ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রার্থী বাছাইয়ের রহস্য উন্মোচন:

তারেকের মানদণ্ডে উঠে আসছে একক প্রার্থীর নাম

দেশের আওয়াজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি তফশিল ঘোষণার আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। অক্টোবরের মধ্যভাগে তাদের মাঠে নামার সংকেত দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, আসনভিত্তিক প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষের দিকে। একক প্রার্থী নির্ধারণে দল বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতিটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী, জেলা ও উপজেলা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি জরিপে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের বিষয়ে বিস্তর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

বেশিরভাগ আসনের একক প্রার্থীর তালিকা ইতোমধ্যেই দলটির হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছেছে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। মিত্র দলগুলোর কাছ থেকেও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, একক প্রার্থীর তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তফশিল ঘোষণার পর পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে।

প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। কিছু আসনে পাঁচজন, সাতজন, এমনকি দশজন প্রার্থী রয়েছে। তাই নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাছাই করতে হচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ‘মানদণ্ড’ অনুযায়ী (অন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এলাকায় জনপ্রিয়, ক্লিন ইমেজধারী) সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গুলশান কার্যালয়ে দলের দায়িত্বশীল নেতারা তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।

প্রার্থী যাকে মনোনয়ন দেবে, নির্বাচনি মাঠে তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন। দলের নীতিনির্ধারকরা সতর্ক করেছেন, সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রার্থী বাছাইয়ের রহস্য উন্মোচন:

তারেকের মানদণ্ডে উঠে আসছে একক প্রার্থীর নাম

আপডেট সময় : ০৫:১৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপি তফশিল ঘোষণার আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। অক্টোবরের মধ্যভাগে তাদের মাঠে নামার সংকেত দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, আসনভিত্তিক প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষের দিকে। একক প্রার্থী নির্ধারণে দল বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতিটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী, জেলা ও উপজেলা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি জরিপে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের বিষয়ে বিস্তর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

বেশিরভাগ আসনের একক প্রার্থীর তালিকা ইতোমধ্যেই দলটির হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছেছে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। মিত্র দলগুলোর কাছ থেকেও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, একক প্রার্থীর তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তফশিল ঘোষণার পর পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে।

প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। কিছু আসনে পাঁচজন, সাতজন, এমনকি দশজন প্রার্থী রয়েছে। তাই নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাছাই করতে হচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ‘মানদণ্ড’ অনুযায়ী (অন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এলাকায় জনপ্রিয়, ক্লিন ইমেজধারী) সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গুলশান কার্যালয়ে দলের দায়িত্বশীল নেতারা তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।

প্রার্থী যাকে মনোনয়ন দেবে, নির্বাচনি মাঠে তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন। দলের নীতিনির্ধারকরা সতর্ক করেছেন, সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।