ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৭০ বছরের বৃদ্ধ নিহত মোহনপুরে সড়ক-দুর্ঘটনা কমাতে সদর সার্কেল হেলেনার অভিযান মোহনপুরে জেলা প্রশাসকের সাথে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের মতবিনিময় সভা নারায়ণগঞ্জে পলিথিনের ব্যাগে মিলল যুবকের ৭ টুকরো লাশ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগিতে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব ড. ইউনূসের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি ঘোষণা চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাগান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় অলংকার বোঝাই ট্রাক জব্দ, চালক আটক

লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সাজা স্থগিতের দুইদিন পর সোমবার (৭ জুলাই) লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পেলেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

ভারতের পার্লামেন্ট এক নোটিশের মাধ্যমে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আরোপিত শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় মন্তব্য করে, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ‘রুচিকর’ না হলেও তাকে পার্লামেন্ট থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তার এলাকার ভোটারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিচারপতি গাভাই এই প্রসঙ্গে বলেন, রাহুলকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে বলেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। সাজা এক দিন কম হলে ওই ধারা প্রযোজ্য হতো না। তিনি বলেন, এ ধরনের জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সময় কারণ দর্শানো উচিত। কিন্তু নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টও আবেদন খারিজ করা নিয়ে গাদা গাদা পৃষ্ঠায় বহু কিছু লিখেছেন, কিন্তু কোনো কারণ দেখাননি।

তিন বিচারপতির বেঞ্চ আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তারা নির্বাচকদের অধিকারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। বিচারপতিরা বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারা প্রয়োগের ফলে শুধু নির্বাচিত সদস্যের অধিকারই খর্ব হয় না, তাতে ওই কেন্দ্রের ভোটারদের অধিকারও খর্ব হয়।

নিম্ন আদালতের কারণ না দর্শানোর বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচকদের অধিকারের প্রশ্ন বিবেচনা করে বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।

কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালে রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে কর্ণাটকের কোলার জেলায় এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি পদবি-সম্পর্কিত ওই মন্তব্য করেছিলেন।

দুর্নীতির মামলায় জড়িত পলাতক নীরব মোদি, ললিত মোদির নাম উল্লেখ করে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, চোরদের পদবি কেন মোদি হয়।

ওই ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাট জেলা আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অপরাধে মামলা ঠোকেন। সেই মামলায় তার দুই বছরের সাজা হয়। ফলে রাহুল লোকসভার সদস্যপদও খোয়ান।

এরপর সাজা স্থগিত রাখার জন্য রাহুল প্রথমে সুরাটের দায়রা আদালত ও পরে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানান। দুই আদালতেই তার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সাজা স্থগিতের দুইদিন পর সোমবার (৭ জুলাই) লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পেলেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

ভারতের পার্লামেন্ট এক নোটিশের মাধ্যমে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আরোপিত শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় মন্তব্য করে, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ‘রুচিকর’ না হলেও তাকে পার্লামেন্ট থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তার এলাকার ভোটারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিচারপতি গাভাই এই প্রসঙ্গে বলেন, রাহুলকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে বলেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। সাজা এক দিন কম হলে ওই ধারা প্রযোজ্য হতো না। তিনি বলেন, এ ধরনের জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সময় কারণ দর্শানো উচিত। কিন্তু নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টও আবেদন খারিজ করা নিয়ে গাদা গাদা পৃষ্ঠায় বহু কিছু লিখেছেন, কিন্তু কোনো কারণ দেখাননি।

তিন বিচারপতির বেঞ্চ আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তারা নির্বাচকদের অধিকারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। বিচারপতিরা বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারা প্রয়োগের ফলে শুধু নির্বাচিত সদস্যের অধিকারই খর্ব হয় না, তাতে ওই কেন্দ্রের ভোটারদের অধিকারও খর্ব হয়।

নিম্ন আদালতের কারণ না দর্শানোর বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচকদের অধিকারের প্রশ্ন বিবেচনা করে বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।

কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালে রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে কর্ণাটকের কোলার জেলায় এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি পদবি-সম্পর্কিত ওই মন্তব্য করেছিলেন।

দুর্নীতির মামলায় জড়িত পলাতক নীরব মোদি, ললিত মোদির নাম উল্লেখ করে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, চোরদের পদবি কেন মোদি হয়।

ওই ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাট জেলা আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অপরাধে মামলা ঠোকেন। সেই মামলায় তার দুই বছরের সাজা হয়। ফলে রাহুল লোকসভার সদস্যপদও খোয়ান।

এরপর সাজা স্থগিত রাখার জন্য রাহুল প্রথমে সুরাটের দায়রা আদালত ও পরে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানান। দুই আদালতেই তার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস