ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেড়ে গেছে স্ত্রী

অসুস্থ ও মানবেতর জীবনযাপনে জিল্লুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী মহানগরীর কাজিহাটা নিবাসী মাইক্রো ড্রাইভার জিল্লুর রহমান অসুস্থ, পঙ্গু অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোসেনিগঞ্জ এলাকায় বৃদ্ধ বাবা আব্দুল বারী সেলিম ও মা মলি খাতুনের ভাড়া করা বাসায় সংসারে আশ্রিত হয়ে আছে। তার অসুস্থতার জন্য তার স্ত্রী তাকে রেখে চলে যান। ফলে পিতা-মাতা ছাড়া দেখাশুনা করার তেমন কেউ নেই। তার-পিতা সামান্য ভাজা পোড়া বিক্রি করে সংসার চালায়। এত অল্প আয়ে সংসার চালানো তাদের পক্ষে কষ্টকর। তার ওপর ছেলের ওষধ কিনে দেয়ার খরচ। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ওষধ কিনে দিতে না পারায় গত ৩দিন ধরে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহরগুনছেন জিল্লুর রহমান।
জিল্লুর রহমানের পিতা আব্দুল বারি বলেন, আমার ছেলে জিল্লুর রহমান মাইক্রোবাসে ড্রাইভার। প্রায় ৫বছর আগে মাইক্রোবাস চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি বেপোরোয়াগামী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমার ছেলে আহত হয়। এ অবস্থায় তার চিকিৎসা করি। কিন্তু সে দুঘর্ঠনার কারনে আমার ছেলেল মেরুদন্ডে আঘাত পায় এবং মেরুদন্ডের আশেপাশে রগ চাপা খায়, ফলে আস্তে আস্তে পঙ্গু হয়ে যায় তার ছেলে। বর্তমানে বিছানাতেই পেচ্ছাব-পায়খানা হয়ে যাচ্ছে। হাটা চলা করতে হলে হুইল চেয়ারে বসে চলতে হচ্ছে। আমি বিশেষজ্ঞ স্পাইন, ট্রমা ও অর্থপেডিক ডা: আব্দুল আওয়ালের কাছে চিকিৎসা করাছি। তিনি জানান আমার ছেলের অপরেশন করাতে হবে। এরপর ভিডিত্ত কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাঙ্গালরে ঘঐ সধুঁসফধৎ ংযধি সবফরপধষ পবহঃবৎ এর চিকিৎসক জানিয়েছে জিল্লুর রহমানের জুরুরী অপরেশন করতে হবে। নইলে সে তার সব রগগুলি শুকিয়ে যাবে এবং একদম পঙ্গু অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। আর তার অপরেশন করতে বাংলাদেশি ৪লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমার পক্ষে যোগার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এক পর্যায়ে জিল্লুর পিতা আব্দুল বারী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন সমাজের বিত্তবানসহ সবাই এগিয়ে আসলে আমার ছেলেটা বাঁচতে পারবে। আমার ছেলের ছোট ছোট সন্তান রয়েছে, তারাও বেঁচে যাবে।
সরেজমিনে জিল্লুর পিতার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় শুয়ে আছেন জিল্লুর। পাশে বসে চোখের পানি ফেলছেন তার মা মলি খাতুন। তিনি বলেন, আমরা যা আয় করি তাতে বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হয়ে উঠেনা। তার ওপর অসুস্থ ছেলে। গত ৪দিন ধরে ওষুধ কিনে দিতে পারিনি। আবার সে পেচ্ছাব আটকে রাখতে পারেনা। অটো বেরিয়ে যায়। ফলে বিছানা, কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্যাম্পপাস পরিয়ে রাখতে হয়। সেটাও কিনে দিতে পারিনি। মাঝে মধ্যে ছেলে ব্যাথায় চিৎকার করে উঠছে। ছেলে কেদে উঠছে। আমি মা হয়ে কিভাবে সহ্য করবো। চিকিৎসক বলেছেন ৪লাখ টাকা লাগবে অপরেশন করতে। কিন্তু নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়, অসহায় পরিবার কীভাবে এত টাকা যোগাড় করবে। পরিপূর্ণ চিকিৎসার অভাবে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জিল্লুর চিকিৎসার জন্য তার পরিবার জেলা প্রশাসক, মেয়র, প্রধানমন্ত্রীসহ দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সহযোগীতা পাঠানোর বিকাশ নাম্বার ০১৯৩২৭২৪৮৮৭।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছেড়ে গেছে স্ত্রী

