ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণীয়: প্রধানমন্ত্রী

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমনের পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে বর্তমান পৃথিবীতে গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ মে) ‘মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোভ, দ্বেষ, লালসাকে অতিক্রম করে গৌতম বুদ্ধ তাঁর জীবন ও কর্মের মাধ্যমে মানবজগতকে আলোকিত করেছেন। তিনি ছিলেন সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উজ্জীবিত।

মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধ প্রচার করেছেন অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে এদেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর, মুক্ত ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’

শেখ হাসিনা বলেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে সকলে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন। সেই সঙ্গে বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণীয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৪০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমনের পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে বর্তমান পৃথিবীতে গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ মে) ‘মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোভ, দ্বেষ, লালসাকে অতিক্রম করে গৌতম বুদ্ধ তাঁর জীবন ও কর্মের মাধ্যমে মানবজগতকে আলোকিত করেছেন। তিনি ছিলেন সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উজ্জীবিত।

মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধ প্রচার করেছেন অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে এদেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর, মুক্ত ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’

শেখ হাসিনা বলেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে সকলে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন। সেই সঙ্গে বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।