সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে সিআইডি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর পাঁচটার দিকে আশুলিয়া থানাধীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
চারতলা বাড়িটির নিচতলায় মাকে নিয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে ভাড়া থাকতেন শামসুজ্জামান। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়। ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিদের হামলায় নিহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিমের ছোট ভাই তিনি।
যে বাসা থেকে শামসুজ্জামানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই বাসার মালিক ফেরদৌস আলম কবির ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সিআইডি পরিচয়ে কয়েকজন এসে আমাকে জিজ্ঞাস করে যে, শামসুজ্জামান এই বাসায় থাকে কি না? থাকে জানালে তারা তাকে নিয়ে যায়। তাকে কেন নিয়ে যাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে আমাকে একজন বলেন, শামসুজ্জামানের করা কোনো এক রিপোর্টের কারণে তার নামে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
ঘটনার সময় শামসুজ্জামানের বাসায় ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মেইলকে জানান, সিআইডি পরিচয় দিয়ে কয়েকজন বাসায় এসে একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক জব্দ করে। পরে জব্দ করা মালামালের তালিকা করেন। শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। এ সময় কক্ষের ভেতরে দাঁড় করিয়ে তার ছবি তোলা হয়। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে আবার তারা বের হয়ে যান।
আরিফুল ইসলাম আরও জানান, বাসা তল্লাশির সময় দুইবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন উপস্থিত ছিলেন। তুলে নেওয়ার সময় ওই বাসার মালিককে ডাকেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। পুলিশ তাকে জানায়, শামসুজ্জামানের করা একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রের আপত্তি আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নেওয়া হচ্ছে। তিনটি গাড়িতে এসেছিলেন সিআইডি সদস্যরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমি আগে বিষয়টি জানতাম না। রাত দেড়টার সময় পুলিশের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শামসুজ্জামানের ভাবি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, সেই পরিচয় দিয়ে তারা আমাকে শামসুজ্জামানের বাসায় নিয়ে যান।
শামসুজ্জামানের ভাবি উম্মে ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে তাকে নিয়ে গেছে, কী তার অপরাধ কিছুই জানি না। গতকালও শামসের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তখনও এ বিষয়ে শামস আমাকে কিছু বলেনি।