রাজশাহী চিড়িয়া খানায় ডিম পেড়েছে ঘড়িয়াল
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
প্রায় ৩৫ বছর আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়া খানায় দুটি নারী ঘড়িয়াল ছিল। তাই প্রজনন নিয়ে কোনো আশা ছিলনা। পরবর্তীতে বংশবিস্তারের বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট একটি স্ত্রী ঘড়িয়াল ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।অন্যদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে একটি পুরুষ ঘড়িয়াল নিয়ে আসা হয় রাজশাহীতে। এরপর নারী ঘড়িয়ালটির নাম পদ্মাআর পুরুষ ঘড়িয়ালটির নাম রাখা হয় গড়াই।
কয়েকদিন যেতে না যেতেই পুরুষ ঘড়িয়াল গড়াইয়ের সাথে নারী ঘড়িয়াল পদ্মার বেশ ভাব ভালোবাসা তৈরি হয়। এতে বিলুপ্তপ্রায় ঘড়িয়ালের বংশবিস্তার নিয়ে আশা জাগে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এরপর প্রায় সাড়ে ৫ বছর পার হলেও ঘড়িয়ালের বংশবিস্তার হয়নি। তবে আশার কথা হল সপ্তাহ খানেক আগে নারী ঘড়িয়াল পদ্মা ডিম দিয়েছে। এজন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যানে প্রজনন উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
গেল বছর পানিতে বেশকয়েকটি ডিম দিলেও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করা যায়নি। তাই নতুনকরে আবার ডিম পাড়ায় সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার সকালে চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা ঘরিয়ালদের খাবার দিতে গিয়ে পানিতে কয়েকটি ভাঙ্গা ডিম দেখতে পান। এরপর বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে সেখান থেকে ৮টি ডিম উদ্ধার করা হয়।
পরে ডিমগুলো বাচ্চা ফোটানোর জন্য বালুতে পুঁতে রাখা হয়েছে। শহীদ কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়া খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফারহাদ উদ্দিন বলেন, ‘জুটি বাঁধার পর সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে দু’বার ডিম দিয়েছে নারী ঘড়িয়াল। তবে বাচ্চা ফোটেনি।
কিন্তু এবার ডিমগুলো বালুতেপুঁতে রাখায় প্রজননের ব্যাপারে আশাবাদী তারা। কুমির জাতীয় প্রাণীর মধ্যে ঘড়িয়াল দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজাতি। বন্য পরিবেশে এরা ৫০ থেকে ৬০ বছর বাঁচে। পৃথিবীতে এখনঘড়িয়াল আছে ২’শ টিরাও কম। বালুর তাপে ঘড়িয়ালদের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। আর তাদের বাচ্চা ফুটতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে।