ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী মনগরীতে ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে’ : লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ৬২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আসন্ন ২১ জুন রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বর্তমান যুগে কম্পিউটার শিখার বিকল্প নেই। বিশেষ করে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা অর্থ উপার্জন করতে পারবে। বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদানে পাশাপাশি কোথায় কাজ পাওয়া যাবে, সেই ক্ষেত্রগুলো আমরা দেখিয়ে দেব।’

বুধবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর উন্নয়ন আপনাদের সামনে দৃশ্যমান। এখন কর্মসংস্থান দিতে হবে। এবার আমার নির্বাচনী স্লোগান হচ্ছে, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’ রাজশাহীতে আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন খাতে পর্যায়ক্রমে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচন আসলেই বিএনপি-জামায়াত নানা অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়। বিএনপি বলছে, ‘তারা নির্বাচনে আসবে না।’ তারা নির্বাচনে আসলে আসবে, না আসলে না আসবে, সেটি তাদের দলীয় ব্যাপার। কিন্তু তারা আবার বলছে, ‘নির্বাচত করতে দেওয়া হবে না।’ ‘নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না’ তাদের এই কথার মধ্যে দম্ভ, অহংকার ও পেশিশক্তি প্রদর্শনের অপচেষ্টা আছে। তারা কী আবারো ২০১৪/১৫ সালের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নির্বাচনে বাধা দিতে চায়? ২০১৪/১৫ সালে সারাদেশে অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল বিএনপি-জামাত। গাড়ি, বাস, ট্রেন এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে তারা আগুন দেয়নি। এমনকি যে গাছ আমাদের মঙ্গল ছাড়া কোন ক্ষতি করে না, সেই গাছও কেটে ফেলে, রেল লাইনও উপড়ে ফেলে। সেই কাজটি তারা আবারো করতে পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি আবু রায়হান মাসুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী এডভোকেট বারের সাবেক কনভেনর এ্যাড এন্তাজুল হক বাবু, আবু রায়হান, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমীন টুনু। আরো বক্তব্য দেন এ্যাড. শামীমা ইসলাম শিখা, আকবর আলী, এড. তৌহিদ আল হাসান বাবলা, আব্দুল ওহাব জেমস, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহী মনগরীতে ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে’ : লিটন

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আসন্ন ২১ জুন রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বর্তমান যুগে কম্পিউটার শিখার বিকল্প নেই। বিশেষ করে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা অর্থ উপার্জন করতে পারবে। বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদানে পাশাপাশি কোথায় কাজ পাওয়া যাবে, সেই ক্ষেত্রগুলো আমরা দেখিয়ে দেব।’

বুধবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর উন্নয়ন আপনাদের সামনে দৃশ্যমান। এখন কর্মসংস্থান দিতে হবে। এবার আমার নির্বাচনী স্লোগান হচ্ছে, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’ রাজশাহীতে আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন খাতে পর্যায়ক্রমে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচন আসলেই বিএনপি-জামায়াত নানা অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়। বিএনপি বলছে, ‘তারা নির্বাচনে আসবে না।’ তারা নির্বাচনে আসলে আসবে, না আসলে না আসবে, সেটি তাদের দলীয় ব্যাপার। কিন্তু তারা আবার বলছে, ‘নির্বাচত করতে দেওয়া হবে না।’ ‘নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না’ তাদের এই কথার মধ্যে দম্ভ, অহংকার ও পেশিশক্তি প্রদর্শনের অপচেষ্টা আছে। তারা কী আবারো ২০১৪/১৫ সালের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নির্বাচনে বাধা দিতে চায়? ২০১৪/১৫ সালে সারাদেশে অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল বিএনপি-জামাত। গাড়ি, বাস, ট্রেন এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে তারা আগুন দেয়নি। এমনকি যে গাছ আমাদের মঙ্গল ছাড়া কোন ক্ষতি করে না, সেই গাছও কেটে ফেলে, রেল লাইনও উপড়ে ফেলে। সেই কাজটি তারা আবারো করতে পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি আবু রায়হান মাসুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী এডভোকেট বারের সাবেক কনভেনর এ্যাড এন্তাজুল হক বাবু, আবু রায়হান, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমীন টুনু। আরো বক্তব্য দেন এ্যাড. শামীমা ইসলাম শিখা, আকবর আলী, এড. তৌহিদ আল হাসান বাবলা, আব্দুল ওহাব জেমস, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।