সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণে ১৮৬ আবেদন ইসিতে
- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে এখন পর্যন্ত ১৮৬টি আবেদন জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।
সোমবার (২০মার্চ) ইসি থেকে অঞ্চলভিত্তিক পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চলে। এই অঞ্চল থেকে ৮৮টি আবেদন করা হয়েছে। কম আবেদন পড়েছে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে। রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে কোনো আবেদন জমা পড়েনি।
আসনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে একইদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান ১৮০টি আবেদন জমা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন।
সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাস করা হবে জানিয়ে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘কোন আসনে কতটি আপত্তি পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবে সচিবালয়। আসনভিত্তিক ভাগ করলে বোঝা যাবে কোন আসনে কতটা আবেদন পড়েছে। এরপর কমিশনের প্লেস করবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোনটার সীমানা পরিবর্তন করতে হবে, কোনটার লাগবে না তখন নির্ধারণ হবে।
আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে কিনা জানতে চাইলে ইসি আনিছুর বলেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আগে আসনভিত্তিক বিন্যাস হোক তারপর। বর্তমান সীমানাই বহাল রাখার আবেদন যারা করেছেন তাদের আবেদন তো আর আমলে নেওয়ার দরকার নেই। যদি বিপক্ষে কেউ বলে থাকে তখন শুনানির দরকার আছে। একই আসনে পক্ষে-বিপক্ষে এমন থাকতে পারে। কোনটায় আবার নতুন কোনও আবেদন থাকতে পারে। এটা যখন বিন্যাস করা হবে তখনই বোঝা যাবে, কে কী চেয়েছে। এটা করতে একটু সময় লাগবে।
ইসি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী অঞ্চলে ৪৩টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ২৯টি, ঢাকায় ১৮টি, ফরিদপুরে ৫টি, কুমিল্লায় ৮৪টি, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি করে আবেদন জমা পড়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটু আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ অবস্থান জানতে পারলাম। এটা এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। আইনমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। সম্ভবত ২৮ তারিখে তিনি ফিরবেন। এরপর হয়তো মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ওঠবে। আমি মনে করি পরবর্তী অধিবেশনে এটি জাতীয় সংসদে উঠতে পারে। আমরা যেমন প্রস্তাবপাঠিয়েছিলাম ‘মোর অর লেস’ ওই রকমই আছে। আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়ে গেলেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা আপনারা পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, দেখা যাক। সংসদে যাওয়ার আগে কেবিনেট অনুমোদন করবে। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অনুমোদন হতেও পারে নাও পারে। আরও কয়েকটা স্টেপ বাকি আছে। কাজেই এই কথাগুলোর বলার মনে হয় এখন উপযোগী পরিবেশ না।