ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে রাজশাহীর মানুষ, কাবু হচ্ছে প্রাণীকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

হাড়কাঁপানো শীতের তীব্রতায় কাঁপছে রাজশাহী অঞ্চল। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কঁনকঁনে শীতে কাবু হচ্ছে প্রাণীকুল। বিশেষ করে দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা আরো কমে আসছে। এতে রাতে আরো বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে। টানা তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে বিকেলে। ফলে দিনের সর্বনি¤œ তাপমাত্রার পাশাপাশি কমছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবর্ণনীয় দুর্ভাগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ এবং ঘন কুয়াশায় বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া শরীরে কাঁটা দিচ্ছে শীতার্ত মানুষের শরীরে। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা ততই যেন বেসামাল হয়ে পড়ছে।

এদিকে গত তিনদিন দিনের হিমেল হাওয়া ও ঘনকুয়ার কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাইরাস জনিত রোগ সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া। এবার শীতজনিত রোগ শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের পাশাপাশি সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও জরুরী বিভাগে রোগির ভীড় লক্ষ্য করা যায়। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যেমন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তেমনি বর্হিবিভাগেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অপরদিকে, শীত বাড়ায় বেড়েছে গরম কাপড় কেনাকাটার ভীড়। শপিংমল বা ফুটপাত সবখানেই ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মত। গত এক সপ্তাহ আগেও গরম কাপড়ের দোকানদাররা ক্রেতা শূণ্যতায় ভুগেছে। কিন্তু গত দুদিন থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কেনাকাটাও জমজমাট হয়ে উঠেছে। এবার প্রতিটি কাপড়ের দাম বেশি হওয়ার কারণে নিম্ন বা মধ্যআয়ের মানুষ ফুটপাতে কেনাকাটা করছেন বেশি। কারণ স্বাধ থাকলেও উন্নমানের দোকানে কেনাকাটার মত সাধ্য এসব মানুষের নেই। তাই নিজের ও পরিবারের লোকজনদের জন্য সাধ্যমত ফুটপাত থেকে পোষাক কিনতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও শীত বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষের। শীতের কারণে এসব লোকজন সকালে কাজে বের হতে পারছেন না।লোকজন সকালে কাজে না গিয়ে খড়কুঠো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে রাত ৮টার পর গ্রামের রাস্তাঘাটে থাকছে না কোনো যানবাহন ও মানুষজন।

এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, মূলত ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণেই রাজশাহীতে তীব্র শীতে অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর ওপর দিয়ে কোনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না। আর কোনো কোনো সময় দিনের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাচ্ছে। তখন শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে অনেকেই ভাবছেন রাজশাহীতে হয়তো শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মূলত এই কুয়াশা কেটে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারেন বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে রাজশাহীর মানুষ, কাবু হচ্ছে প্রাণীকুল

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

হাড়কাঁপানো শীতের তীব্রতায় কাঁপছে রাজশাহী অঞ্চল। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কঁনকঁনে শীতে কাবু হচ্ছে প্রাণীকুল। বিশেষ করে দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা আরো কমে আসছে। এতে রাতে আরো বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে। টানা তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে বিকেলে। ফলে দিনের সর্বনি¤œ তাপমাত্রার পাশাপাশি কমছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবর্ণনীয় দুর্ভাগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ এবং ঘন কুয়াশায় বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া শরীরে কাঁটা দিচ্ছে শীতার্ত মানুষের শরীরে। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা ততই যেন বেসামাল হয়ে পড়ছে।

এদিকে গত তিনদিন দিনের হিমেল হাওয়া ও ঘনকুয়ার কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাইরাস জনিত রোগ সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া। এবার শীতজনিত রোগ শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের পাশাপাশি সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও জরুরী বিভাগে রোগির ভীড় লক্ষ্য করা যায়। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যেমন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তেমনি বর্হিবিভাগেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অপরদিকে, শীত বাড়ায় বেড়েছে গরম কাপড় কেনাকাটার ভীড়। শপিংমল বা ফুটপাত সবখানেই ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মত। গত এক সপ্তাহ আগেও গরম কাপড়ের দোকানদাররা ক্রেতা শূণ্যতায় ভুগেছে। কিন্তু গত দুদিন থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কেনাকাটাও জমজমাট হয়ে উঠেছে। এবার প্রতিটি কাপড়ের দাম বেশি হওয়ার কারণে নিম্ন বা মধ্যআয়ের মানুষ ফুটপাতে কেনাকাটা করছেন বেশি। কারণ স্বাধ থাকলেও উন্নমানের দোকানে কেনাকাটার মত সাধ্য এসব মানুষের নেই। তাই নিজের ও পরিবারের লোকজনদের জন্য সাধ্যমত ফুটপাত থেকে পোষাক কিনতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও শীত বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষের। শীতের কারণে এসব লোকজন সকালে কাজে বের হতে পারছেন না।লোকজন সকালে কাজে না গিয়ে খড়কুঠো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে রাত ৮টার পর গ্রামের রাস্তাঘাটে থাকছে না কোনো যানবাহন ও মানুষজন।

এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, মূলত ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণেই রাজশাহীতে তীব্র শীতে অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর ওপর দিয়ে কোনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না। আর কোনো কোনো সময় দিনের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাচ্ছে। তখন শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে অনেকেই ভাবছেন রাজশাহীতে হয়তো শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মূলত এই কুয়াশা কেটে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারেন বলে জানান তিনি।