অসুস্থ ও মানবেতর জীবনযাপনে জিল্লুর রহমান

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

রাজশাহী মহানগরীর কাজিহাটা নিবাসী মাইক্রো ড্রাইভার জিল্লুর রহমান অসুস্থ, পঙ্গু অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোসেনিগঞ্জ এলাকায় বৃদ্ধ বাবা আব্দুল বারী সেলিম ও মা মলি খাতুনের ভাড়া করা বাসায় সংসারে আশ্রিত হয়ে আছে। তার অসুস্থতার জন্য তার স্ত্রী তাকে রেখে চলে যান। ফলে পিতা-মাতা ছাড়া দেখাশুনা করার তেমন কেউ নেই। তার-পিতা সামান্য ভাজা পোড়া বিক্রি করে সংসার চালায়। এত অল্প আয়ে সংসার চালানো তাদের পক্ষে কষ্টকর। তার ওপর ছেলের ওষধ কিনে দেয়ার খরচ। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ওষধ কিনে দিতে না পারায় গত ৩দিন ধরে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহরগুনছেন জিল্লুর রহমান।
জিল্লুর রহমানের পিতা আব্দুল বারি বলেন, আমার ছেলে জিল্লুর রহমান মাইক্রোবাসে ড্রাইভার। প্রায় ৫বছর আগে মাইক্রোবাস চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি বেপোরোয়াগামী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমার ছেলে আহত হয়। এ অবস্থায় তার চিকিৎসা করি। কিন্তু সে দুঘর্ঠনার কারনে আমার ছেলেল মেরুদন্ডে আঘাত পায় এবং মেরুদন্ডের আশেপাশে রগ চাপা খায়, ফলে আস্তে আস্তে পঙ্গু হয়ে যায় তার ছেলে। বর্তমানে বিছানাতেই পেচ্ছাব-পায়খানা হয়ে যাচ্ছে। হাটা চলা করতে হলে হুইল চেয়ারে বসে চলতে হচ্ছে। আমি বিশেষজ্ঞ স্পাইন, ট্রমা ও অর্থপেডিক ডা: আব্দুল আওয়ালের কাছে চিকিৎসা করাছি। তিনি জানান আমার ছেলের অপরেশন করাতে হবে। এরপর ভিডিত্ত কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাঙ্গালরে ঘঐ সধুঁসফধৎ ংযধি সবফরপধষ পবহঃবৎ এর চিকিৎসক জানিয়েছে জিল্লুর রহমানের জুরুরী অপরেশন করতে হবে। নইলে সে তার সব রগগুলি শুকিয়ে যাবে এবং একদম পঙ্গু অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। আর তার অপরেশন করতে বাংলাদেশি ৪লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমার পক্ষে যোগার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এক পর্যায়ে জিল্লুর পিতা আব্দুল বারী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন সমাজের বিত্তবানসহ সবাই এগিয়ে আসলে আমার ছেলেটা বাঁচতে পারবে। আমার ছেলের ছোট ছোট সন্তান রয়েছে, তারাও বেঁচে যাবে।
সরেজমিনে জিল্লুর পিতার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় শুয়ে আছেন জিল্লুর। পাশে বসে চোখের পানি ফেলছেন তার মা মলি খাতুন। তিনি বলেন, আমরা যা আয় করি তাতে বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হয়ে উঠেনা। তার ওপর অসুস্থ ছেলে। গত ৪দিন ধরে ওষুধ কিনে দিতে পারিনি। আবার সে পেচ্ছাব আটকে রাখতে পারেনা। অটো বেরিয়ে যায়। ফলে বিছানা, কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্যাম্পপাস পরিয়ে রাখতে হয়। সেটাও কিনে দিতে পারিনি। মাঝে মধ্যে ছেলে ব্যাথায় চিৎকার করে উঠছে। ছেলে কেদে উঠছে। আমি মা হয়ে কিভাবে সহ্য করবো। চিকিৎসক বলেছেন ৪লাখ টাকা লাগবে অপরেশন করতে। কিন্তু নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়, অসহায় পরিবার কীভাবে এত টাকা যোগাড় করবে। পরিপূর্ণ চিকিৎসার অভাবে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জিল্লুর চিকিৎসার জন্য তার পরিবার জেলা প্রশাসক, মেয়র, প্রধানমন্ত্রীসহ দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সহযোগীতা পাঠানোর বিকাশ নাম্বার ০১৯৩২৭২৪৮৮৭।