ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋণের টাকা না পেয়ে নারীকে রাতে তালাবদ্ধ করে রাখল পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির ইসরাইলি বর্বরতায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লিগ : খালেদের ৪ উইকেটে জয়ে শুরু রংপুরের ২১ জেলায় পানির নিচে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল টানা বৃষ্টির প্রভাব কাঁচাবাজারে, মরিচের কেজি প্রায় ৩০০ টাকা

এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি। তথাকথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান শাসনতান্ত্রিক বৈধতা অর্জনের পাঁয়তারা চালায়। আর তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জনসমর্থনহীনতার ভীতি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে বাংলার জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে না এবং বিএনপির কোনো চক্রান্তই সফল হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের রায়েই সরকার পরিবর্তন হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বিএনপি ও তাদের জোটে থাকা রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এ সব নির্বাচনে ৫০ শতাংশের উপর ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি আজ জনসমর্থন শূন্য হয়ে পড়েছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচনবিরোধী অবস্থান থেকে নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি। তথাকথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান শাসনতান্ত্রিক বৈধতা অর্জনের পাঁয়তারা চালায়। আর তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল। তাদের সময় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কোনো সক্ষমতাই ছিল না। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির শাসনামলে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়নি। তাদের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছিল একটি নখ-দন্তহীন বাঘ। বিচার বিভাগ পরিচালিত হতো বিএনপির মতাদর্শ অনুসরণ করে। দলীয় ও বিতর্কিত লোকদের নিয়োগ দিয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সময় কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতা দখল করে সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাশাপাশি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অকার্যকর করেছিল। পুনরায় তারা ক্ষমতায় আসলে সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার প্রতি ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির কোনো আস্থা নেই। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৬:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি। তথাকথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান শাসনতান্ত্রিক বৈধতা অর্জনের পাঁয়তারা চালায়। আর তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জনসমর্থনহীনতার ভীতি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে বাংলার জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে না এবং বিএনপির কোনো চক্রান্তই সফল হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের রায়েই সরকার পরিবর্তন হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বিএনপি ও তাদের জোটে থাকা রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এ সব নির্বাচনে ৫০ শতাংশের উপর ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি আজ জনসমর্থন শূন্য হয়ে পড়েছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচনবিরোধী অবস্থান থেকে নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি। তথাকথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান শাসনতান্ত্রিক বৈধতা অর্জনের পাঁয়তারা চালায়। আর তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল। তাদের সময় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কোনো সক্ষমতাই ছিল না। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির শাসনামলে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়নি। তাদের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছিল একটি নখ-দন্তহীন বাঘ। বিচার বিভাগ পরিচালিত হতো বিএনপির মতাদর্শ অনুসরণ করে। দলীয় ও বিতর্কিত লোকদের নিয়োগ দিয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সময় কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতা দখল করে সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাশাপাশি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অকার্যকর করেছিল। পুনরায় তারা ক্ষমতায় আসলে সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার প্রতি ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির কোনো আস্থা নেই। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।