ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ডিসিদের নির্দেশ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে

সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস সেচ মৌসুম হিসেবে গণ্য করা হয়। এ সময় কৃষি কাজে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাড়তি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত জ্বালানি তেলেরও। কৃষকের ট্রাক্টর, পাওয়ারটিলার, সেচপাম্পসহ বিভিন্ন কাজে জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রম চালু, চলতি সেচ মৌসুমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের কাছে মন্ত্রিপরিষদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্র্দেশনা দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন সেচ মৌসুমে সেচ পাম্পসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় অনুষ্ঠিত হয়।

সভার আলোচনায় বলা হয়, গত সেচ মৌসুমে এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট। আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি এবং অপেক্ষমাণ আবেদন সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩২টি। শুধু সেচের জন্য জানুয়ারিতে ৩৪৭ মেগাওয়াট, ফেব্রুয়ারিতে ৮৬৫ মেগাওয়াট, মার্চে ১ হাজার ৯৪৯ মেগাওয়াট, এপ্রিলে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট, মেতে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।

আসন্ন সেচ মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা ১ হাজার ৭৬০ এমএমসিএফডি। নূন্যতম ১ হাজার ৫৪০ এমএমসিএফডি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ও ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের কোনো ঘাটতি নেই। চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা হবে।

সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো, আসন্ন সেচ মৌসুমে জ্বালানি পরিবহনের ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও বিপিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) পক্ষ থেকে যোগাযোগ রক্ষা করে জ্বালানি পরিবহন নিশ্চিত করা, সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রিড উপকেন্দ্র, সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্রসমূহ সংরক্ষণ ও মেরামত কাজ জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে। ওভারলোডেড সাবস্টেশনসমূহ ও সঞ্চালন লাইনের আপ-গ্রেডেশনের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করাসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ন্যূনতম ২ মাসের উৎপাদন ক্ষমতা রাখার জন্য জ্বালানি তেলের মজুদ নিশ্চিতকরণ। সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তদারকির জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন এবং গঠিত মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদারকরণ।

সভায় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ডিসিদের নির্দেশ

আপডেট সময় : ১১:২২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস সেচ মৌসুম হিসেবে গণ্য করা হয়। এ সময় কৃষি কাজে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাড়তি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত জ্বালানি তেলেরও। কৃষকের ট্রাক্টর, পাওয়ারটিলার, সেচপাম্পসহ বিভিন্ন কাজে জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রম চালু, চলতি সেচ মৌসুমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের কাছে মন্ত্রিপরিষদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্র্দেশনা দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন সেচ মৌসুমে সেচ পাম্পসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় অনুষ্ঠিত হয়।

সভার আলোচনায় বলা হয়, গত সেচ মৌসুমে এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট। আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি এবং অপেক্ষমাণ আবেদন সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩২টি। শুধু সেচের জন্য জানুয়ারিতে ৩৪৭ মেগাওয়াট, ফেব্রুয়ারিতে ৮৬৫ মেগাওয়াট, মার্চে ১ হাজার ৯৪৯ মেগাওয়াট, এপ্রিলে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট, মেতে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।

আসন্ন সেচ মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা ১ হাজার ৭৬০ এমএমসিএফডি। নূন্যতম ১ হাজার ৫৪০ এমএমসিএফডি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ও ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের কোনো ঘাটতি নেই। চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা হবে।

সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো, আসন্ন সেচ মৌসুমে জ্বালানি পরিবহনের ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও বিপিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) পক্ষ থেকে যোগাযোগ রক্ষা করে জ্বালানি পরিবহন নিশ্চিত করা, সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রিড উপকেন্দ্র, সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্রসমূহ সংরক্ষণ ও মেরামত কাজ জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে। ওভারলোডেড সাবস্টেশনসমূহ ও সঞ্চালন লাইনের আপ-গ্রেডেশনের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করাসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ন্যূনতম ২ মাসের উৎপাদন ক্ষমতা রাখার জন্য জ্বালানি তেলের মজুদ নিশ্চিতকরণ। সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তদারকির জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন এবং গঠিত মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদারকরণ।

সভায় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।