ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকতে পারবে না, পাল্টা প্রশ্ন গয়েশ্বরে মহানন্দায় ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু ৩০ ব্যাংকের এমডি কেন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন? রাজশাহীতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সকলের দোয়া ও ভোট চাই : আশরাফ হোসাইন ময়মনসিংহে ঘোড়া প্রতীকে বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী জনসভা পুঠিয়ায় উপজেলা নির্বাচন বর্জনে বিএনপির লিফলেট বিতরণ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি মেসি-বার্সার চুক্তির বিখ্যাত ন্যাপকিন ১১ কোটি টাকায় বিক্রি বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বাধীন সত্তা হারিয়ে ফেলেছে : ড. ফাহমিদা খাতুন

মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যে ভারতে তীব্র বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য দেশটিতে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারতের রাজস্থানে একটি সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি এই মন্তব্য করেন।

এ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধী দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম নেতৃত্ব।

বক্তব্যে মোদি অভিযোগ করেছিলেন— বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করবে। তিনি মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং তারা বেশি সন্তানের জন্ম দেয় বলেও মন্তব্য করেন।

সমাবেশে মোদি বলেন, যখন তারা (কংগ্রেস) ক্ষমতায় ছিল, তারা বলেছিল— সম্পদের ওপর মুসলিমদের প্রথম অধিকার। তারা আপনার সব ধন-সম্পদ একত্র করে তাদের মধ্যে বণ্টন করবে, যাদের বেশি সন্তান আছে। তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিতরণ করবে।

এই বক্তব্যের পর মোদি তার সমর্থকদের জিজ্ঞাসা করেন, তাদের কষ্টার্জিত সম্পদ যদি অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দেওয়া হয়, তবে তারা কি তা মেনে নেবেন?

এদিকে মোদির মন্তব্যে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে কি না তা তদন্ত করার জন্য বিরোধী দল ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে মোদির মন্তব্যকে ‘ঘৃণাত্মক বক্তব্য’ এবং ‘মনোযোগ সরানোর জন্য একটি সুচিন্তিত চক্রান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চরমপন্থায় অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবী সংঘকে (আরএসএস) ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী সংঘের মূল্যবোধ থেকে যা শিখেছেন, তা করেছেন। ভারতের ইতিহাসে, কোনো প্রধানমন্ত্রী তার পদের মর্যাদাকে মোদির মতো এত নিচে নামাননি।

দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির নিন্দা করেছেন। ভারতীয় মুসলিম সাংবাদিক রানা আইয়ুব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এটি একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি, নির্লজ্জ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য।

অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিনের সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, মোদি আজ মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী এবং অনেক সন্তানের বাবা বলে অভিহিত করেছেন। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোদির একমাত্র গ্যারান্টি ছিল মুসলমানদের কলঙ্কিত করে ভোট পাওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যে ভারতে তীব্র বিতর্ক

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য দেশটিতে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারতের রাজস্থানে একটি সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি এই মন্তব্য করেন।

এ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধী দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম নেতৃত্ব।

বক্তব্যে মোদি অভিযোগ করেছিলেন— বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করবে। তিনি মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং তারা বেশি সন্তানের জন্ম দেয় বলেও মন্তব্য করেন।

সমাবেশে মোদি বলেন, যখন তারা (কংগ্রেস) ক্ষমতায় ছিল, তারা বলেছিল— সম্পদের ওপর মুসলিমদের প্রথম অধিকার। তারা আপনার সব ধন-সম্পদ একত্র করে তাদের মধ্যে বণ্টন করবে, যাদের বেশি সন্তান আছে। তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিতরণ করবে।

এই বক্তব্যের পর মোদি তার সমর্থকদের জিজ্ঞাসা করেন, তাদের কষ্টার্জিত সম্পদ যদি অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দেওয়া হয়, তবে তারা কি তা মেনে নেবেন?

এদিকে মোদির মন্তব্যে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে কি না তা তদন্ত করার জন্য বিরোধী দল ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে মোদির মন্তব্যকে ‘ঘৃণাত্মক বক্তব্য’ এবং ‘মনোযোগ সরানোর জন্য একটি সুচিন্তিত চক্রান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চরমপন্থায় অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবী সংঘকে (আরএসএস) ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী সংঘের মূল্যবোধ থেকে যা শিখেছেন, তা করেছেন। ভারতের ইতিহাসে, কোনো প্রধানমন্ত্রী তার পদের মর্যাদাকে মোদির মতো এত নিচে নামাননি।

দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির নিন্দা করেছেন। ভারতীয় মুসলিম সাংবাদিক রানা আইয়ুব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এটি একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি, নির্লজ্জ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য।

অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিনের সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, মোদি আজ মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী এবং অনেক সন্তানের বাবা বলে অভিহিত করেছেন। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোদির একমাত্র গ্যারান্টি ছিল মুসলমানদের কলঙ্কিত করে ভোট পাওয়া।