ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আনিসুল হক। তবে মন্ত্রীর কাছে এখনো ফাইলটি পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ভাই শর্তযুক্ত মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। সেটি মন্ত্রণালয়ে এসেছে। তবে আমার কাছে এখনও আসেনি। ফাইলটি দেখার পর আমি জানাতে পারব।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আমি যেটা মনে করি, আগে যে শর্ত ছিল সেটিই থাকবে। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন আসেনি।’

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে যে সংবাদ এসেছে তা সত্যি নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

নির্বাহী আদেশে বিএনপি প্রধানের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে তার পরিবার।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তাঁর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন। যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হলো খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আনিসুল হক। তবে মন্ত্রীর কাছে এখনো ফাইলটি পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ভাই শর্তযুক্ত মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। সেটি মন্ত্রণালয়ে এসেছে। তবে আমার কাছে এখনও আসেনি। ফাইলটি দেখার পর আমি জানাতে পারব।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আমি যেটা মনে করি, আগে যে শর্ত ছিল সেটিই থাকবে। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন আসেনি।’

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে যে সংবাদ এসেছে তা সত্যি নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

নির্বাহী আদেশে বিএনপি প্রধানের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে তার পরিবার।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তাঁর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন। যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হলো খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।