ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুই বিভাগের পুলিশ কমিশনারসহ ৫ এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ, যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ পেঁয়াজের বাজার অস্তির, রাতে ৮০ সকালে ১৬০ টাকা জাপা মহাসচিবের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নৌকার প্রার্থীর আবেদন ‘আগামীতে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হলে দায় আওয়ামী লীগের’ ১০ ডিসেম্বর কোথায় মানববন্ধন করবে, জানাল বিএনপি অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি আপিলকারীরা শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন: ইসি ত্রিশালকে একটি মডেল এলাকা হিসাবে গড়ে তুলবো – স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছ যারা আগুন দিতে যাবে তাদের পুলিশে দিন: প্রধানমন্ত্রী

রওশন এরশাদকে আবারও এমপি হিসাবে দেখতে চায় ময়মনসিংহবাসী

ময়মনসিংহ প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ২৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহ -৪ আসনের বর্তমান সাংসদ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রনায়ক ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিণী জাতীয় পার্টির প্রধানপৃষ্টপোষক বেগম রওশন এরশাদ এমপি ময়মনসিংহের জাপার রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নামে পরিচিত, তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। বেগম রওশন এরশাদ এমপির মেধায় বদলে গেছে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের উন্নয়ন চিত্র।

বর্তমান সরকার ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষণা,ময়মনসিংহ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করণ, ময়মনসিংহে শিশু হাসপাতাল নির্মান প্রকল্প, কেওয়াটখালীতে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর আর্চ ষ্টীল সেতু প্রকল্পসহ সদর উপজেলায় উন্নয়নের জন্য যতগুলো বৃহৎ প্রকল্প দিয়েছেন সবই সংসদে তার দাবী ছিলো। সবগুলো প্রকল্পই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন বেগম রওশন এরশাদ এমপি। তার নামে আর তার নেতাকর্মীদের নামে নেই কোন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ,নেই কোন দখল বাণিজ্য টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ। রওশন এরশাদ এমপি ও তার নেতাকর্মীদের ব্যবহারে মুগ্ধ সদর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। সদর উপজেলায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আস্থা রয়েছে তার উপর। তিনি ময়মনসিংহ সদরে একাধিকবার এমপি হওয়ার পরও কখনোই বিতর্কীত কর্মকান্ডে নিজেকে জড়ান নাই।

২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অনেকে নির্বাচিত হয়, এই সময় রওশন এরশাদ এমপি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তখন তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ওয়াহাব আকন্দকে পরাজিত করেন। তিনি বিএনপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়ী হওয়া এই সংসদ সদস্য ময়মনসিংহ -৪এর সর্বস্তরের মানুষের নেতা রওশন এরশাদ কে পুনরায় সংসদে এমপি হিসেবে দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।

জাতীয় পার্টির তৃনমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দাবী তুলেছেন-বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ সদর আসনে এমপি নির্বাচিত হয়ে মহান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসাবে দায়িত্বে থাকায় ময়মনসিংহে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জাতীয় সংসদের বিরোদী দলীয় নেতার আসনে ময়মনসিংহের কন্যা এটা ময়মনসিংহবাসীর একটা গর্বের বিষয়। তাই স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রওশন এরশাদ কে পুনরায় এমপি হিসেবে সংসদে দেখতে চেয়ে রীতিমত ঝড় তুলছেন তারা।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জাতীয় পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, যুবসংহতি তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে এমপি রওশন এরশাদকে পুনরায় আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ সদর আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়ন ও স্থানীয় রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে তার বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।

এব্যাপারে জাতীয় ছাত্র সমাজ ময়মনসিংহ জেলার সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন বিল্লাল বলেন, রওশন এরশাদ এমপি একজন পরিপুর্ণ জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ। তিনি একজন মানবিক নেতা,যিনি নিজে অসুস্থ থাকলেও দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের খোজ খবর নেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সবসময়েই তার সহযোগীতা পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই পুনরায় এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি আরো বলেন একজন যোগ্যনেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্ছার ভুমিকা রেখে আসছেন। যে কারণে উপজেলা জুড়ে এমপি রওশন এরশাদের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এলাকাবাসী তাদের যেকোন ধরনের চাহিদা পুরণে রওশন এরশাদ এমপিকে মোবাইলে কথা বললে তিনি ময়মনসিংহে যিনি তার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে আছেন তাকে বলে দেন সহযোগীতা করতে বা দাবী পুরণ করতে।

মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল সেলিম বলেন, বেগম রওশন এরশাদ হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান।

এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে পুনরায় এমপি হিসেবে পেতে চায়।

স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ সদর আসনে বেগম রওশন এরশাদ এমপি ৩বার নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে ১৯৭৩ আব্দুল মালেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ[৩]
১৯৭৯ জয়নুল আবেদীন জায়েদী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল[৪],১৯৮৬ মতিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ[৫],১৯৮৮ বেগম মমতা ওয়াহাব [৬],১৯৯১ এ কে এম ফজলুল হক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল,ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ এ কে এম ফজলুল হক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
জুন ১৯৯৬ রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ)
২০০১ দেলোয়ার হোসেন খান দুলু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল,২০০৮ মতিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,২০১৪ রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ),২০১৮ রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ময়মনসিংহ সদর আসনে জাতীয় পার্টির এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন।

