রাজশাহীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, ক্যাম্প ভাঙচুর
- আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ ৮১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের প্রার্থী রুহুল আমিন টুনু এবং র্যাকেট প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বাবুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে রুহুল আমিন বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আর আশরাফুল ইসলাম ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে ভোটকেন্দ্রের সামনে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একটি খড়ির দোকানের চেলাকাঠ নিয়ে আশরাফুল ইসলামের লোকজন রুহুল আমিনের সমর্থকদের ধাওয়া দেন। এ সময় রুহুল আমিনের সমর্থকেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়েন।
এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে। এদিকে সংঘর্ষের কারণে কিছু সময়ের জন্য ভোটকেন্দ্র ফাঁকা হয়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে ভোটাররা কেন্দ্রে ফিরে আসেন।
এ ব্যাপারে রুহুল আমিন টুনু বলেন, টিফিন ক্যারিয়ারের পক্ষে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মানতে পারছেন না। তাঁরা ভোটকেন্দ্রে এসে আমার ভোটারদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। একজন পোলিং এজেন্টকেও বের করে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। হামলায় আমার স্ত্রী বেবী আহত হয়েছেন।
তবে অপর প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বাবুকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে তার ভাই নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, রুহুল আমিন টুনুর লোকজন আমাদের ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন। পদ্মার বাঁধের ধারে আমাদের সমর্থকদের বাড়িতেও হামলা করা হয়েছে। একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ভোট গ্রহণে কোনো ঝামেলা হয়নি।
রাজশাহী নগর পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলেই আছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আর কেউ বিশৃঙ্খলা করতে পারবে না।