ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাটহাজারীতে সৈয়দ ইবরাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১১১ বার পড়া হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত হলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্যসচিব গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার অবৈধ এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে হাটহাজারীর সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এজন্য হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে নিজ দলের শতভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানের (একক নেতার) জোটকে সম্মান দেখিয়ে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছিল। তার পক্ষে বিএনপির সব ইউনিট (শাখা) কাজ করেছে। কিন্তু তখনও তিনি সে সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন। ইবরাহিমের হয়ে নির্বাচনের কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে কারও খোঁজখবর নেননি সৈয়দ ইবরাহিম। তাই আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। পাশাপাশি তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আর যদি হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ ইবরাহিমকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেন বা যোগাযোগ রাখেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব গিয়াস উদ্দিন বলেন, বেইমানি করা সৈয়দ ইবরাহিমের স্বভাবসিদ্ধ ব্যাপার। ১৯৯৬ সালে জেনারেল নাসিমের অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন তিনি। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস কর্তৃক মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খানের সঙ্গে বরখাস্ত হন সৈয়দ ইবরাহিম। হেলাল মোর্শেদ খান এখন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে ইবরাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে ভুল করেছে।

এর আগে, বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন সৈয়দ ইবরাহিম। তিনি নতুন ওই জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে আত্মহত্যা করা-অতীতে এমন মন্তব্য করেছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।

দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করলেও হঠাৎ কেন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা কষ্ট করে রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রেখেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই গত ২৮ অক্টোবরের পর এটা একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমি যে কথাগুলো বলার চেষ্টা করছি সেটা সংসদে গিয়ে বলার পথ খুঁজে নিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাটহাজারীতে সৈয়দ ইবরাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত হলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্যসচিব গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার অবৈধ এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে হাটহাজারীর সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এজন্য হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে নিজ দলের শতভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানের (একক নেতার) জোটকে সম্মান দেখিয়ে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছিল। তার পক্ষে বিএনপির সব ইউনিট (শাখা) কাজ করেছে। কিন্তু তখনও তিনি সে সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন। ইবরাহিমের হয়ে নির্বাচনের কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে কারও খোঁজখবর নেননি সৈয়দ ইবরাহিম। তাই আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। পাশাপাশি তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আর যদি হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ ইবরাহিমকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেন বা যোগাযোগ রাখেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব গিয়াস উদ্দিন বলেন, বেইমানি করা সৈয়দ ইবরাহিমের স্বভাবসিদ্ধ ব্যাপার। ১৯৯৬ সালে জেনারেল নাসিমের অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন তিনি। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস কর্তৃক মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খানের সঙ্গে বরখাস্ত হন সৈয়দ ইবরাহিম। হেলাল মোর্শেদ খান এখন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে ইবরাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে ভুল করেছে।

এর আগে, বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন সৈয়দ ইবরাহিম। তিনি নতুন ওই জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে আত্মহত্যা করা-অতীতে এমন মন্তব্য করেছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।

দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করলেও হঠাৎ কেন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা কষ্ট করে রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রেখেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই গত ২৮ অক্টোবরের পর এটা একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমি যে কথাগুলো বলার চেষ্টা করছি সেটা সংসদে গিয়ে বলার পথ খুঁজে নিয়েছি।