ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ-১ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে এগিয়ে খালেকুজ্জামান তোতা

শফিকুজ্জামান তুহিনঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮৪৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও বড় দুই রাজনৈতিক দলেই শুরু হয়েছে মাঠ পর্যায়ে প্রার্থীদের প্রচার ও দৌড়ঝাঁপ। প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পোষ্টার, ব্যানার লাগিয়ে এবং বিভিন্ন কর্মীসভার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। তবে আসন্ন সংসদ নির্বাচন ঘিরে মানুষের মুখে মুখে আলোচিত বিষয় হচ্ছে নির্বাচন ও প্রার্থীদের কর্মকান্ড। নির্বাচনী এলাকার সচেতন ভোটাররা জানিয়েছেন, দলের নীতিনির্ধারক থেকে ‘স্বচ্ছ ও জনপ্রিয়’ ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিতে ভুল করে বলে আবারও বিএনপির দখলে চলে যেতে পারে আসনটি। এইদিকে আওয়ামী লীগের এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকায় ভালো কাজের পাশাপাশি সমালোচনাও আছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে গ্রুপিং দ্বন্দ । বিভিন্ন কর্মকান্ডে অনেক ত্যাগী নেতা নিস্ক্রিয় । অনেকেই বহিষ্কার হয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন সামনে রেখেই বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় তারা। আর বিভক্ত বিএনপি হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া। এবারে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নের আশায় কুশল বিনিময় করছেন, জানান দিচ্ছেন প্রার্থিতারাও। আওয়ামী লীগের আছে একাধিক প্রার্থী। বড় দুই দল ছাড়াও অন্যান্য দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ।
তবে প্রচার প্রচারণার দিক থেকে সংসদীয় আসন ৪৬ তথা নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নতুন মুখ এমপি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নতুন মুখ এমপি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের আদর্শ সৈনিক খালেকুজ্জামান তোতা। জনশ্রুতিতে আছে যে তিনি সৎ, নির্ভীক, জনদরদী ও যোগ্য আওয়ামী লীগ নেতা। মুক্তিযুদ্ধের দীক্ষায় অনুপ্রাণিত একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক খালেকুজ্জামান তোতা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত আদর্শ চর্চায় এই মুজিব আদর্শের সৈনিক নিজেকে শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে জীবনের ৪৬তম বছর যাবত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে নিয়োজিত রেখেছেন। ১৯৭৭ সালে রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়নকালীন ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন । অতপর ১৯৮৪ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত জনাব আব্দুল জলিলের হাত ধরে নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর তারই সহযোগিতায় মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ৪(চার) বার ইউপি চেয়ারম্যান এবং ২০১১ সালে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে পুনরায় তিনি পঞ্চম বারের মত ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। রাজনৈতিক জীবনে সম্মাননা স্মারক হিসাবে পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের খেতাব ও ১৯৯৬ সালে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই বছরে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জিল্লুর রহমান তাকে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান সনদপত্র ও স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়া তিনি নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক , যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষে ২০২১ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। এছাড়া নওগাঁ উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির উপজেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তৃণমূল মাঠ পর্যায়ে তার এখন পর্যন্ত পিছুপা হয়নি। শিক্ষার আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান মানুষদের সঙ্গে নিয়ে নিজে তৈরি করেছেন চন্দননগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চন্দননগর কলেজ। এছাড়া ফিনল্যান্ড সরকার কর্তৃক পরিচালিত মা ও শিশু কল্যাণ হসপিটাল, চন্দননগর কলেজ, চন্দননগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে খালেকুজ্জামান তোতা বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বাবা ছিলেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান। রাজনীতির কারনে ১৯৬৩ সালে আততায়ির বন্দুকের গুলিতে নিহত হন। মাত্র তিন বছর বয়সে আমি বাবাকে হারিয়েছি। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নিশ্চিত বিজয় লাভ করার জন্য আমার পরিবারের সকল সদস্য ভোট প্রদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ১৭ এপ্রিল গঠিত প্রবাসী ও স্বাধীন বাংলাদেশের নির্দেশে আমার বংশের একজন সদস্য ও আমার মহল্লার একজন প্রয়াত নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জনাব আব্দুল জলিলের সঙ্গে নওগাঁ অঞ্চলের মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ পরিকল্পনা ও ভারতের মাটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার কাজে যোগ দিতে ভারতে যান। তিনি আরো বলেন, প্রায় ২৫ বছর চেয়ারম্যানের পাশাপাশি দীর্ঘ ৪৬ বছরের রাজনীতি জীবনে কখনো কোনো অনিয়মের দাগ লাগতে দেইনি। কখনো দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করিনি। আমি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক। আমার রক্তে মিশে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৃণমূল শাখার একজন কর্মী। আমি ৯০ এর স্বৈরাচর বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে তৃণমূলের পরিচালনা করছি। