ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছে, তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না : হাসনাত

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে অন্তর্ভুক্ত মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাজা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই নিয়োগ দিয়েছেন। আপনারা শিক্ষার্থী, নাগরিক, শ্রমিক-জনতার সঙ্গে মশকরা বন্ধ করেন। আপনারা বিপদে পড়বেন। তারপর ছাত্রদের রাস্তায় নামতে বলবেন। এভাবে আর বেশিদিন হবে না। যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছে, আমরা কোনো ফর্মেটেই তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আর যদি কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে আপনারা ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে বিপ্লবী সরকারের কথা উঠে এসেছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার কথা বলে আমাদের সংবিধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, গতকাল আমাদের অবহিত না করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা নিয়েগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে যদি চলতে থাকে, নতুন সরকার গঠন করতে বেশি সময় লাগবে না। ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান রক্ষা করতে আমরা রক্ত দিয়ে মাঠে থাকব।

সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, কথা ছিল আবু সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধরা জীবন দিলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ হবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিবাদ বিলোপের স্টেকহোল্ডার, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনারা যদি মনে করেন, বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে গিয়েছে; আপনারা ভুলের মধ্যে আছেন। ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপে আমরা আবারও নামতে প্রস্তত আছি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন কানিস ফাতেমা, রাফিদ হাসান সাফওয়ান, রিফাদ রশীদ, তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলামসহ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছে, তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না : হাসনাত

আপডেট সময় : ১১:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে অন্তর্ভুক্ত মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাজা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই নিয়োগ দিয়েছেন। আপনারা শিক্ষার্থী, নাগরিক, শ্রমিক-জনতার সঙ্গে মশকরা বন্ধ করেন। আপনারা বিপদে পড়বেন। তারপর ছাত্রদের রাস্তায় নামতে বলবেন। এভাবে আর বেশিদিন হবে না। যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছে, আমরা কোনো ফর্মেটেই তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আর যদি কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে আপনারা ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে বিপ্লবী সরকারের কথা উঠে এসেছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার কথা বলে আমাদের সংবিধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, গতকাল আমাদের অবহিত না করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা নিয়েগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে যদি চলতে থাকে, নতুন সরকার গঠন করতে বেশি সময় লাগবে না। ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান রক্ষা করতে আমরা রক্ত দিয়ে মাঠে থাকব।

সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, কথা ছিল আবু সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধরা জীবন দিলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ হবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিবাদ বিলোপের স্টেকহোল্ডার, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনারা যদি মনে করেন, বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে গিয়েছে; আপনারা ভুলের মধ্যে আছেন। ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপে আমরা আবারও নামতে প্রস্তত আছি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন কানিস ফাতেমা, রাফিদ হাসান সাফওয়ান, রিফাদ রশীদ, তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলামসহ প্রমুখ।