ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

হতদরিদ্র, নিঃস্ব ও সহায়সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তার সরকার প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)’র একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন বা ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য বাড়ি নির্মাণে ৩৬টি ব্যাংক মোট ১১৩ দশমিক ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।

দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় এগিয়ে আসার জন্য সমাজের ধনীক শ্রেণির প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু সরকারই নয়, বরং আমরা সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘জমি ও ঘর পাওয়ার পর অনেক গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। এদের অধিকাংশকেই ইতোমধ্যে জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। এখন অল্প কয়েকজন বাকী আছে। তাদের জন্যও বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে যারা ঘর পেয়েছেন-তাদের মুখের হাসি ও মনের সন্তুষ্টি থেকে বড় আর কোন প্রাপ্তি হতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, অনেকেই যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুই ডেসিমেল জমি পেয়েছেন-তারা সেখানে শাকসজবি চাষ, হাঁসমুরগি পালন, কুটির শিল্প ও দোকান গড়ে তুলেছেন। তারা এভাবে ভালোভাবে বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পেয়েছেন। এই জমি ও ঘর পাওয়ার ফলে তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন (উন্নতি) হচ্ছে।’

অনুদানের অর্থ প্রদান করায় বিএবি ও ব্যাংকারদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে আমার (অনুদান প্রদানের কথা) বলার প্রয়োজন হয় না। আপনারা যে কোন দুর্যোগ ও সংকটকালে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এগিয়ে আসেন।’

বেসরকারি খাতে ব্যাংক খুলতে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বর্তমানে ৩ লাখ স্নাতক কাজ করছে, এটা একটি অনেক বড় ব্যাপার।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশ এখন সকল প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বিশ্ব অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে নেই। আমরা আমাদের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছি।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চলনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৪:৩২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

হতদরিদ্র, নিঃস্ব ও সহায়সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তার সরকার প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)’র একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন বা ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য বাড়ি নির্মাণে ৩৬টি ব্যাংক মোট ১১৩ দশমিক ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।

দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় এগিয়ে আসার জন্য সমাজের ধনীক শ্রেণির প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু সরকারই নয়, বরং আমরা সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘জমি ও ঘর পাওয়ার পর অনেক গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। এদের অধিকাংশকেই ইতোমধ্যে জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। এখন অল্প কয়েকজন বাকী আছে। তাদের জন্যও বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে যারা ঘর পেয়েছেন-তাদের মুখের হাসি ও মনের সন্তুষ্টি থেকে বড় আর কোন প্রাপ্তি হতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, অনেকেই যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুই ডেসিমেল জমি পেয়েছেন-তারা সেখানে শাকসজবি চাষ, হাঁসমুরগি পালন, কুটির শিল্প ও দোকান গড়ে তুলেছেন। তারা এভাবে ভালোভাবে বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পেয়েছেন। এই জমি ও ঘর পাওয়ার ফলে তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন (উন্নতি) হচ্ছে।’

অনুদানের অর্থ প্রদান করায় বিএবি ও ব্যাংকারদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে আমার (অনুদান প্রদানের কথা) বলার প্রয়োজন হয় না। আপনারা যে কোন দুর্যোগ ও সংকটকালে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এগিয়ে আসেন।’

বেসরকারি খাতে ব্যাংক খুলতে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বর্তমানে ৩ লাখ স্নাতক কাজ করছে, এটা একটি অনেক বড় ব্যাপার।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশ এখন সকল প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বিশ্ব অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে নেই। আমরা আমাদের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছি।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চলনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।