ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকতে পারবে না, পাল্টা প্রশ্ন গয়েশ্বরে মহানন্দায় ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু ৩০ ব্যাংকের এমডি কেন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন? রাজশাহীতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সকলের দোয়া ও ভোট চাই : আশরাফ হোসাইন ময়মনসিংহে ঘোড়া প্রতীকে বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী জনসভা পুঠিয়ায় উপজেলা নির্বাচন বর্জনে বিএনপির লিফলেট বিতরণ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি মেসি-বার্সার চুক্তির বিখ্যাত ন্যাপকিন ১১ কোটি টাকায় বিক্রি বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বাধীন সত্তা হারিয়ে ফেলেছে : ড. ফাহমিদা খাতুন

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় (১৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকালে নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে ‘সম্পূর্ণ সদস্য পদ’ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমেরিকা তাতে রাজি হয়নি। খবর সিএনএন ও আল জাজিরা।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে আলজেরিয়া প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হোক। ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। দুইটি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

আমেরিকা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। অর্থাৎ, নিজেদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং চীন। কোনও প্রস্তাব পাস করাতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত নয়টি সদস্য দেশকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হয়। স্থায়ী সমস্ত দেশকে প্রস্তাবের পক্ষে থাকতে হয়। একটি দেশ ভেটো দিলে প্রস্তাব পাস হয় না।

শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হলে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবেই ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য হতে পারবে। এখন তারা কেবলই অবজারভার হিসেবে সেখানে আছে।

ভোটের পর জাতিসংঘের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘ভাবনা ভালো ছিল। কিন্তু এদিনের প্রস্তাব সময়ের আগেই নেওয়া হয়েছে। এভাবে ফিলিস্তিনকে সদস্য করা সম্ভব নয়।’

ভোটের আগে আমেরিকার মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, আমেরিকা চায় ফিলিস্তিন আলাদা রাষ্ট্রের সম্মান পাক। কিন্তু সেই আলোচনা সরাসরি ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের সদস্যদের একসঙ্গে বসে করতে হবে। আমেরিকা সেখানে মধ্যস্থতা করতে পারে মাত্র।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিনকে নিজস্ব প্রশাসন ও সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের রাষ্ট্রের সম্মান দেওয়া হয়নি। তবে ভবিষ্যতে যাতে তারা রাষ্ট্রের সম্মান পেতে পারে, সেই রাস্তা তৈরি করে রাখা হয়েছিল।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। অবশ্য সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় (১৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকালে নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে ‘সম্পূর্ণ সদস্য পদ’ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমেরিকা তাতে রাজি হয়নি। খবর সিএনএন ও আল জাজিরা।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে আলজেরিয়া প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হোক। ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। দুইটি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

আমেরিকা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। অর্থাৎ, নিজেদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং চীন। কোনও প্রস্তাব পাস করাতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত নয়টি সদস্য দেশকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হয়। স্থায়ী সমস্ত দেশকে প্রস্তাবের পক্ষে থাকতে হয়। একটি দেশ ভেটো দিলে প্রস্তাব পাস হয় না।

শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হলে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবেই ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য হতে পারবে। এখন তারা কেবলই অবজারভার হিসেবে সেখানে আছে।

ভোটের পর জাতিসংঘের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘ভাবনা ভালো ছিল। কিন্তু এদিনের প্রস্তাব সময়ের আগেই নেওয়া হয়েছে। এভাবে ফিলিস্তিনকে সদস্য করা সম্ভব নয়।’

ভোটের আগে আমেরিকার মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, আমেরিকা চায় ফিলিস্তিন আলাদা রাষ্ট্রের সম্মান পাক। কিন্তু সেই আলোচনা সরাসরি ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের সদস্যদের একসঙ্গে বসে করতে হবে। আমেরিকা সেখানে মধ্যস্থতা করতে পারে মাত্র।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিনকে নিজস্ব প্রশাসন ও সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের রাষ্ট্রের সম্মান দেওয়া হয়নি। তবে ভবিষ্যতে যাতে তারা রাষ্ট্রের সম্মান পেতে পারে, সেই রাস্তা তৈরি করে রাখা হয়েছিল।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। অবশ্য সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।