ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকাকে হারাল রংপুর

ক্রীড়া ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

দুই দিনের বিরতির পর আজ থেকে শুরু হয়েছে বিপিএলের ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের খেলা। দিনের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২বল হাতে রেখেই ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। এতে ৬০ রানে জয়ে শীর্ষে স্থান আরও শক্ত করল রংপুর।

রংপুরের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। দলীয় চার রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে সাব্বির হোসেন নিজের নামের পাশে ১ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন। এরপর চতুর্থ ওভারে সাইম আইয়ুব নামের পাশে ২ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। শুরুর ধাক্কা সামলে আলেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেন মোহাম্মদ নাঈম।

তবে ব্যাট হাতে স্ট্রাগল করা রস অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি। ম্যাচের সপ্তম ওভারে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২ রান করেন তিনি। এদিন ঢাকার আসা যাবার মিছিলে রংপুরের বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম।

এরপর তার বিদায়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় দুর্দান্ত ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ১২ বল হাতে রেখে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। এতে ৬০ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স। রংপুরের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন বাবর আজম ও রনি তালুকদার। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছে তারা দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে তাদের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান।

আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকা রবি ২৪ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডারকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বাবর। এদিকে উইকেটে এসেই ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন সাকিবও। এ সময় তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন বাবর। তবে ফিফটির পথে থাকা বাবর দলীয় ১১৯ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

সঙ্গী আউট হলে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিবও। দলীয় ১২৬ রানে ২০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন সাকিব। এরপর বাইশ গজে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান ওমরজাই।

এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ নবি মিলে রংপুরের রানের চাকা সচল রাখেন। এই দুই ব্যাটারের ২৩ বলে ৪৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ পায় রংপুর। ঢাকার হয়ে বল হাতে মোসাদ্দেক নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকাকে হারাল রংপুর

আপডেট সময় : ১১:৫১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দুই দিনের বিরতির পর আজ থেকে শুরু হয়েছে বিপিএলের ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের খেলা। দিনের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২বল হাতে রেখেই ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। এতে ৬০ রানে জয়ে শীর্ষে স্থান আরও শক্ত করল রংপুর।

রংপুরের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। দলীয় চার রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে সাব্বির হোসেন নিজের নামের পাশে ১ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন। এরপর চতুর্থ ওভারে সাইম আইয়ুব নামের পাশে ২ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। শুরুর ধাক্কা সামলে আলেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেন মোহাম্মদ নাঈম।

তবে ব্যাট হাতে স্ট্রাগল করা রস অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি। ম্যাচের সপ্তম ওভারে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২ রান করেন তিনি। এদিন ঢাকার আসা যাবার মিছিলে রংপুরের বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম।

এরপর তার বিদায়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় দুর্দান্ত ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ১২ বল হাতে রেখে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। এতে ৬০ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স। রংপুরের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন বাবর আজম ও রনি তালুকদার। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছে তারা দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে তাদের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান।

আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকা রবি ২৪ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডারকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বাবর। এদিকে উইকেটে এসেই ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন সাকিবও। এ সময় তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন বাবর। তবে ফিফটির পথে থাকা বাবর দলীয় ১১৯ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

সঙ্গী আউট হলে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিবও। দলীয় ১২৬ রানে ২০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন সাকিব। এরপর বাইশ গজে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান ওমরজাই।

এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ নবি মিলে রংপুরের রানের চাকা সচল রাখেন। এই দুই ব্যাটারের ২৩ বলে ৪৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ পায় রংপুর। ঢাকার হয়ে বল হাতে মোসাদ্দেক নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট।