লাঠিচার্জের ভিডিও করায় সাংবাদিককে পুলিশের চড় থাপ্পড়
![](https://desherawaj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি তোলায় রোমেন সিকদার (৩৬) নামে এক সাংবাদিককে চড় থাপ্পড় মেরেছেন বাউফল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গালর্স স্কুল রোড থেকে বিএনপির একটি কালো পতাকা মিছিল প্রধান সড়কে প্রবেশের সময় ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে খবর বাউফলের প্রতিনিধি রোমেন সিকদার ছবি তোলেন।
এসময় ওসি তদন্ত তার দিকে তেড়ে এসে চড় থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে তাকে আটক করে বাউফল থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা থানায় গিয়ে প্রতিবাদ করলে রোমেন সিকদারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবুজাফর মিঠু, সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি বাপ্পি, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সবুজ হাওলাদার, পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব সাদেকুজ্জামান রাকিবসহ ১১ জন আহত হয়। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এসময় ৪টি মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ।
সাংবাদিক রোমেন সিকদার বলেন, আজকে বাউফলে বিএনপির প্রোগ্রাম ছিল। সেটা কাভার করতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পরে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা শুরু করি। ভিডিও শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুলিশ আমাকে আটক করে গাড়িতে তোলে। এসময় পুলিশ আমাকে জিজ্ঞেস করে এখানে কি কর? ভিডিও কেন করছ? আমি কিছু বলার আগেই আমাকে চড় থাপ্পড় মেরে গাড়িতে থানায় নিয়ে যায়। এরপর আমি পরিচয় দিয়েছি খবর বাউফলের সাংবাদিক এবং সম্পাদকের পরিচয় দিয়েছি। এর মধ্যে বাউফল প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতারা থানায় এলে ভুল বোঝাবুঝি বলে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, রোমেন সিকদার সাংবাদিক পরিচয় দেয়নি। তিনি গোপনে ভিডিও করছিলেন। এ কারণে তাকে আটক করা হয়। পরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। চড় থাপ্পড় মারার ঘটনা সত্য নয়।