ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক দিনে তিন হার ভারতের, দুঃস্বপ্নের মতো দিন!

ক্রীড়া ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে

এক দিনেই তিনবার হারের সাক্ষী হলো ভারতীয় ক্রিকেট। এ কারণে এবারের সুপার সানডেটা ভুলতে চাইবে সে দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। অ্যাডিলেডে দিবারাত্রীর টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভরাডুবির পর অজি মেয়েদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হেরে গেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও। সর্বশেষ দুবাইতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ভারতের যুবারা।

ভারতের দুঃস্বপ্নময় রোববারের (৮ ডিসেম্বর) শুরুটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। গোলাপি বলের টেস্টে ভারত যে হারবে তা আগের দিনই অনেকটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয় শেষ পর্যন্ত। স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরে গেছেন রোহিত শর্মারা।

অ্যাডিলেডে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্টার্কের বোলিং তোপে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৮০ রানে। ৪৮ রানে স্টার্ক একাই নেন ৬ উইকেট, যা টেস্টে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। নিশ্চিতভাবেই যে ভারত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে সেটি প্রথম ইনিংসেই টের পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৩৭ রান। ভারতের সংগ্রহ পেরিয়ে তাদের লিড দাঁড়ায় ১৫৭ রানের।

লিড নেওয়ার মূল অবদানটা ছিল অজি ব্যাটার ট্রাভিস হেডের। জাসপ্রিত বুমরাহ’র বোলিং তোপে ১০৩ রানেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন হেড ও মার্নাস লাবুশেন। ১২৬ বলে লাবুশেন ৬৪ রান করে আউট হলেও, হেড একপ্রান্ত আগলে রাখেন। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে তিনিই ছিলেন ব্যতিক্রম। শেষ পর্যন্ত ১৪১ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনি ১৪০ রানে থামেন।

অজিদের লিড পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসেন রোহিত-কোহলিরা। বলার মতো (৪২) রান করেছেন কেবল নিতীশ কুমার রেড্ডি। অবশ্য রেড্ডির সান্ত্বনাদায়ক ব্যাটিং না থাকলে, ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতো ভারতকে।

সুপার সানডেতে দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় সমর্থকরা দুঃসংবাদটা পান সেই তাসমান পাড়ের অস্ট্রেলিয়া থেকেই। মেয়েদের দ্বিপাক্ষিক একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১২২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৭১ রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিক মেয়েরা। ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৯ রানে।

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এবারের যুব এশিয়া কাপ শুরু করেছিল হার দিয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে হেরে গিয়েছিল তারা। তারপর জাপান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে শেষ মুহূর্তে সেমিফাইনালে নিশ্চিত করে ম্যান ইন ব্লুরা।

শ্রীলঙ্কাকে সেমিফাইনালে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের। গতবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতেছিল। সেই তাদের বিপক্ষে খেলতে নেমে হেরে গেছে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুব এশিয়া কাপে ভারতের কাছেই বারবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ভারতের যুবারা। ২০২১ সালের আসরেও ভারতের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।

সেই হারের হিসেব গত আসরেই ভারতকে বুঝিয়ে দিয়েছিল শেষ চারের লড়াই থেকে বিদায় করে। আর এবার টুর্নামেন্টটির ফাইনালে ভারতকে প্রথম হারের স্বাদ দিলো বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পেরেছিল ১৯৮ রান। এই রানটাই ভারতের জন্য পাহাড়সম হয়ে যায় বাংলাদেশের পেসারদের দাপটে। ভারত ৩৫.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পেরেছে ১৩৯ রানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এক দিনে তিন হার ভারতের, দুঃস্বপ্নের মতো দিন!

আপডেট সময় : ১১:২৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

এক দিনেই তিনবার হারের সাক্ষী হলো ভারতীয় ক্রিকেট। এ কারণে এবারের সুপার সানডেটা ভুলতে চাইবে সে দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। অ্যাডিলেডে দিবারাত্রীর টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভরাডুবির পর অজি মেয়েদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হেরে গেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও। সর্বশেষ দুবাইতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ভারতের যুবারা।

ভারতের দুঃস্বপ্নময় রোববারের (৮ ডিসেম্বর) শুরুটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। গোলাপি বলের টেস্টে ভারত যে হারবে তা আগের দিনই অনেকটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয় শেষ পর্যন্ত। স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরে গেছেন রোহিত শর্মারা।

অ্যাডিলেডে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্টার্কের বোলিং তোপে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৮০ রানে। ৪৮ রানে স্টার্ক একাই নেন ৬ উইকেট, যা টেস্টে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। নিশ্চিতভাবেই যে ভারত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে সেটি প্রথম ইনিংসেই টের পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৩৭ রান। ভারতের সংগ্রহ পেরিয়ে তাদের লিড দাঁড়ায় ১৫৭ রানের।

লিড নেওয়ার মূল অবদানটা ছিল অজি ব্যাটার ট্রাভিস হেডের। জাসপ্রিত বুমরাহ’র বোলিং তোপে ১০৩ রানেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন হেড ও মার্নাস লাবুশেন। ১২৬ বলে লাবুশেন ৬৪ রান করে আউট হলেও, হেড একপ্রান্ত আগলে রাখেন। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে তিনিই ছিলেন ব্যতিক্রম। শেষ পর্যন্ত ১৪১ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনি ১৪০ রানে থামেন।

অজিদের লিড পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসেন রোহিত-কোহলিরা। বলার মতো (৪২) রান করেছেন কেবল নিতীশ কুমার রেড্ডি। অবশ্য রেড্ডির সান্ত্বনাদায়ক ব্যাটিং না থাকলে, ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতো ভারতকে।

সুপার সানডেতে দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় সমর্থকরা দুঃসংবাদটা পান সেই তাসমান পাড়ের অস্ট্রেলিয়া থেকেই। মেয়েদের দ্বিপাক্ষিক একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১২২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৭১ রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিক মেয়েরা। ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৯ রানে।

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এবারের যুব এশিয়া কাপ শুরু করেছিল হার দিয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে হেরে গিয়েছিল তারা। তারপর জাপান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে শেষ মুহূর্তে সেমিফাইনালে নিশ্চিত করে ম্যান ইন ব্লুরা।

শ্রীলঙ্কাকে সেমিফাইনালে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের। গতবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতেছিল। সেই তাদের বিপক্ষে খেলতে নেমে হেরে গেছে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুব এশিয়া কাপে ভারতের কাছেই বারবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ভারতের যুবারা। ২০২১ সালের আসরেও ভারতের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।

সেই হারের হিসেব গত আসরেই ভারতকে বুঝিয়ে দিয়েছিল শেষ চারের লড়াই থেকে বিদায় করে। আর এবার টুর্নামেন্টটির ফাইনালে ভারতকে প্রথম হারের স্বাদ দিলো বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পেরেছিল ১৯৮ রান। এই রানটাই ভারতের জন্য পাহাড়সম হয়ে যায় বাংলাদেশের পেসারদের দাপটে। ভারত ৩৫.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পেরেছে ১৩৯ রানে।