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে আমি মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং উন্নয়নে সংসদীয় আসনে ৪৬ তথা নওগাঁ-১ আসনে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসবে গড়ে তুলতে চাই। যেখানে থাকবে না কোন ভেদাভেদ কমিটিতে মূল্যায়ন পাবে ত্যাগী প্রকৃত আওয়ামী লীগের কর্মীরা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহারের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যেতে চাই। আমৃত্য পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তর সুযোগ্য কন্যা মানবতার মূর্ত প্রতিক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তথা প্রিয় জননী বাংলাদেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। ইতিমধ্যে নির্বাচনী আসন নওগাঁ-১ (নিয়ামনপুর, পোরশা ও সাপাহার) এর নেতাকর্মীদের নিয়ে জনগণ তথা ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ পাশাপাশি নেতাকমীদের উৎজীবিত করার প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং শতভাগ সাড়াও পাচ্ছি।তাই আমি বিশ^াস করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। শুধু আমার আসন না, জেলার ছয়টি আসনেই নৌকা জয়ী হবে বলে আশা রাখি।
আরও মনোনয়ন চান একসময়ের ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল হাসান রানা এবং বর্তমান এমপি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অন্যদিকে বিএনপি থেকে সাবেক এমপি ডা. ছালেক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, পোরশা উপজেলার বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য শাহ্ আলম আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরী মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া, জাতীয় পার্টি থেকে আকবর আলী ও ইসলামী আন্দোলন থেকে মোস্তাফিজুর রহমানও তাদের দল থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন। এছাড়া সম্প্রতি পোরশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে নির্বাচিত শাহ্ আলম আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরীও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
এ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে পছন্দের প্রার্থীতা নেয় মতভেদ থাকলেও নৌকা প্রতীক নিয়ে কারও বিরোধ নাই। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দলের হাইকমান্ড সংসদ নির্বাচনে এ আসনে যাকে মনোনয়ন দেবেন, নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবেন। এলাকার প্রবীণ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ^াসী। যারা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও সকল বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামীদিনের নেতৃত্ব দিবেন, এলাকার উন্নয়ন করবেন এবং যাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করবেন তাদেরকেই তারা ভোট দেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ-১ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে এগিয়ে খালেকুজ্জামান তোতা

আপডেট সময় : ০৬:০৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও বড় দুই রাজনৈতিক দলেই শুরু হয়েছে মাঠ পর্যায়ে প্রার্থীদের প্রচার ও দৌড়ঝাঁপ। প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পোষ্টার, ব্যানার লাগিয়ে এবং বিভিন্ন কর্মীসভার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। তবে আসন্ন সংসদ নির্বাচন ঘিরে মানুষের মুখে মুখে আলোচিত বিষয় হচ্ছে নির্বাচন ও প্রার্থীদের কর্মকান্ড। নির্বাচনী এলাকার সচেতন ভোটাররা জানিয়েছেন, দলের নীতিনির্ধারক থেকে ‘স্বচ্ছ ও জনপ্রিয়’ ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিতে ভুল করে বলে আবারও বিএনপির দখলে চলে যেতে পারে আসনটি। এইদিকে আওয়ামী লীগের এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকায় ভালো কাজের পাশাপাশি সমালোচনাও আছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে গ্রুপিং দ্বন্দ । বিভিন্ন কর্মকান্ডে অনেক ত্যাগী নেতা নিস্ক্রিয় । অনেকেই বহিষ্কার হয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন সামনে রেখেই বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় তারা। আর বিভক্ত বিএনপি হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া। এবারে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নের আশায় কুশল বিনিময় করছেন, জানান দিচ্ছেন প্রার্থিতারাও। আওয়ামী লীগের আছে একাধিক প্রার্থী। বড় দুই দল ছাড়াও অন্যান্য দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ।
তবে প্রচার প্রচারণার দিক থেকে সংসদীয় আসন ৪৬ তথা নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নতুন মুখ এমপি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নতুন মুখ এমপি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের আদর্শ সৈনিক খালেকুজ্জামান তোতা। জনশ্রুতিতে আছে যে তিনি সৎ, নির্ভীক, জনদরদী ও যোগ্য আওয়ামী লীগ নেতা। মুক্তিযুদ্ধের দীক্ষায় অনুপ্রাণিত একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক খালেকুজ্জামান তোতা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত আদর্শ চর্চায় এই মুজিব আদর্শের সৈনিক নিজেকে শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে জীবনের ৪৬তম বছর যাবত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে নিয়োজিত রেখেছেন। ১৯৭৭ সালে রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়নকালীন ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন । অতপর ১৯৮৪ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত জনাব আব্দুল জলিলের হাত ধরে নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর তারই