ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাট সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাটের দূর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত লিটন মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বুধবার (২৭মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার জাওরানি সীমান্তের ৯১২ নাম্বার পিলার এলাকা দিয়ে বিজিবি ও পুলিশের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ নিহতের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করে।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় ভারতীয় বিএসএফের ৭৫ ব্যাটালিয়ন কুচবিহারের এসিস্ট্যান্ড কমান্ডার শ্রী এম.এল রানা, সিতাই থানার এসআই বিরেন্দ্র মেদরী, এএসআই মলয় সরকার এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) এর ১৫ বিজিবির অধীন জাওরানি বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম, হাতিবান্ধা থানার তদন্ত ওসি নির্মল কুমার মোহন্ত, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির আওতাধীন জাওরানি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম জানান, দূর্গাপুর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বাংলাদেশী এক যুবক। সেই মরদেহ জাওরানি সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। পরে মরদেহ পুলিশের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

হাতিবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দূর্গাপুর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএসএফে হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এসময় নিহতের স্বজন, বিজিবি, পুলিশ ও ভারতীয় বিএসএফরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য: গত ২৬ মার্চ ভোরে লালমনিরহাটের দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলার এলাকা দিয়ে গরু পাচারের উদ্দেশ্যে ভারতীয় সীমানায় যায় লিটনসহ ৪০/৫০ জনের একটি দল। গরু চোরাকারবারি সেই দলকে লক্ষ করে ভারতের ৭৫ বিএসএফ এর রারথার ক্যাম্পের টহলদল গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে আহত লিটন মিয়াকে উদ্ধার করে বিএসএফ কুচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ মার্চ রাত ১০ দিকে মারা যায় লিটন। নিহত লিটন মিয়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামের মোকসেদুল ইসলামের ছেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাট সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

আপডেট সময় : ১১:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

লালমনিরহাটের দূর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত লিটন মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বুধবার (২৭মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার জাওরানি সীমান্তের ৯১২ নাম্বার পিলার এলাকা দিয়ে বিজিবি ও পুলিশের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ নিহতের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করে।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় ভারতীয় বিএসএফের ৭৫ ব্যাটালিয়ন কুচবিহারের এসিস্ট্যান্ড কমান্ডার শ্রী এম.এল রানা, সিতাই থানার এসআই বিরেন্দ্র মেদরী, এএসআই মলয় সরকার এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) এর ১৫ বিজিবির অধীন জাওরানি বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম, হাতিবান্ধা থানার তদন্ত ওসি নির্মল কুমার মোহন্ত, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির আওতাধীন জাওরানি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম জানান, দূর্গাপুর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বাংলাদেশী এক যুবক। সেই মরদেহ জাওরানি সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। পরে মরদেহ পুলিশের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

হাতিবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দূর্গাপুর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএসএফে হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এসময় নিহতের স্বজন, বিজিবি, পুলিশ ও ভারতীয় বিএসএফরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য: গত ২৬ মার্চ ভোরে লালমনিরহাটের দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলার এলাকা দিয়ে গরু পাচারের উদ্দেশ্যে ভারতীয় সীমানায় যায় লিটনসহ ৪০/৫০ জনের একটি দল। গরু চোরাকারবারি সেই দলকে লক্ষ করে ভারতের ৭৫ বিএসএফ এর রারথার ক্যাম্পের টহলদল গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে আহত লিটন মিয়াকে উদ্ধার করে বিএসএফ কুচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ মার্চ রাত ১০ দিকে মারা যায় লিটন। নিহত লিটন মিয়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামের মোকসেদুল ইসলামের ছেলে।