দফা মোটা অংকের ঋণ দিয়েছে। এবার তৃতীয় কিস্তির ঋণের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তবে এই ঋণ পেতে হলে ‘পরীক্ষায় পাস’ করতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সংস্থাটির দেওয়া বেশির ভাগ শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করেছে। এজন্য তৃতীয় কিস্তির ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশে আইএমএফ এর আবাসিক প্রতিনিধি জায়েযন্দু দে এবং ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকলস মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ যেগুলো টার্গেট দিয়েছে আমরা তো ভালো করছি। বেশিরভাগই সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে আমাদের। এখন মার্চ মাসে তারা আবার আসবে এবং দেখবে। এটা তো চলতেই থাকে। আমার তো মনে হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপটাও আমরা মিট করব।

তৃতীয় কিস্তি কবে নাগাদ পেতে পারি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনগোয়িং টেস্টগুলোতে পাস করতে হবে। তাহলে সেটি পাওয়া যাবে।

পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভালো বলছি এটিই তো পজিটিভ নোট। ভালো না হলে কেন ভালো বলব। আমি যদি ফেল করি তাহলে কি বলব পাস করে গেছি।

তারা কি নতুন কোনো বাজেট দেবে? এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষায় পাস করলে নতুন করে দেখবে ওরা যে কী সিচুয়েশন আছে এখন। সিচ্যুয়েশন তো এখন ভালো দেখা যাচ্ছে। মানে পরীক্ষায় পাস করছি।

আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ওই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার বাংলাদেশ পায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। আর ডিসেম্বরে আসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। এবার অপেক্ষা তৃতীয় কিস্তির। মোটা অংকের এই ঋণ পেলে দেশের রিজার্ভ যেমন স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকবে তেমনি অর্থনৈতিক যে সংকট চলছে তা থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত বা মার্জ করার বিষয়ে একমত অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা ভালো। এ বিষয়ে আমাদের দুটি আইডিয়া আছে। দু-একটা ব্যাংক এমন আছে তারা একেবারেই কাজই করতে পারছে না। তাদের শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করাই ভালো।

অর্থমন্ত্রী জানান, উন্নত অর্থনীতিতে দেশগুলোতে একীভূতকরণ অহরহই হচ্ছে। তবে এখানে তা করতে সময় দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতা থাকলেও এই বিষয়ের বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ।