ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে গোদাগাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন বিএনপি হলো জনগণের আস্থার দল, জণগণের পাশে ছিল আছে থাকবে : শরীফ উদ্দিন সাবেক ৩ সিইসি ও কমিশনারদের নামে মামলা করবে বিএনপি সরকারকে চাপে ফেলতে সীমান্তে পুশ ইন করছে ভারত: ফখরুল খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ আ.লীগকে নিষিদ্ধ করিনি, ভোটে থাকবে কি না সিদ্ধান্ত ইসির: ড. ইউনূস ইসরাইলি হামলায় ইরানে নিহত ৪৩০ ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৩৫২ গোদাগাড়ীতে পচা-বাসি খাবার বিক্রি ও খাবারে ক্ষতিকর কেমিকেল, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সুষ্ঠু নির্বাচন সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয় : সিইসি

ভাত খেলেই মিলবে মাংসের স্বাদ!

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৩৩ বার পড়া হয়েছে

অদ্ভুত এক চালের ভাত, যা মুখে দিলে লাগবে মাংসের মতো। ভাবছেন, এও কি সম্ভব! এমনই ‘হাইব্রিড’ চাল এনেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাবারকে নিরামিষ মাংসও বলা যায়। স্বাদে, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ভাত খেলে মিলবে অনেক সুফলও। বিজ্ঞানীরা এমনই হাইব্রিড চাল তৈরি করেছেন।

বিশেষ এই চালের স্বাদ ও পুষ্টিগুণে পুরোই মাংসের মতো। এতে আছে আমিষের সমান প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান। বিজ্ঞানীরা এই ধানের নাম দিয়েছেন ‘মাংসের চাল’।

জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী গবেষণাগারে এই হাইব্রিড চাল তৈরি করেছেন। অনেক ধরনের মাংস মিশিয়ে এই চাল তৈরি করা হয়েছে। মাছের স্বাদও পাবেন এতে।

গবেষকরা বলছেন, এই চাল দেখতে হুবহু সাধারণ চালের মতোই। তবে এতে আছে ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং সাধারণ মাংসের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি চর্বি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সহজেই এটিকে সাধারণ তাপমাত্রায় ১১ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। মাংসপেশির প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে দারুণ সাহায্য করবে এই চাল।

কেন এমন চাল বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? তারা বলছেন, যুদ্ধ বা জরুরি পরিস্থিতিতে এই চাল ব্যবহার করা যেতে পারে। সেনাবাহিনীর জন্যও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। মাংসের চাল অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক।

বর্তমান বহুমূল্যের বাজারে এটি শরীরে প্রোটিনের জোগানোর জন্য একটি সস্তা বিকল্প হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে। এর উৎপাদনও বেশ সোজা। কম পরিশ্রমেই নাকি এটি তৈরি করা যাবে। তবে এখন দেখার বিষয় এই মাংসের চাল কবে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে আর মানুষ তা আদৌ ব্যবহার করতে চাইবে কি না!

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রোটিন সাধারণত যেকোনো প্রাণী থেকে পাওয়া যায়। পশু লালন-পালন করতে গেলে অনেক সম্পদ এবং পানি খরচ হয়। ফলে প্রচুর গ্রিন হাউস গ্যাসও নির্গত হয়। বিশেষ এই চাল সবদিকের খরচই কমাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে লন্ডনের কিছু বিজ্ঞানী একটি অনন্য আমিষ বার্গার তৈরি করেছিলেন। এই বার্গারটি সিঙ্গাপুরে বিক্রি হয়েছিল। মানুষ তা বেশ পছন্দও করেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভাত খেলেই মিলবে মাংসের স্বাদ!

আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অদ্ভুত এক চালের ভাত, যা মুখে দিলে লাগবে মাংসের মতো। ভাবছেন, এও কি সম্ভব! এমনই ‘হাইব্রিড’ চাল এনেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাবারকে নিরামিষ মাংসও বলা যায়। স্বাদে, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ভাত খেলে মিলবে অনেক সুফলও। বিজ্ঞানীরা এমনই হাইব্রিড চাল তৈরি করেছেন।

বিশেষ এই চালের স্বাদ ও পুষ্টিগুণে পুরোই মাংসের মতো। এতে আছে আমিষের সমান প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান। বিজ্ঞানীরা এই ধানের নাম দিয়েছেন ‘মাংসের চাল’।

জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী গবেষণাগারে এই হাইব্রিড চাল তৈরি করেছেন। অনেক ধরনের মাংস মিশিয়ে এই চাল তৈরি করা হয়েছে। মাছের স্বাদও পাবেন এতে।

গবেষকরা বলছেন, এই চাল দেখতে হুবহু সাধারণ চালের মতোই। তবে এতে আছে ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং সাধারণ মাংসের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি চর্বি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সহজেই এটিকে সাধারণ তাপমাত্রায় ১১ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। মাংসপেশির প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে দারুণ সাহায্য করবে এই চাল।

কেন এমন চাল বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? তারা বলছেন, যুদ্ধ বা জরুরি পরিস্থিতিতে এই চাল ব্যবহার করা যেতে পারে। সেনাবাহিনীর জন্যও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। মাংসের চাল অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক।

বর্তমান বহুমূল্যের বাজারে এটি শরীরে প্রোটিনের জোগানোর জন্য একটি সস্তা বিকল্প হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে। এর উৎপাদনও বেশ সোজা। কম পরিশ্রমেই নাকি এটি তৈরি করা যাবে। তবে এখন দেখার বিষয় এই মাংসের চাল কবে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে আর মানুষ তা আদৌ ব্যবহার করতে চাইবে কি না!

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রোটিন সাধারণত যেকোনো প্রাণী থেকে পাওয়া যায়। পশু লালন-পালন করতে গেলে অনেক সম্পদ এবং পানি খরচ হয়। ফলে প্রচুর গ্রিন হাউস গ্যাসও নির্গত হয়। বিশেষ এই চাল সবদিকের খরচই কমাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে লন্ডনের কিছু বিজ্ঞানী একটি অনন্য আমিষ বার্গার তৈরি করেছিলেন। এই বার্গারটি সিঙ্গাপুরে বিক্রি হয়েছিল। মানুষ তা বেশ পছন্দও করেছিল।