সহযোগিতায় মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ৪(চার) বার ইউপি চেয়ারম্যান এবং ২০১১ সালে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে পুনরায় তিনি পঞ্চম বারের মত ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। রাজনৈতিক জীবনে সম্মাননা স্মারক হিসাবে পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের খেতাব ও ১৯৯৬ সালে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই বছরে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জিল্লুর রহমান তাকে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান সনদপত্র ও স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়া তিনি নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক , যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষে ২০২১ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। এছাড়া নওগাঁ উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির উপজেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তৃণমূল মাঠ পর্যায়ে তার এখন পর্যন্ত পিছুপা হয়নি। শিক্ষার আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান মানুষদের সঙ্গে নিয়ে নিজে তৈরি করেছেন চন্দননগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চন্দননগর কলেজ। এছাড়া ফিনল্যান্ড সরকার কর্তৃক পরিচালিত মা ও শিশু কল্যাণ হসপিটাল, চন্দননগর কলেজ, চন্দননগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে খালেকুজ্জামান তোতা বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বাবা ছিলেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান। রাজনীতির কারনে ১৯৬৩ সালে আততায়ির বন্দুকের গুলিতে নিহত হন। মাত্র তিন বছর বয়সে আমি বাবাকে হারিয়েছি। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নিশ্চিত বিজয় লাভ করার জন্য আমার পরিবারের সকল সদস্য ভোট প্রদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ১৭ এপ্রিল গঠিত প্রবাসী ও স্বাধীন বাংলাদেশের নির্দেশে আমার বংশের একজন সদস্য ও আমার মহল্লার একজন প্রয়াত নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জনাব আব্দুল জলিলের সঙ্গে নওগাঁ অঞ্চলের মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ পরিকল্পনা ও ভারতের মাটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার কাজে যোগ দিতে ভারতে যান। তিনি আরো বলেন, প্রায় ২৫ বছর চেয়ারম্যানের পাশাপাশি দীর্ঘ ৪৬ বছরের রাজনীতি জীবনে কখনো কোনো অনিয়মের দাগ লাগতে দেইনি। কখনো দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করিনি। আমি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক। আমার রক্তে মিশে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৃণমূল শাখার একজন কর্মী। আমি ৯০ এর স্বৈরাচর বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে তৃণমূলের পরিচালনা করছি। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে আমি মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং উন্নয়নে সংসদীয় আসনে ৪৬ তথা নওগাঁ-১ আসনে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসবে গড়ে তুলতে চাই। যেখানে থাকবে না কোন ভেদাভেদ কমিটিতে মূল্যায়ন পাবে ত্যাগী প্রকৃত আওয়ামী লীগের কর্মীরা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহারের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যেতে চাই। আমৃত্য পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তর সুযোগ্য কন্যা মানবতার মূর্ত প্রতিক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তথা প্রিয় জননী বাংলাদেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। ইতিমধ্যে নির্বাচনী আসন নওগাঁ-১ (নিয়ামনপুর, পোরশা ও সাপাহার) এর নেতাকর্মীদের নিয়ে জনগণ তথা ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ পাশাপাশি নেতাকমীদের উৎজীবিত করার প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং শতভাগ সাড়াও পাচ্ছি।তাই আমি বিশ^াস করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। শুধু আমার আসন না, জেলার ছয়টি আসনেই নৌকা জয়ী হবে বলে আশা রাখি।
আরও মনোনয়ন চান একসময়ের ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল হাসান রানা এবং বর্তমান এমপি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অন্যদিকে বিএনপি থেকে সাবেক এমপি ডা. ছালেক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, পোরশা উপজেলার বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য শাহ্ আলম আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরী মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া, জাতীয় পার্টি থেকে আকবর আলী ও ইসলামী আন্দোলন থেকে মোস্তাফিজুর রহমানও তাদের দল থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন। এছাড়া সম্প্রতি পোরশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে নির্বাচিত শাহ্ আলম আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরীও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
এ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে পছন্দের প্রার্থীতা নেয় মতভেদ থাকলেও নৌকা প্রতীক নিয়ে কারও বিরোধ নাই। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দলের হাইকমান্ড সংসদ নির্বাচনে এ আসনে যাকে মনোনয়ন দেবেন, নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবেন। এলাকার প্রবীণ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ^াসী। যারা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও সকল বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামীদিনের নেতৃত্ব দিবেন, এলাকার উন্নয়ন করবেন এবং যাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করবেন তাদেরকেই তারা ভোট দেবেন।