রাজশাহীতে বিএনপি’র পদযাত্রায় এই সরকারের বিদায় খুব সন্নিকটে : মিনু

- আপডেট সময় : ০৬:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
এই সরকারের পায়ের তলার মাটি শেষ। দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের বিদায় হয়ে গেছে। এখন আনুষ্ঠিকতা মাত্র। এই সরকার সামান্য হিরো আলমের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাঁকে মেরে আহত করেছে। অপরাধ তিনি ঢাকা ১৭আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছিলেন। যার কোন দল বা সে রকম কোন পরিচিতি নাই। তারপরেও ভয়ে এই বিনা ভোটের সরকার তাঁকে নির্বাচনে দিনে মেরে আহত করেছে। সেন্টার থেকে বের করে দিয়ে। একতরফা নির্বাচন করেছে। মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে শেখ হাসিনরা পদত্যাগসহ নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের পুন:প্রতিষ্ঠার ১দফা দাবীতে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আন্দোলন দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। এখন দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য সময় গুনছে। মঙ্গলবারে দেশের অন্য অন্য স্থানে পদযাত্রায় সরকারী পেটয়া বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা বাধা ও লাঠিপেটা করেও কোন লাভ করতে পারেনি। বিএনপি সকল বাধা উপেক্ষা করে পদযাত্রা করেছে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এই সরকার প্রধান ও মেয়র ও মন্ত্রীরা বেগম খালেদা জিয়াসহ বিচারপতি ও নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকী দিলেও তাদের নামে কোন মামলা নেয়নি থানা সমুহ। কোর্টে মামলা করলে তা আলোর মুখ দেখছে না। অথছ একটা কথা মুখ ফসকে বের হয়ে যাওয়ার কারনে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে আটক করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রানী করছে। রিমান্ডের নামে নির্যাতন করছে। কিন্তু নির্যাতন করে চাঁদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের দমিয়ে রাখা যাবেনা। চাঁদ এখন আন্তর্জাতিক নেতায় পরিণত হয়েছে বওে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আইন শৃংখলা বাহিণীর প্রতি হুঁমিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, দুর্নীতিবাজ ও অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের নামের তালিকা করা হয়েছে। আগামীতে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে আগামী ২৮ তারিখ পদযাত্রায় মানুষের ঢল নামানোর জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার শুধু বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমমনা দলের নেতাকর্মী নয় সাধারণ জনগণও যদি সরকারের সমালোচনা করে তাহলে জেলে যেতে হচ্ছে। ডিজিটাল আইন করে জনগণের কণ্ঠরোধ করে দিয়েছে। এই ডিজিটাল আইন বাতিল করতে হবে। শেখ হাসিনা তাঁর দলীয় লোকদের মাফিয়া তৈরী করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শামীম একজন প্রাচীর টপকানী একজন নেতা। সরকার পতন হলে তিনি দেশ ছেড়ে পালান। শেখ হাসিনা বিএনপির লোকদের ধরে নির্যাতন করার কথা বলেছে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার গণতন্ত্র হরণ করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরন করেছে। এই সরকার সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ এর নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন। সেইসাথে সরকার পতনের একদফা দাবী আদায়ের জন্য সকলকে সকল প্রকার নির্যাতন সহ্য করে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি সাবেক সভাপতি ও রাসক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ^নাথ সরকার।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, জয়নাল আবেদিন শিবলী, শাফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, রায়হানুল আলম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুন, তোফায়েল হোসেন রাজু, সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকীর হোসেন রিমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল উপস্থিত ছিলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিরক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আল আমিন সরকার টিটু, রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি, জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান আলম, জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন বাদশা, মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক আরিফুল শেখ বনি, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহম্মেদ রাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিএনপি নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।