রওশন এরশাদ একজন সফল বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সতিয়াখালী গ্রামের মরহুম উমেদ আলী উকিলের সুযোগ্য কন্যা। রওশন এরশাদ ১৯ জুলাই ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি দশম ও বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে ময়মনসিংহের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী, যার সঙ্গে ১৯৫৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে । বর্তমানে তিনি তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রাষ্ট্রপতিত্ব কালীন সময়ে রওশন এরশাদ সমাজ কল্যাণ ও নারী-শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট থেকে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থা’ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ‘সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি’ (Armed Forces Family Welfare Association) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ সালের মে মাসে তিনি বন্যাকবলিত নোয়াখালী জেলার উড়ির চর ও হাতিয়া উপজেলা এলাকা পরিদর্শন করেন। একই বছর তিনি মাদকের অপব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রওশন এরশাদকে আবারও এমপি হিসাবে দেখতে চায় ময়মনসিংহবাসী

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহ -৪ আসনের বর্তমান সাংসদ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রনায়ক ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিণী জাতীয় পার্টির প্রধানপৃষ্টপোষক বেগম রওশন এরশাদ এমপি ময়মনসিংহের জাপার রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নামে পরিচিত, তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। বেগম রওশন এরশাদ এমপির মেধায় বদলে গেছে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের উন্নয়ন চিত্র।

বর্তমান সরকার ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষণা,ময়মনসিংহ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করণ, ময়মনসিংহে শিশু হাসপাতাল নির্মান প্রকল্প, কেওয়াটখালীতে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর আর্চ ষ্টীল সেতু প্রকল্পসহ সদর উপজেলায় উন্নয়নের জন্য যতগুলো বৃহৎ প্রকল্প দিয়েছেন সবই সংসদে তার দাবী ছিলো। সবগুলো প্রকল্পই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন বেগম রওশন এরশাদ এমপি। তার নামে আর তার নেতাকর্মীদের নামে নেই কোন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ,নেই কোন দখল বাণিজ্য টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ। রওশন এরশাদ এমপি ও তার নেতাকর্মীদের ব্যবহারে মুগ্ধ সদর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। সদর উপজেলায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আস্থা রয়েছে তার উপর। তিনি ময়মনসিংহ সদরে একাধিকবার এমপি হওয়ার পরও কখনোই বিতর্কীত কর্মকান্ডে নিজেকে জড়ান নাই।

২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অনেকে নির্বাচিত হয়, এই সময় রওশন এরশাদ এমপি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তখন তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ওয়াহাব আকন্দকে পরাজিত করেন। তিনি বিএনপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়ী হওয়া এই সংসদ সদস্য ময়মনসিংহ -৪এর সর্বস্তরের মানুষের নেতা রওশন এরশাদ কে পুনরায় সংসদে এমপি হিসেবে দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।

জাতীয় পার্টির তৃনমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দাবী তুলেছেন-বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ সদর আসনে এমপি নির্বাচিত হয়ে মহান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসাবে দায়িত্বে থাকায় ময়মনসিংহে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জাতীয় সংসদের বিরোদী দলীয় নেতার আসনে ময়মনসিংহের কন্যা এটা ময়মনসিংহবাসীর একটা গর্বের বিষয়। তাই স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রওশন এরশাদ কে পুনরায় এমপি হিসেবে সংসদে দেখতে চেয়ে রীতিমত ঝড় তুলছেন তারা।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জাতীয় পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, যুবসংহতি তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে এমপি রওশন এরশাদকে পুনরায় আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ সদর আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়ন ও স্থানীয় রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে তার বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।

এব্যাপারে জাতীয় ছাত্র সমাজ ময়মনসিংহ জেলার সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন বিল্লাল বলেন, রওশন এরশাদ এমপি একজন পরিপুর্ণ জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ। তিনি একজন মানবিক নেতা,যিনি নিজে অসুস্থ থাকলেও দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের খোজ খবর নেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সবসময়েই তার সহযোগীতা পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই পুনরায় এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি আরো বলেন একজন যোগ্যনেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্ছার ভুমিকা রেখে আসছেন। যে কারণে উপজেলা জুড়ে এমপি রওশন এরশাদের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এলাকাবাসী তাদের যেকোন ধরনের চাহিদা পুরণে রওশন এরশাদ এমপিকে মোবাইলে কথা বললে তিনি ময়মনসিংহে যিনি তার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে আছেন তাকে বলে দেন সহযোগীতা করতে বা দাবী পুরণ করতে।

মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল সেলিম বলেন, বেগম রওশন এরশাদ হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান।

এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে পুনরায় এমপি হিসেবে পেতে চায়।

স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ সদর আসনে বেগম রওশন এরশাদ এমপি ৩বার নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে ১৯৭৩ আব্দুল মালেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ[৩]
১৯৭৯ জয়নুল আবেদীন জায়েদী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল[৪],১৯৮৬ মতিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ[৫],১৯৮৮ বেগম মমতা ওয়াহাব [৬],১৯৯১ এ কে এম ফজলুল হক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল,ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ এ কে এম ফজলুল হক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
জুন ১৯৯৬ রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ)
২০০১ দেলোয়ার হোসেন খান দুলু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল,২০০৮ মতিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,২০১৪ রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ),২০১৮ রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ময়মনসিংহ সদর আসনে জাতীয় পার্টির এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন।

রওশন এরশাদ একজন সফল বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সতিয়াখালী গ্রামের মরহুম উমেদ আলী উকিলের সুযোগ্য কন্যা। রওশন এরশাদ ১৯ জুলাই ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি দশম ও বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে ময়মনসিংহের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী, যার সঙ্গে ১৯৫৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে । বর্তমানে তিনি তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রাষ্ট্রপতিত্ব কালীন সময়ে রওশন এরশাদ সমাজ কল্যাণ ও নারী-শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট থেকে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থা’ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ‘সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি’ (Armed Forces Family Welfare Association) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ সালের মে মাসে তিনি বন্যাকবলিত নোয়াখালী জেলার উড়ির চর ও হাতিয়া উপজেলা এলাকা পরিদর্শন করেন। একই বছর তিনি মাদকের অপব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।