ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টের সামনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩ ৮২ বার পড়া হয়েছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনের পদত্যাগের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট বারে পুনরায় ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের পর রাজপথে অবস্থান নিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফেরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থী কয়েকশ আইনজীবী বিক্ষোভ মিছিল করেন।

আদালত প্রাঙ্গন থেকে বেরিয়ে মাজার গেট দিয়ে রাজপথে আসেন তারা। কদম ফোয়ারা ও জাতীয় ঈদগাহ মায়দানের সামনে আসার পর সেখানে বসে পড়েন তারা। এ সময় আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট চুরির অভিযোগ এনে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক প্রার্থী ও সাবেক সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ।

সমাবেশে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারে পুলিশ ঢুকিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে তারা। আগামীতে তারা সুপ্রিম কোর্টে বিচার ডাকাতি করবে।

প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে খোকন বলেন, পুলিশ দিয়ে হামলার বিচার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে কলঙ্কজনক ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটের নামে হঠাৎ করে সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ প্রবেশ করল। সাংবাদিক আইনজীবীদের পেটালো নিগৃহীত করা হলো। ভোটকেন্দ্র থেকে সবাইকে বের করে দিল। তারা সরকার সমর্থকরা পুলিশের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল করল। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের কোনো বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ প্রবেশের অনুমতি দেননি। সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ প্রবেশ করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মারধর কারা কারণে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বারে নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।

আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে। আইনজীবী সমাজ রাজপথে নেমে এসেছে। বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার রাজপথে হবে ইনশাআল্লাহ। অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট বারে নির্বাচন দিতে হবে। আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আইনজীবী সমাজ রাস্তায় নেমেছে। আর রাস্তা থেকে উঠবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টে পুলিশ অযাচিত হামলা করেছে। এই স্বৈরাচার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। আন্দোলন চালিয়ে যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাইকোর্টের সামনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনের পদত্যাগের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট বারে পুনরায় ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের পর রাজপথে অবস্থান নিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফেরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থী কয়েকশ আইনজীবী বিক্ষোভ মিছিল করেন।

আদালত প্রাঙ্গন থেকে বেরিয়ে মাজার গেট দিয়ে রাজপথে আসেন তারা। কদম ফোয়ারা ও জাতীয় ঈদগাহ মায়দানের সামনে আসার পর সেখানে বসে পড়েন তারা। এ সময় আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট চুরির অভিযোগ এনে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক প্রার্থী ও সাবেক সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ।

সমাবেশে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারে পুলিশ ঢুকিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে তারা। আগামীতে তারা সুপ্রিম কোর্টে বিচার ডাকাতি করবে।

প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে খোকন বলেন, পুলিশ দিয়ে হামলার বিচার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে কলঙ্কজনক ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটের নামে হঠাৎ করে সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ প্রবেশ করল। সাংবাদিক আইনজীবীদের পেটালো নিগৃহীত করা হলো। ভোটকেন্দ্র থেকে সবাইকে বের করে দিল। তারা সরকার সমর্থকরা পুলিশের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল করল। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের কোনো বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ প্রবেশের অনুমতি দেননি। সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ প্রবেশ করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মারধর কারা কারণে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বারে নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।

আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে। আইনজীবী সমাজ রাজপথে নেমে এসেছে। বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার রাজপথে হবে ইনশাআল্লাহ। অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট বারে নির্বাচন দিতে হবে। আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আইনজীবী সমাজ রাস্তায় নেমেছে। আর রাস্তা থেকে উঠবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টে পুলিশ অযাচিত হামলা করেছে। এই স্বৈরাচার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। আন্দোলন চালিয়ে যাব।