ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে মজুদকৃত সার আগের দামে বিক্রিতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ

আশরাফুল আলম , তানোর থেকেঃ
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর তানোরে ডিলারদের দোকানে মজুদকৃত সার পূর্বের দামে বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছেন তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ।মঙ্গলবার ডিলারদের দোকানে দোকানে গিয়ে জুদকৃত সারের হিসার নিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত থেকে প্রতিটি সারের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখবরে অসাধু সার ব্যবসায়ীরা মজুদকৃত সার বাড়তি দামে বিক্রির জন্য নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করেন।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলায় ৯ জন বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছেন। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯জন ডিলারের কাছে ইউরিয়া সার ২৬৯ মে টন, টিএসপি ২৪৯ মে:টন ও পটাশ সাড়ে ২৫ মে: টন এবং ডিএপি ১১১.৪ মে: টন মজুদ রয়েছে।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, ডিলাররা যেন মজুদকৃত সার বেশী দামে বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য প্রতিটি ডিলার পয়েন্টে ১জন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সার বিক্রি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মজুদকৃত সার শেষ হওয়ার পরই নতুন বরাদ্দকৃত সার আসলে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করতে হবে। মজুদকৃত সারের দাম বেশী নেয়ার প্রমান পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের পক্ষ থেকে সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছিলো। দাম বাড়বে এমন খবরে অনেক ডিলার কৃষকদের চাহিদামত সার বিক্রি করেননি।

সোমবার সকল ধরনের সার কেজিতে ৫ টাকা করে বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে, কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে বুধবার পর্যন্ত পূর্বের দামে সার বিক্রি করেছেন ডিলাররা। তবে, পটাশ পাচ্ছেন না কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, বিগত দু’বছর ধরে সার নিয়ে মহা কারসাজি চলছে। বিশেষ করে পটাশ সারের সংকট কোন ভাবেই দূর হচ্ছেনা। পটাশ দ্বিগুন দামে ভরা মৌসুমে কিনতে হয়েছে।

আবার দাম বেড়েছে, এখন তো আরো বাড়তি দাম নিবেই। কর্মকর্তা রা তো ২৪ ঘন্টা বসে থেকে বিক্রি করবেন না। প্রতি বস্তায় সার থাকে ৫০ কেজি করে। বস্তায় ২৫০ টাকা বাড়তি।

বিদ্যুতের দাম বাড়তি, এজন্য সেচের খরচও বেশি, সার সংকটের দোহায়ে বাড়তি দাম নিচ্ছে, আবার সরকার বাড়িয়েছে। যাকে বলে মরার উপর খাড়ার ঘা। যত মরন কৃষকের। অথচ এই কৃষকরাই খাদ্য উৎপাদন করছে বলেই দেশে খাদ্য ঘাটতি নাই। আর কৃষককেই চারিদিক থেকে পিষ্ট করা হচ্ছে।

তানোর উপজেলা বিসিআইসির সার ডিলার সমিতির সভাপতি পৌরসভার ডিলার মোহাম্মাদ আলী বাবু বলেন, গত মঙ্গলবার কৃষি কর্মকর্তা প্রতিটি দোকানে গিয়ে সারের হিসেব নিয়ে আগের দামেই বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবারে প্রতি পয়েন্টে ১জন করে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগের মুল্যে সার বিক্রি করা হয়েছে। তবে, মজুদ কৃত সার শেষ হওয়ার পর নতুন বরাদ্দকৃত সার পেলে নতুন রেটে বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, মজুদকৃত সার পূর্বের দামে বিক্রি করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, যাদের সার মজুদ আছে তারা যেন কোনভাবেই বাড়তি দাম না নেই, যদি নেই সেক্ষেত্রে হয় তো বা লাইসেন্স বাতিলও হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তানোরে মজুদকৃত সার আগের দামে বিক্রিতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

রাজশাহীর তানোরে ডিলারদের দোকানে মজুদকৃত সার পূর্বের দামে বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছেন তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ।মঙ্গলবার ডিলারদের দোকানে দোকানে গিয়ে জুদকৃত সারের হিসার নিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত থেকে প্রতিটি সারের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখবরে অসাধু সার ব্যবসায়ীরা মজুদকৃত সার বাড়তি দামে বিক্রির জন্য নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করেন।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলায় ৯ জন বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছেন। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯জন ডিলারের কাছে ইউরিয়া সার ২৬৯ মে টন, টিএসপি ২৪৯ মে:টন ও পটাশ সাড়ে ২৫ মে: টন এবং ডিএপি ১১১.৪ মে: টন মজুদ রয়েছে।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, ডিলাররা যেন মজুদকৃত সার বেশী দামে বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য প্রতিটি ডিলার পয়েন্টে ১জন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সার বিক্রি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মজুদকৃত সার শেষ হওয়ার পরই নতুন বরাদ্দকৃত সার আসলে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করতে হবে। মজুদকৃত সারের দাম বেশী নেয়ার প্রমান পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের পক্ষ থেকে সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছিলো। দাম বাড়বে এমন খবরে অনেক ডিলার কৃষকদের চাহিদামত সার বিক্রি করেননি।

সোমবার সকল ধরনের সার কেজিতে ৫ টাকা করে বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে, কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে বুধবার পর্যন্ত পূর্বের দামে সার বিক্রি করেছেন ডিলাররা। তবে, পটাশ পাচ্ছেন না কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, বিগত দু’বছর ধরে সার নিয়ে মহা কারসাজি চলছে। বিশেষ করে পটাশ সারের সংকট কোন ভাবেই দূর হচ্ছেনা। পটাশ দ্বিগুন দামে ভরা মৌসুমে কিনতে হয়েছে।

আবার দাম বেড়েছে, এখন তো আরো বাড়তি দাম নিবেই। কর্মকর্তা রা তো ২৪ ঘন্টা বসে থেকে বিক্রি করবেন না। প্রতি বস্তায় সার থাকে ৫০ কেজি করে। বস্তায় ২৫০ টাকা বাড়তি।

বিদ্যুতের দাম বাড়তি, এজন্য সেচের খরচও বেশি, সার সংকটের দোহায়ে বাড়তি দাম নিচ্ছে, আবার সরকার বাড়িয়েছে। যাকে বলে মরার উপর খাড়ার ঘা। যত মরন কৃষকের। অথচ এই কৃষকরাই খাদ্য উৎপাদন করছে বলেই দেশে খাদ্য ঘাটতি নাই। আর কৃষককেই চারিদিক থেকে পিষ্ট করা হচ্ছে।

তানোর উপজেলা বিসিআইসির সার ডিলার সমিতির সভাপতি পৌরসভার ডিলার মোহাম্মাদ আলী বাবু বলেন, গত মঙ্গলবার কৃষি কর্মকর্তা প্রতিটি দোকানে গিয়ে সারের হিসেব নিয়ে আগের দামেই বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবারে প্রতি পয়েন্টে ১জন করে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগের মুল্যে সার বিক্রি করা হয়েছে। তবে, মজুদ কৃত সার শেষ হওয়ার পর নতুন বরাদ্দকৃত সার পেলে নতুন রেটে বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, মজুদকৃত সার পূর্বের দামে বিক্রি করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, যাদের সার মজুদ আছে তারা যেন কোনভাবেই বাড়তি দাম না নেই, যদি নেই সেক্ষেত্রে হয় তো বা লাইসেন্স বাতিলও হতে পারে।