ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে’ : মির্জা ফখরুল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান।

‘কালো দিবস’ (স্বৈরাচার এরশাদ কর্তৃক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

google news
Follow us on google news
বাণীতে তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং জনগণের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভিষিকাময় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিল। অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেই স্বৈরশাসকের সঙ্গে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথ চলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে।

তিনি বলেন, দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেওয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি-বর্তমান ফ্যাসিষ্ট, কর্তৃত্ববাদী একনায়কতান্ত্রিক অবৈধ সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে’ : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১১:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান।

‘কালো দিবস’ (স্বৈরাচার এরশাদ কর্তৃক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

google news
Follow us on google news
বাণীতে তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং জনগণের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভিষিকাময় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিল। অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেই স্বৈরশাসকের সঙ্গে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথ চলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে।

তিনি বলেন, দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেওয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি-বর্তমান ফ্যাসিষ্ট, কর্তৃত্ববাদী একনায়কতান্ত্রিক অবৈধ সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতে।