সাংবাদিকদের জন্য ফখরুলদের মায়াকান্না মানায় না: কাদের
- আপডেট সময় : ১০:১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতন করেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না করছেন। এটা তাদের জন্য মানায় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২ এপ্রিল) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এদেশের অসংখ্য সাংবাদিক হত্যা করেছে বিএনপি। সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য আওয়ামী লীগই লড়াই করেছে। যারা নিজেরাই সাংবাদিক হত্যা করেছেন, তারা নিজেরাই সাংবাদিকের স্বাধীনতার জন্য মায়াকান্না করে। সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডসহ সব সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই কিছু কিছু পত্রিকা দেখা যায়, সরকারবিরোধী ও সরকারের সমালোচনার সংবাদ। তবু বলে স্বাধীনতা নেই। ব্লুমবার্গের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, অথচ বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম শেখ হাসিনার সমালোচনা করে। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, কিন্তু বাংলাদেশের কিছু মানুষ প্রশংসা করতে জানে না। তারা জানে সমালোচনা করতে।’
বিএনপির আন্দোলন গতি হারিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবার গণঅভ্যুত্থানের হুংকার দিচ্ছে। অথচ তাদের গতকালের সমাবেশে ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের বেশি উপস্থিত ছিল না। জনগণ যে আন্দোলনে থাকে না সেখানে গণঅভ্যুত্থান হয় না। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছে। পথ হারিয়ে পদযাত্রা মানববন্ধনে পরিণত হয়েছে।’
দৈনিক প্রথম আলোর একটি নিউজের দিকে ইঙ্গিত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্য কোথাও এমনটি ঘটলে সেই গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল হতো। শেখ হাসিনা ঠান্ডা মাথায় কাজ করেন। কিন্তু এই অপরাধের জন্য কি তারা কোনো ক্ষমা চেয়েছে? যে জঘন্য অপরাধ তারা করেছে তার শাস্তি তাদের পাওয়া উচিত।’
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার ইতিহাস একদিকে বীরত্বের, অন্যদিকে বিশ্বাসঘাতকতার। জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের কলঙ্ক রচনা হয়। ১৫ আগষ্টের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের উৎসাহদাতা ও মাস্টারমাইন্ড জিয়া। খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়া। ইনডেমনিটি আইনের স্বীকৃতি কেন দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাব বিএনপি দিতে পারেনি, পারবেও না। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জয় বাংলাকে নির্বাসনে পাঠানোসহ ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার বন্ধ করেছে জিয়া।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।