সরকারি দামের তোয়াক্কা নেই চিনির বাজারে
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি। আবার প্যাকেটজাত চিনি বিক্রিতে আগ্রহ নেই দোকানিদের। ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি- সরকার কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে না বলেই খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে- বাজার ও ক্রেতাভেদে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। তবে প্যাকেটজাত চিনির গায়ে মূল্য থাকায় গ্রাহক পর্যায়ে বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। ফলে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রিতে আগ্রহ কম দোকানিদের।
বিক্রেতাদের দাবি- নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে তারাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
সম্প্রতি প্যাকেটজাত চিনি কেজিপ্রতি ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা এবং খোলা চিনি কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন নতুন এই দর ঘোষণার পর থেকেই চিনি বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
বিক্রেতাদের দাবি, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি মেপে বিক্রি করতে প্রতি কেজিতে ১০ গ্রাম ঘাটতি যায়। বস্তাপ্রতি লেবার খরচ ১০ টাকা। সবমিলিয়ে প্রতি কেজি চিনিতে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ হয়।
বিষয়টি নিয়ে মালিবাগ বাজারের মুদি দোকানি রাসেল বলেন, চিনির দাম বাড়ায় কেবল বড় ব্যবসায়ীরাই লাভবান হচ্ছে। আমরা খুচরা বিক্রেতাসহ কাস্টমার উভয়েরই লোকসান। ম্যাজিস্ট্রেট এসে আমাদের ধরে এবং জরিমানা করে। অথচ তারা গোঁড়ায় হাত দিতে পারে না। কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।
যদিও বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না। শান্তিনগরে বাজার করতে আসা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত কয়েক মাস থেকেই সরকার যে রেট নির্ধারণ করে তার চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এখন দাম বাড়িয়ে ১০৭ টাকা করা হলেও বাজারের প্রতি কেজি চিনি ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।’
এ নিয়ে কথা হলে কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের রায়হান মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘চিনিই বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছি। যেখানে প্রতিকেজি চিনির দাম বাড়িয়ে ১১২ টাকা করা হলেও বাজারে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একেক দোকানে একেক দাম, তাই কাস্টমারের সঙ্গে তর্ক করতে পারব না। যে কারণে চিনি বিক্রি করছি না।’
একই বাজারের কাঞ্চনপুর হাজী স্টোরের মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাজারে বছরের শুরু থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন সরকার যে রেট নির্ধারণ করেছে সেই রেটও তোয়াক্কা করছে না বড় বড় ব্যবসায়ীরা। নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করা হলেও কেউ এগুলো মানছে না।’