সার্বিয়ায় বন্দুকধারীর এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত ৮
- আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩ ৯২ বার পড়া হয়েছে
সার্বিয়ায় বন্দুকধারীর এলোপাথাড়ি গুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে পূর্ব ইউরোপের দেশটির রাজধানী বেলগ্রেড থেকে ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণের ছোট শহর ম্লাদিনোব্যাচে ঘটনাটি ঘটেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলাকারী এখনও পালিয়ে আছেন। তাকে ধরতে পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ বসিয়েছে।
এর আগে বুধবার বেলগ্রেডের একটি স্কুলে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের নির্বিচার গুলিতে ৯ জন নিহত হয়েছিলেন। সেসময় আরও অন্তত ৭ জন আহত হয়েছিলেন। পরে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করা হয়।
এদিকে সর্বশেষ গুলির ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে বর্ণনা করেছেন সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাতিস্লাভ গাসিক।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ম্লাদিনোব্যাচের কাছের একটি স্কুলমাঠে তর্কাতর্কির পর সন্দেহভাজন একটি অ্যাসাল্ট রাইফেল নিয়ে ফিরে এসে লোকজনককে লক্ষ্য করে চলন্ত গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে।
সার্বিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটিএস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও তার বোন রয়েছেন।
সন্দেহভাজন হামলাকারীকে শুধু ইউ. বি (২১) বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে ধরতে সার্বিয়ান পুলিশের প্রায় ৬০০ জনের একটি দল অভিযানে নেমেছে। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘূর্ণবাত’।
রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক শুক্রবার ভোররাতে ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশকে ম্লাদিনোব্যাচের কাছে দুবোনা গ্রামের প্রবেশমুখে একটি চেকপয়েন্ট স্থাপন করে ভেতর দিকে প্রবেশরত গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালাতে দেখেছেন।
তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এখানে রাত আলকাতরার মতো কালো, সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই এলাকায়ই আমরা তাকে খুঁজছি। অ্যাসল্ট রাইফেল একটি গুরুতর হুমকি।
সন্দেহভাজনের খোঁজে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও পুলিশের অনেকগুলো টহল দল দুবোনার আশপাশের ঢেউ খেলানো পাহাড় ও বনগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
গুলিবর্ষণের ঘটনায় আহতদের ম্লাদিনোব্যাচের একটি হাসপাতাল ও বেলগ্রেডের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার প্রথম গুলিবর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার থেকে তিন দিনের আনুষ্ঠানিক শোক পালন শুরু করেছে বলকান রাষ্ট্রটি।
সার্বিয়ার বন্দুক আইন অত্যন্ত কঠোর। এখানে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ এবং নিবির্চার গুলিবর্ষণের ঘটনা তুলনামূলক কম। কিন্তু লাইসেন্সধারী বন্দুকধারীর সংখ্যার দিক থেকে দেশটি ইউরোপের শীর্ষে আছে। বিশেষভাবে দেশটির গ্রামাঞ্চলে বন্দুক সংস্কৃতি গেড়ে বসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।