ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। আজকে সপ্তমবারের মতো এই হাসপাতালে উনি এসেছেন। এখানে আসার পরে ওনার কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আমার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব, যেগুলো বাসায় করা সম্ভব নয়। এসব পরীক্ষা কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। এরপর মেডিকেল বোর্ড সকল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ওনার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেবেন।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কিছুদিন ধরে উনার (খালেদা জিয়া) লিভারের জটিলতা ছিল, কিডনির জটিলতা রয়েছে, হার্টের জটিলতা ছিল, সর্বোপরি লিভার জটিলতার কারণে হসপিটালে এবং মেডিকেল বোর্ড বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কেন যেতে পারছে না এটা আপনারা এবং দেশবাসীও জানেন। সত্যিকার অর্থে সঠিক চিকিৎসা যেটা মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে করা প্রয়োজন সেটা যেহেতু করা যাচ্ছে না, কাজে উনাকে এ অবস্থায় আবার ভর্তি করা হয়েছে। যাতে ওনার অবস্থা আর খারাপের দিকে না যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন; সেই অনুযায়ী উনার চিকিৎসা চলবে।’

ডা. জাহিদ আরও বলেন, ইতোমধ্যে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা উনার পরীক্ষা করেছেন। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ এতগুলো অসুস্থতা নিয়েও বারবার বলার পরে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ না পেয়েও শারীরিকভাবে যতটুকু রয়েছেন এটা আল্লাহর রহমত রহমত ও মানুষের দোয়ার বরকতে। এত অসুস্থ তার মধ্যেও এত প্রতিকূলতার মধ্যেও উনি ওনার মানসিক শক্তি ধরে রেখেছেন এবং উনার সুচিকিৎসার ব্যাপারে চিকিৎসারাও আশাবাদী আমরাও আশাবাদী।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিএনপি প্রধান তার গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তার গাড়ির সঙ্গে দলটির অনেক নেতাকর্মী ছিল। বিকেল তিনটার দিকে বাসা থেকে খালেদা জিয়ার বের হওয়ার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা পর বের হন তিনি।

হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে খালেদা জিয়ার বাসভবনে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝেমধ্যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। বর্তমানে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ০৫:০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। আজকে সপ্তমবারের মতো এই হাসপাতালে উনি এসেছেন। এখানে আসার পরে ওনার কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আমার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব, যেগুলো বাসায় করা সম্ভব নয়। এসব পরীক্ষা কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। এরপর মেডিকেল বোর্ড সকল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ওনার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেবেন।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কিছুদিন ধরে উনার (খালেদা জিয়া) লিভারের জটিলতা ছিল, কিডনির জটিলতা রয়েছে, হার্টের জটিলতা ছিল, সর্বোপরি লিভার জটিলতার কারণে হসপিটালে এবং মেডিকেল বোর্ড বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কেন যেতে পারছে না এটা আপনারা এবং দেশবাসীও জানেন। সত্যিকার অর্থে সঠিক চিকিৎসা যেটা মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে করা প্রয়োজন সেটা যেহেতু করা যাচ্ছে না, কাজে উনাকে এ অবস্থায় আবার ভর্তি করা হয়েছে। যাতে ওনার অবস্থা আর খারাপের দিকে না যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন; সেই অনুযায়ী উনার চিকিৎসা চলবে।’

ডা. জাহিদ আরও বলেন, ইতোমধ্যে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা উনার পরীক্ষা করেছেন। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ এতগুলো অসুস্থতা নিয়েও বারবার বলার পরে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ না পেয়েও শারীরিকভাবে যতটুকু রয়েছেন এটা আল্লাহর রহমত রহমত ও মানুষের দোয়ার বরকতে। এত অসুস্থ তার মধ্যেও এত প্রতিকূলতার মধ্যেও উনি ওনার মানসিক শক্তি ধরে রেখেছেন এবং উনার সুচিকিৎসার ব্যাপারে চিকিৎসারাও আশাবাদী আমরাও আশাবাদী।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিএনপি প্রধান তার গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তার গাড়ির সঙ্গে দলটির অনেক নেতাকর্মী ছিল। বিকেল তিনটার দিকে বাসা থেকে খালেদা জিয়ার বের হওয়ার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা পর বের হন তিনি।

হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে খালেদা জিয়ার বাসভবনে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝেমধ্যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। বর্তমানে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।