সুদানে দুই বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত বেড়ে প্রায় ১০০
- আপডেট সময় : ০৮:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
সুদানের রাজধানীতে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতোমধ্যেই সেদেশে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তিন কর্মীর। এরপর সাময়িকভাবে দেশটিতে সব পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি।
দুই বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলার পর শনিবার হঠাৎ করে লড়াই শুরু হয়। এরপর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং খার্তুমের রাস্তা নির্জন হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আধাসামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবন, বিমানবন্দরসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দখল নিয়েছে। খবর বিবিসির
তবে সেনাবাহিনী এই দাবিগুলো অস্বীকার করেছে এবং শনিবারের শেষের দিকে এক বিবৃতিতে, সুদানী বিমান বাহিনী আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর ঘাঁটিগুলির বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাওয়ার কারণে জনগণকে বাড়ির ভিতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবিসির বেভারলি ওচিয়েং বলছেন, সুদানের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে তীব্র ক্ষমতার দ্বন্দ্বই এ সংঘাতের কারণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
দেশটিতে প্রস্তাবিত বেসামরিক সরকারে কে একীভূত সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করবেন – তা নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়েছে।
সুদানে একটি বেসামরিক সরকার পুনপ্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছানোর এক চেষ্টা ব্যর্থ হয় – যার পেছনে আরএসএফের ১০০,০০০ সদস্যকে সেনাবাহিনীতে একীভূত করার প্রশ্নটিও ছিল সমস্যার কারণ।
সামরিক বাহিনীর এ দুই অংশের মধ্যে সংঘাতের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার আরএসএফ উত্তরের মেরওয়ে শহরের একটি সামরিক ঘাঁটির কাছে তাদের সেনাদের মোতায়েন করে।
সুদানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান বলেছেন তিনি তার ডেপুটি এবং আরএসএফের অধিনায়ক মোহামেদ হামদান দাগালোর সাথে আলোচনা করতে ইচ্ছুক।
জেনারেল বুরহান ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুদানের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক তোলপাড় চলছে।