ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোহেল রানা হত্যা মামলার ৩ আসামি রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে গ্রেফতার

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে

নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস সোহেল রানা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোমিন ওরফে মিন্টু (২৭), সাইদ মাসুম ওরফে বাবু (২২) ও নাজবুল হককে (২০) রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ও র‍্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে তিনটার সময় রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার কানাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯ নভেম্বর সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের অপারেশনস্ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম।

গ্রেফতার আসামি মো. মোমিন ওরফে মিন্টু ও মো. সাইদ মাসুম ওরফে বাবু রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর কানাপাড়ার মো. সেনাউল হকের ছেলে আর মো. নাজবুল হক একই উপজেলার উত্তর কানাপাড়ার কালাম মিয়ার ছেলে।

র‍্যাব জানায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আমতলা খাসমহল গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (১৯) প্রায় ৪ বছর পূর্বে তার পরিবারের সঙ্গে রাগ করে অবৈধ পথে ভারত চলে যায় এবং সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। অবৈধভাবে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে সোহেল রানা তার পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি। এমতাবস্থায়, গত ১৮ অক্টোবর সে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায় যে, সে ভারত হতে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু গত ২১ অক্টোবর সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল হতে সোহেল রানার গ্রামের জনৈক বাবুর মোবাইলে ফোন করে জানায়, সোহেল রানার রক্তাক্ত মরদেহ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের হাতিটিলা পাহাড়ে পড়ে আছে। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করায়।

নিহত সোহেল রানার চাচা টুটুলসহ স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করে এবং নালিতাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর র‍্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানি চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষে কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‍্যাব। পরে ১৮ নভেম্বর রাত সাড়ে তিনটার সময় র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ও র‍্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহী ক্যাম্পের যৌথ আভিযানে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর কানাপাড়া এলাকা থেকে মোমিন ওরফে মিন্টু, সাইদ মাসুম ওরফে বাবু ও নাজবুল হককে গ্রেফতার করে।

র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সোহেল রানা হত্যা মামলার ৩ আসামি রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস সোহেল রানা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোমিন ওরফে মিন্টু (২৭), সাইদ মাসুম ওরফে বাবু (২২) ও নাজবুল হককে (২০) রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ও র‍্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে তিনটার সময় রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার কানাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯ নভেম্বর সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের অপারেশনস্ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম।

গ্রেফতার আসামি মো. মোমিন ওরফে মিন্টু ও মো. সাইদ মাসুম ওরফে বাবু রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর কানাপাড়ার মো. সেনাউল হকের ছেলে আর মো. নাজবুল হক একই উপজেলার উত্তর কানাপাড়ার কালাম মিয়ার ছেলে।

র‍্যাব জানায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আমতলা খাসমহল গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (১৯) প্রায় ৪ বছর পূর্বে তার পরিবারের সঙ্গে রাগ করে অবৈধ পথে ভারত চলে যায় এবং সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। অবৈধভাবে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে সোহেল রানা তার পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি। এমতাবস্থায়, গত ১৮ অক্টোবর সে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায় যে, সে ভারত হতে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু গত ২১ অক্টোবর সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল হতে সোহেল রানার গ্রামের জনৈক বাবুর মোবাইলে ফোন করে জানায়, সোহেল রানার রক্তাক্ত মরদেহ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের হাতিটিলা পাহাড়ে পড়ে আছে। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করায়।

নিহত সোহেল রানার চাচা টুটুলসহ স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করে এবং নালিতাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর র‍্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানি চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষে কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‍্যাব। পরে ১৮ নভেম্বর রাত সাড়ে তিনটার সময় র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ও র‍্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহী ক্যাম্পের যৌথ আভিযানে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর কানাপাড়া এলাকা থেকে মোমিন ওরফে মিন্টু, সাইদ মাসুম ওরফে বাবু ও নাজবুল হককে গ্রেফতার করে।

র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।