ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩ ৮১ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে রোববার (৯ জুলাই) সকালে বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি। এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল সড়কে সোমবার (১০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের পরিবহণ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে এক বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন। সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম গণমাধ্যমেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মইনুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলতে দেননি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ। তার এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’

মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সব পরিবহণ শ্রমিক সংগঠন। সব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রোববার বিকেলে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাচ্ছি।’

সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ জুলাই শনিবার রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ সমন্বয় কমিটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবি জানানো হয়। ছাঁটাইয়ের আগ পর্যন্ত রোববার সকাল থেকে ওই সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, ‘সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারবে না। তবে, অন্য যেকোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কারণ দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাস মালিক সমিতি বা এই রুটের পরিবহণের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহতদের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেননি। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট

আপডেট সময় : ১১:০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে রোববার (৯ জুলাই) সকালে বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি। এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল সড়কে সোমবার (১০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের পরিবহণ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে এক বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন। সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম গণমাধ্যমেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মইনুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলতে দেননি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ। তার এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’

মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সব পরিবহণ শ্রমিক সংগঠন। সব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রোববার বিকেলে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাচ্ছি।’

সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ জুলাই শনিবার রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ সমন্বয় কমিটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবি জানানো হয়। ছাঁটাইয়ের আগ পর্যন্ত রোববার সকাল থেকে ওই সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, ‘সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারবে না। তবে, অন্য যেকোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কারণ দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাস মালিক সমিতি বা এই রুটের পরিবহণের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহতদের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেননি। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’