ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারাকান্দায় শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত

ময়মনসিংহ প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩ ১৪২ বার পড়া হয়েছে

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন। পরে উপজেলা পরিষদ সেমিনার কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজাবে রহমত এর সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক।
এতে উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা সুলতানা , থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু প্রদিপ চক্রবর্তী রনু ঠাকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হুরায়রা তালুকদার , মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার কাকন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজারসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিয়েও শেখ কামাল খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন একাধারে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক। তিনি যেমন ছায়ানটে সেঁতার বাজিয়েছেন, তেমনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র নামক ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক।

বক্তারা আরো বলেন, শেখ কামাল ছিলেন অনেক গুণের অধিকারী অর্থাৎ আদর্শ বাবার আদর্শ সন্তান। তিনি ছিলেন বিনয়ী ও মার্জিত। দাম্ভিকতা ছিল তাঁর স্বভাব বিরুদ্ধ। তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো বর্তমান বাংলাদেশ যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরও আধুনিক ও প্রগতিশীল অবস্থানে আসীন থাকতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে শেখ কামালকেও আমরা হারিয়েছি। সকলে ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

সভাশেষে দিবসটি উপলক্ষে গাছের চারা রোপন ও বিতরণ এবং উপজেলা মৎস বিভাগের অধিনে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন আয়োজন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তারাকান্দায় শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত

আপডেট সময় : ০৬:২৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন। পরে উপজেলা পরিষদ সেমিনার কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজাবে রহমত এর সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক।
এতে উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা সুলতানা , থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু প্রদিপ চক্রবর্তী রনু ঠাকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হুরায়রা তালুকদার , মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার কাকন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজারসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিয়েও শেখ কামাল খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন একাধারে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক। তিনি যেমন ছায়ানটে সেঁতার বাজিয়েছেন, তেমনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র নামক ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক।

বক্তারা আরো বলেন, শেখ কামাল ছিলেন অনেক গুণের অধিকারী অর্থাৎ আদর্শ বাবার আদর্শ সন্তান। তিনি ছিলেন বিনয়ী ও মার্জিত। দাম্ভিকতা ছিল তাঁর স্বভাব বিরুদ্ধ। তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো বর্তমান বাংলাদেশ যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরও আধুনিক ও প্রগতিশীল অবস্থানে আসীন থাকতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে শেখ কামালকেও আমরা হারিয়েছি। সকলে ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

সভাশেষে দিবসটি উপলক্ষে গাছের চারা রোপন ও বিতরণ এবং উপজেলা মৎস বিভাগের অধিনে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন আয়োজন করা হয়।