স্ত্রীর মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের বিচার শুরু
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
নির্যাতন ও যৌতুকের জন্য মারধরের দায়ে স্ত্রী ইশরাত জাহানের করা মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে দিয়ে মামলাটিতে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রোববার (৫ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আল-আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আল আমিন তাকে নির্যাতন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ইশরাত। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ অনুযায়ী প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা ভরণপোষণ দাবি করে ঢাকার আদালতে আরেকটি মামলা করেন ইশরাত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধরের পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
আল-আমিন জানিয়ে দেন, তার (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তার সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর আল আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।