ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন অর্থমন্ত্রী!

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে

প্রথমবারের মতো অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজোটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন। এতে বারবার মেজাজ হারিয়ে বিরক্ত হয়েছেন সাংবাদিকদের ওপর। প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিকদের ম্যাচিউরিটি নিয়েও।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অর্থমন্ত্রী। এ সময় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে অর্থমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দ্বারস্থ হন। প্রথম থেকেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে বিরক্তবোধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বাজেটের নানা বিষয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের মান এবং ম্যাচিউরিটি নিয়েও কথা বলেন। পুরো সংবাদ সম্মেলনজুড়েই বিরক্তি প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের বিষয়ে যে পর্যায়ের প্রশ্ন আশা করেছিলাম সে রকম হয়নি। তবে বেশ কয়েকজনের প্রশ্ন বেশ ভালো ছিল। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একেবারেই নন-সিরিয়াস প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যোগ্য না আমি।

মন্ত্রী বলেন, আমি একটু ম্যাচিউরড প্রশ্ন আশা করেছিলাম। আমি খুবই নিরাশ হয়েছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) আরও একটু পড়ে আসবেন। এভাবে অতি সরলীকরণ করবেন না। একটু ম্যাচুউরিটি নিয়ে আসেন।

যারা আর্থিক খাতের বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্য আপনার কী বার্তা থাকবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো খোলাখুলি সব বলেছি। কোনো রাখঢাক করিনি। আপনি ঘুরেফিরে একই কথায় যাচ্ছেন কেন? এইটা তো বুঝতে পারলাম না। এটা কী ধরনের প্রশ্ন! কীভাবে প্রশ্ন করে এগুলো একটু শিখতে হবে তো। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে। এটা কোনো জার্নালিজম না। খালি এক কথাই ঘুরে ফিরে বলেন। এগুলো একটু দেখেন। দেখে একটু শেখেন। তাহলে আমাদেরও কাজ করতে সুবিধা হবে।’

এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘পণ্যের দাম কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাবে কাঙ্ক্ষিতভাবে প্রতিফলন ঘটে না। আমি প্রশ্ন করব- বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে কি না?’
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে কাজ করার চেষ্টা করছি এবং সাংবাদিকরাও তো আমাদের সাহায্য করছে। এটা কী ধরনের প্রশ্ন করলেন যে, সমন্বয় করা হবে কি না। অবশ্যই করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকার আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন অর্থমন্ত্রী!

আপডেট সময় : ১১:২২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

প্রথমবারের মতো অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজোটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন। এতে বারবার মেজাজ হারিয়ে বিরক্ত হয়েছেন সাংবাদিকদের ওপর। প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিকদের ম্যাচিউরিটি নিয়েও।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অর্থমন্ত্রী। এ সময় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে অর্থমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দ্বারস্থ হন। প্রথম থেকেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে বিরক্তবোধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বাজেটের নানা বিষয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের মান এবং ম্যাচিউরিটি নিয়েও কথা বলেন। পুরো সংবাদ সম্মেলনজুড়েই বিরক্তি প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের বিষয়ে যে পর্যায়ের প্রশ্ন আশা করেছিলাম সে রকম হয়নি। তবে বেশ কয়েকজনের প্রশ্ন বেশ ভালো ছিল। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একেবারেই নন-সিরিয়াস প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যোগ্য না আমি।

মন্ত্রী বলেন, আমি একটু ম্যাচিউরড প্রশ্ন আশা করেছিলাম। আমি খুবই নিরাশ হয়েছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) আরও একটু পড়ে আসবেন। এভাবে অতি সরলীকরণ করবেন না। একটু ম্যাচুউরিটি নিয়ে আসেন।

যারা আর্থিক খাতের বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্য আপনার কী বার্তা থাকবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো খোলাখুলি সব বলেছি। কোনো রাখঢাক করিনি। আপনি ঘুরেফিরে একই কথায় যাচ্ছেন কেন? এইটা তো বুঝতে পারলাম না। এটা কী ধরনের প্রশ্ন! কীভাবে প্রশ্ন করে এগুলো একটু শিখতে হবে তো। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে। এটা কোনো জার্নালিজম না। খালি এক কথাই ঘুরে ফিরে বলেন। এগুলো একটু দেখেন। দেখে একটু শেখেন। তাহলে আমাদেরও কাজ করতে সুবিধা হবে।’

এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘পণ্যের দাম কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাবে কাঙ্ক্ষিতভাবে প্রতিফলন ঘটে না। আমি প্রশ্ন করব- বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে কি না?’
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে কাজ করার চেষ্টা করছি এবং সাংবাদিকরাও তো আমাদের সাহায্য করছে। এটা কী ধরনের প্রশ্ন করলেন যে, সমন্বয় করা হবে কি না। অবশ্যই করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকার আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রমুখ।