ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৮ জেলায় ছড়িয়েছে নিপাহ ভাইরাস

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

বাদুড়ে থেকে ছড়ানো নিপাহ ভাইরাস দেশের ২৮টি জেলায় ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ২০টি শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক হাসপাতালটিতে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেওয়ায়, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০ বেড আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেড আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এদিকে সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি মৌসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কাঁচা রস, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড় খেজুরের রস পান করলে সেটি মানুষ পান করলেও হয়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে দ্রুত ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।

মন্ত্রী বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি।

আইইডিসিআরের তথ্যমতে, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে হয় নওগাঁয়। তবে এর সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেখানে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৭ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২৮ জেলায় ছড়িয়েছে নিপাহ ভাইরাস

আপডেট সময় : ১০:৩১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাদুড়ে থেকে ছড়ানো নিপাহ ভাইরাস দেশের ২৮টি জেলায় ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ২০টি শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক হাসপাতালটিতে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেওয়ায়, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০ বেড আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেড আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এদিকে সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি মৌসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কাঁচা রস, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড় খেজুরের রস পান করলে সেটি মানুষ পান করলেও হয়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে দ্রুত ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।

মন্ত্রী বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি।

আইইডিসিআরের তথ্যমতে, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে হয় নওগাঁয়। তবে এর সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেখানে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৭ জন।